কুমিল্লার উন্নয়ন কে আমি আমার নিজের উন্নয়ন মনে করি – এলজিইডি মন্ত্রী
মারুফ আহমেদঃ কুমিল্লার উন্নয়নের লক্ষ্য নিয়ে কোন বিচ্ছিন্ন উন্নয়ন নয় পরিকল্পিত উন্নয়ন করতে হবে। এজন্য দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা নিতে হবে। গতকাল শুক্রবার বিকেলে কুমিল্লা এলজিইডি মিলনায়তনে কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র,সদর আসনের এমপি,কাউন্সিলর,পদস্থ কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্দেশ্যে এক সভায় এলজিইডি মন্ত্রী মোঃ তাজুল ইসলাম প্রধান অথিথির বক্তব্যে একথা বলেন।
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র মনিরুল হক সাক্কুর সভাপতিত্বে সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে মন্ত্রী তাজুল ইসলাম বলেন, কুমিল্লা একটি ছোট শহর। এই শহরের উন্নয়নে প্রতিটি পরিকল্পনা নিতে হবে দীর্ঘ মেয়াদী। এখানকার লোকসংখ্যা ,তাদের জীবন যাত্রা,লজিষ্টিক সাপোর্ট কেমন হবে ভবিষ্যতে , যানবাহন চলাচলের রাস্তা,মানুষের চলাচলের জন্য ফুটপাত ,পর্যাপ্ত পানি সরবরাহ ইত্যাদি সবদিকেই খেয়াল রাখতে হবে। আর এজন্য প্রয়োজন ভবিষ্যত পরিকল্পনা। এই পরিকল্পনা যদি বাস্তবভিত্তিক হয় তাহলে ভালো। তানাহলে জনদুর্ভোগ থেকে মানুষ মুক্তি পাবেনা।
একটা আধুনিক নগরী গড়ার লক্ষ্যে ভবিষ্যত পরিকল্পনার কথা উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, পরিকল্পিত নগরী করতে হলে প্রথমেই প্রয়োজন নির্দিষ্টস্থানে আবাসন প্রকল্প। এরসাথে থাকবে ফুটপাত,ড্রেনেজ ব্যবস্থা। কেননা যেভাবে ছোট্ট এই নগরীতে জনসংখ্যা বাড়ছে এরসাথে অর্থনৈতিক জীবনযাত্রার উন্নয়ন হলে মানুষ চলাচলে গাড়ি কিনবে। ফলে বর্তমানে থাকা রাস্তা-ঘাটে জীবন যাত্রা থমকে যাওয়ার সম্ভাবনা দেখা দিবে। তখন মানুষ গাড়ি রেখে পায়ে হেটে গন্তব্যে পৌঁছার চেষ্টা করবে। এজন্য প্রয়োজন পায়ে চলার পর্যাপ্ত রাস্তা। তিনি আরো বলেন, নগরীতে অনেকস্থানে রাস্তা বা পায়ে চলার পথ দখল করে বাসা-বাড়ি নির্মান করছেন অনেকেই। এতে বসবাসের অনুপযোগী হয়ে পড়ছে নগরী। এজন্য সচেতন হতে হবে উল্লেখ করে মন্ত্রী বলেন, আমার ক্ষমতা আছে বলে আমি বর্তমানে থাকা ক্ষমতার অপব্যবহার করে বাড়ি নির্মান করবো আর জনদুর্ভোগ বাড়বে এটা কাম্য হতে পারেনা। তিনি প্ল্যান নিয়ে বাড়ি-রাস্তা-ঘাট নির্মানের পরামর্শ দেন। তিনি বলেন,এই নগরীর উন্নয়ন বা বসবাসের উপযোগী আমার জন্য না। এই নগরীর বাসিন্দাদের জন্য। অপরিকল্পিতভাবে উন্নয়ন করলে আবারো সেগুলো ভেঙ্গে নতুন করে উন্নয়ন করতে অনেক টাকা ব্যয় হবে। তিনি বলেন, যেভাবে লোকসংখ্যা বাড়ছে,তাতে মাটির নীচ থেকে পানি উত্তোলনের কারণে পানির স্তর নীচে নেমে যাচ্ছে। এথেকে উত্তোরণে মেঘনা ও চাঁদপুর থেকে লাকসাম হয়ে একটি প্রকল্প নেওয়া হয়েছে । জীবন যাত্রার মানোন্নায়নে এখানে পাওয়ার প্লান্টসহ বিভিন্ন প্রকল্প নেওয়ারও আহবান জানান। তিনি আরো বলেন,ট্যাক্স বিষয়টি জনগণের বোঝা নয়। এই টাকা সরকার নগরবাসীর উন্নয়নেই ব্যয় করছে। তিনি কুমিল্লা নগরীর উন্নয়নের জন্য এসময় প্রকল্প গ্রহণের আহবান জানিয়ে বলেন, এক ,দেড় হাজার কোটি টাকার প্রকল্প নেন,আমি সেটা দেখবো। তিনি উন্নয়ন কাজের মান এবং উৎপাদনমূখী চিন্তা নিয়েও এসময় উপস্থিত সবাইকে কাজ করার আহবান জানান।
অনুষ্ঠানে অন্যান্যেও মধ্যে বক্তব্য রাখেন, সিটি মেয়র মনিরুল হক সাক্কু , কুমিল্লা সদর আসনের এমপি আ ক ম বাহাউদ্দিন বাহার, এলজিইডি’র তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী (অতিঃ চট্টগ্রাম বিভাগ) এ এন এম এনায়েতুর রহমান , কুমিল্লা অ ল তত্ত্বাবধায়ক প্রকৌশলী মোখলেসুর রহমান, সিটি করপোরেশনের প্রধান প্রকৌশলী মীর শওকত হোসেন. নির্বাহী প্রকৌশলী খন্দকার আসাদুজ্জামান,জনস্বাস্থ্য নির্বাহী প্রকৌশলী খালেদুজ্জামানসহ সিটি করপোরেশনের কর্মকবর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।