অগ্নি ঝুঁকিতে কুমিল্লা নগরী
ডেস্ক রিপোর্টঃ শুরু হয়েছে শুষ্ক মওসুম।আর শুষ্ক মওসুমে কুমিল্লায় ঘটে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা।চলমান শুষ্ক মৌসুমে চরম ঝুঁকিতে রয়েছে নগর কুমিল্লা।মূল সড়কের পাশে-গলির মধ্যে নকশা বর্হিভূত সুউচ্চ দালান আর পর্যাপ্ত পুকুর দিঘীর অভাবে চলমান শুষ্ক মৌসুমে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে জানমালের ব্যাপক ক্ষতির আশংকা রয়েছে।এ নিয়ে জনমনে রয়েছে উদ্বেগ উৎকন্ঠা।
সূত্র জানায় , কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিসের ৭ তলা পর্যন্ত অগ্নি নির্বাপণের ব্যবস্থা থাকলেও নগর কুমিল্লায় প্রধান সড়ক-অলিগলিতে গড়ে উঠেছে নকশা বর্হিভূত ১২ থেকে ১৫ তলার অন্তত শতাধিক সুউচ্চ দালান।এসব দালানগুলোর বেশীরভাগই আবাসিক কাজে ব্যবহৃত হচ্ছে। পর্যাপ্ত পানির ব্যবস্থা না থাকায় চলমান শুষ্ক মৌসুমে সুউচ্চ দালানে অগ্নি দুর্ঘটনা ঘটলে চরম ভয়াবহ পরিস্থিতি সৃষ্টি হবে।
সরেজমিনে,মহানগরীর জনবহুল কান্দিরপাড় , রানীর বাজার , বাগিচাগাও , রেসকোর্স, ঝাউতলা, ফৌজদারি, আদালত,নগরীর পদুয়ার বাজারসহ আশেপাশের এলাকায় শতাধিক সুউচ্চ দালান রয়েছে যেগুলো ১০-১৫ তলা পর্যন্ত নির্মাণ করা হয়েছে।
এছাড়াও উল্লেখিত এলাকায় গলির মধ্যেও নির্মাণ করা হয়েছে সুউচ্চ দালান।এসব গলিতে একটি রিক্সা বা ব্যাটারি চালিত অটোরিক্সা প্রবেশ করলে বিপরীত দিক থেকে আরেকটি অটোরিক্সা গলি পার হতে পারে না।এমতাবস্থা অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কিভাবে ফায়ার সার্ভিসের গাড়ি প্রবেশ করবে তার কোন উত্তর জানা নেই নগরবাসীর।এমন পরিস্থিতিতে কোন সুউচ্চ দালানে অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে কি পরিস্থিতি হবে তা সহজে অনুমেয়।
নগরবাসীর অভিযোগ সুউচ্চ দালানগুলো নির্মাণ করতে গিয়ে ভরাট করা হয়েছে নগরীর দিঘি ও পুকুরগুলো। যার ফলে কোথাও অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটলে তাৎক্ষণিক পানি সরবরাহ দুষ্কর হয়ে উঠবে।
কুমিল্লা ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের উপ-পরিচালক প্রাণনাথ সাহা জানান, তাদের যে পরিমাণ ইকুইপমেন্ট(যন্ত্রপাতি) আছে তা দিয়ে সাততলা পর্যন্ত উদ্ধার কাজ পরিচালনা সম্ভব হবে।
যদি সাত তলার চেয়ে উঁচু দালানে আগুন লাগে সেক্ষেত্রে ফায়ার সার্ভিসের সদস্যদেরকেও অন্যদের মত দাঁড়িয়ে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা করা ছাড়া আর কিছুই করার থাকবে না।
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা অনুপম বড়ুয়া জানান, মূলত সিটি কর্পোরেশন এখানে চাইলে সুউচ্চ দালান নির্মাণের অনুমতি দিতে পারে না। সুউচ্চ ভবন নির্মাণের মধ্যে কতগুলো শর্তের মধ্যে একটি হচ্ছে ফায়ার সার্ভিসের ছাড়পত্র লাগবে। সুউচ্চ ভবণ নির্মাণের ফায়ার সার্ভিস তার দায় এড়াতে পারে না।
বিষয়টি নিয়ে কুমিল্লা জেলা প্রশাসক মো:আবুল ফজল মীর বলেন, কুমিল্লায় যেন অগ্নিদুর্ঘটনা ঘটলে দ্রুত উদ্ধার কার্যক্রম পরিচালনা করার মাধ্যমে ক্ষতি ন্যূনতম মাত্রায় রাখা যায় সে জন্য ফায়ার সার্ভিস এ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের সক্ষমতা বাড়ানোর লক্ষ্য যথাযথ কর্র্তৃপক্ষের কাছে চিঠি দিয়েছি।
সূত্রঃ আমাদেরসময়