কুমিল্লায় বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা অনালয়ো-এর শুভ উদ্বোধন
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ পরিকল্পনামন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল এমপি বলেছেন, বাংলাদেশ একটি সর্বধর্মের সম্প্রীতির দেশ। এদেশের প্রতি সকল ধর্মের লোকদের অবধান রয়েছে। স্বাধীনতা সংগ্রামে কোন ধর্মের উপর নয় দেশের প্রতি ভালবাসায় সকল ধর্মের মানুষ মুক্তিযুদ্ধে ঝাপিয়ে পড়ে এ দেশকে স্বাধীন করে। বর্তমান সরকার অসাম্প্রদায়িক ধারা বজায় রাখতে বদ্ধপরিকর।
তিনি গতকাল শনিবার কুমিল্লার কোটবাড়িতে অনুষ্ঠিত থাইল্যান্ড-বাংলাদেশের উদ্যোগে ইয়াং ম্যান্স বুদ্ধিস্ট এসোসিয়েশন এবং সংঘরাজ জ্যোতিপাল মহাথেরো ফাউন্ডেশন আয়োজিত বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা অনালয়ো-এর শুভ উদ্বোধন এবং কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা অনালয়ো‘র এ উদ্বোধনের মধ্য দিয়ে আশা করছি ধর্মীয় চেতনা জাগিয়ে এ দেশের পর্যটন শিল্পের বিকাশে এটি অনন্য ভূমিকা রাখবে।
মন্ত্রী বলেন, এ বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা মহামানব গৌতম বুদ্ধের মৈত্রী ও করুণার বানী ধারণ করে অসম্প্রদায়িক চেতনার উবর্র ক্ষেত্র জাতির জনকের স্বপ্নের সোনার বাংলা বিনির্মানে সহায়ক ভূমিকা রাখবে। এ দেশের মানুষ মিলেমিশে নিজ নিজ ধর্ম পালনের পাশাপাশি অন্য ধমের্র প্রতিও শ্রদ্ধা ও সম্প্রীতি প্রদর্শন করে আসছে-এটি আমাদের অহঙ্কার।
শ্রীমৎ ধর্ম রক্ষিত মহাথেরোর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত ওই উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, কুমিল্লা পুলিশ সুপার শাহ মো. আবিদ হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক(সার্বিক) মরিুজ্জামান তালুকদার, বাংলাদেশ বুদ্ধিষ্ট ফেডারেশনের সভাপতি প্রফেসর অসিত রঞ্জণ বড়ুয়া, কুমিল্লা সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী অফিসার রূপালী মন্ডল প্রমুখ। অনুষ্ঠানে স্বাগত ভাষন দেন সংঘরাজ জ্যোতিপাল মহাথেরো ফাউন্ডেশনের সাধারণ সম্পাদক শ্রীমৎ শীলভদ্র মহাথেরো।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে আমেরিকা, থাইল্যান্ড, চীন, কম্বোডিয়া ও লাওসসহ বিভিন্ন দেশ থেকে ৮৬ জন বুদ্ধ ধর্মীয় পুরুষ মহিলা অংশ নেন।
কুমিল্লার এ বিশ্ব শান্তি প্যাগোডা অনালয়ো-এর উদ্বোধন এবং কঠিন চীবর দানোৎসব অনুষ্ঠান উপলক্ষে দিনব্যাপী বিভিন্ন কর্মসূচীর মধ্যে বৌদ্ধ পূজা ও সংঘদান, ভিক্ষু সংঘের পিন্ড দান, মঙ্গলাচরন, বৃত্তিপ্রাপ্ত কৃতি শিক্ষার্থীদের মাঝে ক্রেষ্ট বিতরণসহ বিভিন্ন ধর্মীয় অনুষ্ঠান মালার মধ্যদিয়ে পবিত্র কঠিন চীবন দানোৎসব ও বৌদ্ধ ধর্মীয় সম্মেলন এবং কঠিন চীবরদানোৎসব অনুষ্ঠানটি পালিত হয়েছে। অনুষ্ঠান সূচীর শেষে সন্ধ্যায় বৌদ্ধ বিহার প্রাঙ্গনে বিশ্বে শান্তি কামনায় ফানুস উড্ডয়ন ও এক মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়।