বুড়িচংয়ে এসএস সি পরীক্ষার্থীকে অপহরনের অভিযোগ, গত দুই দিনেও উদ্ধার হয়নি

বুড়িচং(কুমিল্লা) প্রতিনিধিঃ কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার নিমসার তাহেরা জুনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষার্থী সুমাইয়া ইসলাম(১৬) কে অপহরনের গত দুই দিনেও উদ্ধার করতে পারেনি পুলিশ। উপজেলার পাঁচকিত্তা গ্রামের নজরুল ইসলামের মেয়ে এস.এস. সি পরীক্ষার্থীকে গত বৃহস্পতিবার বিকলে স্থানীয় একই গ্রামের ৩-৪ জন বখাটে যুবক জোড় পূর্বক ভাবে অটোরিক্সা সিএনজি যোগে অপহরন করে নিয়ে যায়। এই গঠনায় বখাটে যুবক ইমন এর পিতা-মাতাকে জানালে তারা বিষয়টি জানেনা বলে জানান। গত শুক্রবার রাতে অপহৃত সুমাইয়া ইসলামের মা রিনোয়ারা বেগম বাদী হয়ে ৬ জনকে নামিয় এবং ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে বুড়িচং থানায় একটি অভিযোগ করে।

অভিযোগের বিবরণে জানা যায় জেলার বুড়িচং উপজেলার মোকাম ইউনিয়নের পাঁচকিত্তা গ্রামের মোঃ নজরুল ইসলামের মেয়ে সুমাইয়া ইসলাম(১৬) এই বছর স্থানীয় নিমসার তাহেরা জুনাব আলী উচ্চ বিদ্যালয়ের এস.এস.সি পরীক্ষায় অংশ গ্রহন করে এবং ফল প্রত্যাশী। সুমাইয়া ইসলাম এর মা রিনোয়ারা বেগম জানায় তার মেয়ে স্কুলে এবং পরীক্ষা দেওয়ার আসা-যাওয়ার সময় একই গ্রামের মোঃ শাহ্ জালালের ছেলে মোঃ ইমন(২৫) উত্তক্ত্য করত। এই নিয়ে তার পিতা-মাতা ও আত্মীয়-স¦জন নিকট জানালেও কোন সুফল পাওয়া যায়নি। বিগত এপ্রিল মাসের ৫ তারিখ দুপরে সকলের অজান্তে সুমাইয়াকে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এই ঘটনায় একই দিন বিকেলে বুড়িচং থানায় জিডি বা সাধারণ ডাইরি করা হয়। জিডি নং ১৭৪, এই জিডির পর বুড়িচং থানা পুলিশ অভিযান চালিয়ে তাকে উদ্ধার করে।

এর পর গত ২ মে বৃহস্পতিবার বিকেলে সুমাইয়া ইসলাম বাড়ির আঙ্গীনায় বের হয়ে আসলে পূর্ব থেকে উৎ পেতে থাকা বখাটে যুবক ইমন সহ ৩-৪ জন যুবক তাকে জোড় পূর্বক ভাবে টেনে-হিছড়ে অটোরিক্সা সিএনজিতে উঠিয়ে অজানার উদ্দেশ্যে অপহরণ করে নিয়ে যায়। এদিকে সুমাইয়ার মা আরো জানায় অপহরণের বিষয়টি অপহরণ কারি ইমনের বাবা শাহ্ জালাল তার মা অনু বেগমকে জানালে তারা বলেন আমার ছেলের সাথে তোমাদের মেয়ের বিয়ে দিলে মেয়েকে ফিরত পাবে, অন্যথায় মেয়েকে ফেরত পাবে না। তার মেয়ে সুমাইয়াকে কোথাও না পেয়ে গত শুক্রবার রাতে বুড়িচং থানায় বাদী হয়ে ৬ জনকে নামিয় এবং ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামী করে একাটি অভিযোগ দায়ের করে।

এই ব্যাপারে বুড়িচং থানার সেকেন্ড অফিসার এস.আই রাজিব কর বলেন এই ধরনের অপহরণের একটি অভিযোগ আমরা পেয়েছি। এর পূর্বেও একটি অপহরনের অভিযোগের প্রেক্ষিতে পুলিশ অভিযান চালিয়ে সুমাইয়া ইসলামকে উদ্ধার করে তার পিতা-মাতার নিকট দেওয়া হয়েছিল। পুনরায় অপহরণ হওয়ায় ভিকটিমকে উদ্ধারের পুলিশি তৎপরতা এবং অভিযান অব্যহৃত রয়েছে।

আরো পড়ুন