মনোহরগঞ্জে ইউপি মেম্বারের হামলায় আ.লীগ নেতাসহ আহত ৩
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার মনোহরগঞ্জের মৈশাতুয়া ইউনিয়নের আমতলী গ্রামে অবৈধভাবে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে ব্যাটমিন্টন খেলার প্রতিবাদ করায় কামাল হোসেন নামে এক আওয়ামী লীগ নেতাসহ ৩ জনকে এলোপাতাড়ি পিটিয়ে, কুপিয়ে আহত করা হয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। আহত কামাল হোসেনের অভিযোগ, মৈশাতুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ডের মেম্বার ওয়াহিদুর রহমান লিটনের নেতৃত্বে তাদের উপর হামলা চালানো হয়েছে। কামাল মৈশাতুয়া ইউনিয়নের ৩ নম্বর ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এবং আমতলী গ্রামের মৃত ইব্রাহিম মিয়া ছেলে। এ ঘটনায় আহত অপর দুইজন হলেন, কামালের ছেলে আবুল কাসেম ও মাহফুজ আহমেদ রনি।
শনিবার (৩০ নভেম্বর) সকালে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন কামাল হোসেন বলেন, আমতলী গ্রামে আমার শ্যালকের বাড়ির পাশে অবৈধভাবে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে ব্যাটমিন্টন খেলা চালু করে মেম্বার লিটন ও তার লোকজন। আমি তাদেরকে অবৈধভাবে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে ব্যাটমিন্টন না খেলতে বলেছিলাম। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে বৃহস্পতিবার রাতে মেম্বার লিটনের নেতৃত্বে সন্ত্রাসীরা প্রথমে আমাকে গালমন্দ করে। এরপর হামলা চালিয়ে তারা আমার ছেলেদের মারতে শুরু করে এবং পরে আমাকেও পেটাতে শুরু করে। সন্ত্রাসীরা আমার পুরো শরীরে পিটিয়েছে। আমার বড় ছেলে কাসেমের মাথায় কোপ দেওয়া হয়েছে, তার মাথায় ৭টি সেলাই লেগেছে। কাসেমের হাতের একটি আঙুলও ভেঙে ফেলেছে সন্ত্রাসীরা। আমার ছোট ছেলে স্থানীয় নীলকান্ত ডিগ্রি কলেজের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্র রনিকে মেরে মারাতœকভাবে পিটিয়ে আহত করেছে। অবস্থা আশংকাজনক হওয়ায় তাকে ঢাকা ঢাকা মেডিকেলেও প্রেরণ করা হয়েছিলো। সন্ত্রাসীদের কারনে আমার ছেলেটা পরীক্ষাও দিতে পারলো না। আমি এই ঘটনায় আইনের আশ্রয় নিবো।
এদিকে, এসব অভিযোগ অস্বীকার করেছেন মেম্বার ওয়াহিদুর রহমান লিটন। তিনি দাবি করেন, পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ দিয়ে গ্রামের ছেলেরা প্রতি বছরই ব্যাটমিন্টন খেলে। এই বছরও তারা খেলা শুরু করেছিল। কিন্তু কামাল হোসেন তাদেরকে খেলতে বাধা দিয়ে তারা জানায়, আমরা মেম্বার সাহেবের অনুমুতি নিয়ে পল্লী বিদ্যুতের সংযোগ থেকে লাইন নিয়ে খেলছি। এরপর কামাল তাদের বাধা দিলে আমি প্রতিবাদ করি। এ ঘটনায় ক্ষিপ্ত হয়ে কামাল হোসেন ও তার ছেলেরা আমার এবং আমার পরিবারের উপর হামলা করেছে। তাদের হামলায় আমি, আমার মা, ভাবী এবং ভাতিজা গুরুতর আহত হয়েছি। আমরাও হাসপাতালে ভর্তি। আমার বিরুদ্ধে করা এসব অভিযোগ সত্য নয়।
এদিকে, এই ঘটনায় শনিবার রাত পর্যন্ত কেউই থানায় কোন অভিযোগ বা মামলা করতে যায়নি বলে জানিয়েছে মনোহরগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র।