দেবীদ্বারে জ্বর, সর্দি, কাশিতে ৩ জনের মৃত্যু
কুমিল্লার দেবীদ্বারে জ্বর, সর্দি, কাশি ও গলাব্যথা নিয়ে তিনজনের মৃত্যু হয়েছে। গতকাল শনিবার রাত ১১টা থেকে রোববার ভোরের মধ্যে তাঁদের মৃত্যু হয়। তাঁরা উপজেলায় করোনাভাইরাস সংক্রমিত এলাকার বাসিন্দা।
মারা যাওয়া তিনজন হলেন উপজেলার বরকামতা ইউনিয়নের জাফরাবাদ গ্রামের লাল মিয়া (৮০), একই ইউনিয়নের নবীয়াবাদ গ্রামের হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া (৩৫) এবং দেবীদ্বার পৌরসভার পাঠানবাড়ি এলাকার অবসরপ্রাপ্ত সেনাসদস্য নয়ন মিয়া (৬০)।
জানা গেছে, গতকাল রাত সাড়ে ১১টায় জ্বর–সর্দি নিয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের আইসোলেশন ওয়ার্ডে মারা যান লাল মিয়া। হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাঁর নমুনা সংগ্রহ করে রাখে। আজ রোববার সকাল ১০টায় গ্রামের বাড়িতে তাঁর দাফন সম্পন্ন হয়। গতকাল মধ্যরাতে কুমিল্লা শহরের ঝাউতলা এলাকার মুন হাসপাতালে গলাব্যথা ও জ্বর নিয়ে মারা যান নয়ন মিয়া (৬০)। সন্ধ্যায় গ্রামের বাড়ি মুরাদনগর উপজেলার ছিলমপুর গ্রামে তাঁকে দাফন করা হয়।
এদিকে আজ ভোর চারটায় নিজ বাড়িতে জ্বর, সর্দি ও কাশি নিয়ে মারা যান হেলাল উদ্দিন ভূঁইয়া (৩৫)। তিনি নবীয়াবাদ গ্রামের ঈদগাহ সংলগ্ন ভূঁইয়াবাড়ির সাবেক কৃষি কর্মকর্তা ছায়েদ আলী ভূঁইয়ার ছোট ছেলে। বেলা ১১টায় তাঁর দাফন হয়।
দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা আহম্মেদ কবীর বলেন, জাফরাবাদ গ্রামের লাল মিয়ার মৃত্যুর বিষয়টি নিশ্চিত হয়ে তাঁর গ্রামের বাড়ি থেকে চারজনের নমুনা সংগ্রহ করা হয়েছে। অপর দুজন হেলাল উদ্দিন ও নয়ন মিয়া সম্পর্কে কেউ আমাদের লিখিত বা মৌখিকভাবে জানাননি। তাই তাঁদের বিষয়ে কোনো ব্যবস্থা গ্রহণ কিংবা নমুনা সংগ্রহ করা হয়নি। তাঁরা সবাই দেবীদ্বারের সংক্রমিত এলাকারই লোক।
দেবীদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স গত এক মাসে এই উপজেলার ৩১৪ জনের নমুনা করোনা পরীক্ষার জন্য পাঠায়। এদের মধ্যে ২০৮ জনের প্রতিবেদন আসে। এর মধ্যে ৪১ জন পজিটিভ এবং ১৬৮ জনের নেগেটিভ আসে। ৪১ জনের মধ্যে ছয়জন মারা গেছেন।
সূত্রঃ প্রথম আলো