কুমিল্লায় দেবিদ্বারে বিদ্যালয়ের ছাদের পলেস্তার ধ্বসে শিক্ষার্থী আহত
দেবীদ্বার উপজেলার ভানী ইউনিয়নের ‘দাড়িয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়’র ছাদের পলেস্তার ধ্বসে নূরজাহান নামে পঞ্চম শ্রেণীর এক ছাত্রী মারাত্মক আহত হয়েছেন। বর্তমানে তাকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। ঘটনাটি ঘটে শনিবার বেলা ১টায় বিদ্যালয়ে পাঠদান চলাকালে। ওই শিক্ষার্থী দাড়িয়াপুর গ্রামের পশু চিকিৎসক ডাঃ মোঃ আলমগীর হোসেন এবং রাবেয়া বেগম’র কণ্যা।
‘দাড়িয়াপুর সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়’র প্রধান শিক্ষক রেবেকা সুলতানা শনিবার বিকেল ৫টায় জানান, বেলা ১টায় সহকারী শিক্ষিকা লাইলি আক্তার বাংলা ক্লাশ নিচ্ছিলেন, হঠাৎ পঞ্চম শ্রেণী কক্ষের ছাদের পলেস্তার ধ্বসে নূরজাহান নামে এক ছাত্রীর মাথা ফেটে রক্ত ঝরতে দেখে আমরা ভয়পেয়ে যাই। পরে তাকে দ্রæত ‘ঢাকা-চট্রগ্রাম মহা সড়কের পাশে চান্দিনা উপজেলার মাধাইয়া বাজারের ‘সেবা হাসপাতাল’ নামে একটি প্রাইভেট হাসপাতালে ফেটে যাওয়া মাথার অংশে সেলাই করে প্রাথমিক চিকিৎসা সেবা দেই, সংবাদ পেয়ে তার অভিভাবকরা হাসপাতাল ছুটে আসেন। পরে আশংকা জনক অবস্থায় তাকে বিকেল ৫টার দিকে চান্দিনা উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যাই। তিনি আরো বলেন, ১৯৯৫ সালে বিদ্যালয়টি বেসরকারী থাকাকালীন ভবনটি নির্মাণ হয়েছিল। পুরাতন ভবনটি পরিত্যাক্ত ঘোষণা করে নতুন ভবনের জন্য আবেদনও করেছিলাম। কর্তৃপক্ষ জানিয়েছেন পর্যায়ক্রমে ভবনের বরাদ্ধ দেয়া হবে। এরই মধ্যে দূর্ঘটনা ঘটে গেল।
দেবীদ্বার প্রাথমিক শিক্ষক সমিতির সভাপতি মোঃ কামরুজ্জামান ভূঁইয়া বলেন, বিদ্যালয়টি অনেক আগে থেকেই ঝুকিপূর্ণ ছিল। এরকম প্রায় ২০/২৫টি সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে যেগুলো পর্যায়ক্রমে নতুন ভবন নির্মান করা হবে।
এব্যাপারে দেবীদ্বার উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা গাজী মোঃ আনোয়ার হোসেন’র সাথে সেল ফোনে যোগাযোগ করার চেষ্টা করেও কথা বলা সম্ভব হয়নি। তবে দেবীদ্বার উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ঘটনার সত্যতা স্বীকার করে বলেন, বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলেছি আহত ছাত্রীর সর্বোচ্চ চিকিৎসার সেবার ব্যবস্থা করতে।