কুমিল্লা নগরে প্রবেশের তিন সড়ক বেহাল দশা
ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ কুমিল্লা মহানগরের পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের প্রবেশের গুরুত্বপূর্ণ ও অন্যতম প্রধান তিনটি সড়কের বেহাল অবস্থা। এতে এসব সড়কে চলাচলকারী শত শত যানবাহন ও হাজারো মানুষের ভোগান্তির অন্ত নেই। ছোট-বড় গর্ত আর খানাখন্দে ভরা এসব সড়ক যেনো পথচারী ও যাত্রী সাধারণের নিত্যদিনের দুঃখ হয়ে আছে।
কুমিল্লা-ঢাকা, কুমিল্লা-সিলেট ও জেলার পশ্চিমাঞ্চলের মানুষের কুমিল্লা মহানগরে যাতায়াতের প্রধান তিনটি সড়কের অধিকাংশ স্থানই চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়ক হতে কুমিল্লা মহানগরে যোগাযোগের ওই তিনটি সড়ক হচ্ছে মহাসড়কের নন্দনপুর হতে নগরীর টমছম ব্রিজ, মহাসড়কের ঝাগুরঝুলি হতে ধর্মপুর এবং মহাসড়কের আলেখারচর হতে শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড। এসব সড়কের মধ্যে টমছম ব্রিজ-কোটবাড়ী সড়কের বলরামপুর থেকে নন্দনপুর অংশের অবস্থা খুবই ভয়াবহ। গর্ত আর খানাখন্দে ভরা এ সড়কের প্রায় এক কি.মি অংশ একেবারে ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে পড়েছে। বলরামপুর দিদার মডেল স্কুল সংলগ্ন সড়ক এবং ধনপুর এনজিও অফিস সংলগ্ন সড়কে বড় বড় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। প্রতিদিনই এসব গর্তে কোনো না কোনো যানবাহন আটকে দুর্ঘটনা ঘটছে।
স্থানীয়রা জানান, মাঝে-মধ্যে কিছু কংক্রিট ও বালু ফেলা হয়, যা কয়েক দিনের মধ্যে আগের অবস্থায় ফিরে যায়। এদিকে মহাসড়কের ঝাগুরঝুলি হতে ধর্মপুর এবং আলেখারচর হতে শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড পর্যন্ত সড়কের অবস্থাও নাজুক হয়ে পড়েছে। খানাখন্দের কারণে প্রতিনিয়ত যাত্রীদের দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে। ধর্মপুর পশ্চিম চৌমুহনীর ইউপি চেয়ারম্যান কার্যালয় থেকে শহরমুখী সড়কে ডিগ্রি কলেজের সংযোগ সড়ক পর্যন্ত মাত্র কয়েক মিটার রাস্তার অবস্থাও একেবারে বেহাল। শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাস নির্মাণকে কেন্দ্র করে অধিক যানবাহনের চাপে আর বৃষ্টিতে পানি জমার কারণে রাস্তায় গর্তের সৃষ্টি হয়েছে। কিছুদিন পর পর উপজেলা পরিষদের উদ্যোগে কংক্রিট ও বালু ফেলা হলেও সমস্যা থেকেই যাচ্ছে। এছাড়া শাসনগাছা রেলওয়ে ওভারপাসের নির্মাণ কাজের ধীরগতির কারণে নগরীর রেইসকোর্স-শাসনগাছা বাসস্ট্যান্ড থেকে আলেখারচর ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের সংযোগ সড়কের দুর্গাপুর ও আলেখারচর মোড় পর্যন্ত সড়কের বিভিন্ন স্থানে গর্তের সৃষ্টি হয়ে ক্রমেই যানবাহন চলাচলের অযোগ্য হয়ে পড়েছে। প্রতিদিনই এসব গর্তে কোনো না কোনো যানবাহন আটকে দুর্ঘটনা ঘটছে। কুমিল্লা সড়ক ও জনপথ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী মোহাম্মদ সাইফ উদ্দিন জানান, এ বছর অতিবৃষ্টির কারণে এসব সড়ক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। সহসাই এসব সড়ক মেরামত করা হবে। তবে বৃষ্টি শেষ না হলে মেরামত করা সম্ভব হচ্ছে না।
সূত্রঃ ইত্তেফাক