কুমিল্লায় প্রেমিকার মরদেহ গাড়িতে ফেলে পালালো প্রেমিক
ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ প্রেমিকের প্রলোভনে ভালবাসার টানে পরিবার পরিজনকে ছেড়ে এসেছেন কুমিল্লার বুড়িচং উপজেলার আবিদপুর গ্রামের জনৈক আমেনা আক্তার (২২)। প্রেমিকের হাত ধরে বাড়ি ছাড়লেও লম্পট প্রেমিকের প্রতারণার শিকারে নাফেরার দেশেই ঠিকানা হলো তার।
মৃত্যুর পরও পাশে থাকেনি ভালবাসার মানুষটি। গাড়িতে মরদেহ রেখে বন্ধুদের নিয়ে পালিয়ে যায় কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের নবিয়াবাদ গ্রামের আব্দুল খালেক এর ছেলে মোস্তফা (৩৫)।
ঘটনাটি ঘটেছে বুধবার (৪ অক্টোবর) রাত ৮টায় ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার চান্দিনা-বাগুর বাস স্টেশন এলাকায়। রাত পৌঁনে ৯টায় বিষয়টি চান্দিনা থানা পুলিশকে অবহিত করার পর থেকে মাত্র আধা কিলোমিটার দূরত্বে ঘটনাস্থলে পুলিশ পৌঁছে রাত সোয়া ১০টায়।
স্থানীয় সূত্রে জানাযায়, নবিয়াবাদ গ্রামের মোস্তফা ইতিমধ্যে ৩টি বিবাহ বন্ধনে আবদ্ধ হয়। আবিদপুর গ্রামের জনৈক আমেনা আক্তারের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে বিয়ে করার প্রলোভন দেখিয়ে গত বুধবার (২৭ সেপ্টেম্বর) বাড়ি থেকে বের করে নিয়ে চান্দিনা পল্লী বিদ্যুৎ রোড এলাকার একটি বাসা ভাড়া নেয়। সেখানে নেওয়ার পর তাকে বিয়ে না করে পাশবিক নির্যাতন চালায়। বুধবার (৪ অক্টোবর) দুপুরে থেকে মোস্তফার আরও তিন সহযোগিকে নিয়ে নানা ওই বাসায় যায়। পরবর্তীতে মেয়েটি আত্মহত্যা করেছে বলে গুঞ্জন শুরু হয়।
চান্দিনা বাস ষ্টেশনে কেরানীর দায়িত্বে থাকা সুজন জানায়, মোস্তফা আমার একটি বাড়ির বাসিন্দা। রাত ৭ টার দিকে তার একজন রোগী আছে বলে আমাকে একটি মারুতি ভাড়ায় ঠিক করে দেওয়ার জন্য বলেন। আমি তার কথামত একটি মারুতি রিজার্ভ ঠিক করে দেই। কিছুক্ষণ পর মারুতি চালক এসে বলেন, ‘একটি মেয়েকে ধরাধরি করে গাড়িতে তুলে গাড়ির সিটে শোয়ে দিয়ে তারা আসি বলে পালিয়ে যায়’।
এসময় মোস্তফার সাথে জাহাঙ্গীর ও কালা নামে আরও দুইজন সহযোগি ছিল। তারাও কেউ নেই।
চান্দিনা থানার পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) কামরুজ্জামান তালুকদার জানান, মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। হত্যা না আত্মহত্যা তা সঠিক ভাবে বলা যাচ্ছে না। বিষয়টি তদন্ত করা হচ্ছে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে।
সূত্রঃ কুমিল্লার কাগজ