বুড়িচংয়ে ডাকাতি কালে দুই ডাকাতকে গনধোলাই দিয়ে পুলিশে সোর্পদ
ডেস্ক রিপোর্টঃ রোববার রাত সাড়ে ৯ টায় কুমিল্লার বুুড়িচং উপজেলার আরাগ আনন্দপুর- সাদকপুর সড়কে যাত্রীকে মারধর করে আটোরিকশাও বিভিন্ন যান বাহনের যাত্রী সাধারণকে ডাকাতির করার সময় এলাকাবাসী ও জনতা ঘেরাও করে ডাকাত দলের ২ সদস্যকে আটকে গণধোলাই দিয়ে পুলিশে সোপার্দ করেছে।
পুলিশ, যাত্রী ও স্থানীয় সূত্রে জানায় ,জেলার বুড়িচং উপজেলার আরাগ আনন্দপুর – সাদকপুর নোয়া পাড়া সড়কে রোব রাত ৯ টা থেকে যান বাহনে গণ ডাকাতি শুরু হয় । এসময় আরাগ গ্রামের মো: খালেকের ছেলে রবিউল তার আটোরিকশা নিয়ে সাদক পুর নোয়াপাড়া থেকে বুড়িচং গামী আরাগ পশ্চিমপাড়া ফিসারী নামক স্থানে পোঁছার সাথে সাথে মূখোসধারী ৪-৫ জনের একটি ডাকাত দল আটোরিকশার যাত্রীদের নামিয়ে মারধর করে এবং অাটোরিকশা চালক রবিউলকে গাছের সাথে বেঁধে রাখে।তখন
তাদের চিৎকার শোনে অপর দিক থেকে অাসা অন্য একটিআটোরিকশা সিএনজির যাত্রীরা ডাকাত দলের সদস্য পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টার করার সময় ২ জনকে আটক করে ফেলে এলাকা বাসী ও জনতা।তখন আরো ২ ডাকাত সদস্য পালিয়ে যায়। আটক দুই ডাকাতকে গণধোলাই দেয়। বুড়িচং থানার পুলিশকে খবর দিলে এসআই পুষ্প বরণ চাকমা, এসআই মোয়াজ্জেম হোসেন, এ এস আই মহিউদ্দিন সহ সাঙ্গীয় ফোর্স ঘটনা স্থলে গিয়ে ২ ডাকাতকে থানায় নিয়ে যায়।
এক ডাকাতের বাড়ি বুড়িচং উপজেলার জগতপুর গ্রামের মৃত আব্দুর রশিদ এর ছেলে মোঃ সাইফুল ইসলাম (২৩) ও অপরজনের বাড়ি ময়মনসিংহ জেলার গৌরিপুর উপজেলার পাচকাহনিয়া গ্রামের হারুনুর রশিদ এর ছেলে মোঃ সামিম ।
উপজেলার ছাত্রলীগের নেতা মো: জুয়েল, প্রত্যক্ষ সূত্র জানান, অামারা চিৎকার শোনে দুই ডাকাতকে আটক করে থানায় খবর দিলে সঙ্গে সঙে ঘটনাস্থলে পুলিশ এসে তাদেরকে উদ্ধার করে নিয়ে যায়।এ ছাড়া এই সড়কে প্রায়ই ডাকাতি হয়ে থাকে। এ সড়ক নিয়ে এলাকাবাসী প্রতিনিয়ত মহা জামেলায় থাকতে হয়। পুলিশ আরো জানায় ডাকাতদের আরও ৩-৪ জন সঙ্গী পালিয়ে গেছে। ডাকাত সর্দার উপজেলার সদর ইউনিয়ন এর জগত পুর গ্রামের শামসুল আলমের ছেলে আশিক ডাকাত তাদের সর্দার।
বুড়িচং থানার ওসি আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান আটক ডাকাতদের বুড়িচং উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করানো হয়েছে। ঘটনার সময় আরও ৩-৪ জন ডাকাত পালিয়েছে। এব্যপারে বুড়িচং থানায় একটি মামলা দায়ের করার প্রস্তুতি চলছে।