কুমিল্লায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের দিশেহারা গ্রাহক, অফিস ঘেরাও
কুমিল্লায় অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের প্রতিবাদে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করেছে শতাধিক গ্রাহক। বৃহস্পতিবার সকালে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার পালপাড়া বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে বিক্ষোভ করে গ্রাহকরা।এ সময় অফিসের মূল ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেয় বিদ্যুৎ অফিসের কর্মকর্তারা।
সরেজমিনে বেলা ১১ টায় বিদ্যুৎ অফিসে গিয়ে দেখা যায়, দুই শতাধিক নারী-পুরুষ বিদ্যুৎ বিলের কপি হাতে নিয়ে বিক্ষোভ করছে। অতিরিক্ত বিলের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে বিদ্যুৎ অফিস ঘেরাও করে। এ সময় অফিসের দায়িত্বরত কর্মকর্তারা অফিসের ভেতরে অবস্থান করে প্রধান ফটকে তালা লাগিয়ে দেয়।
গ্রাহকরা জানায়, করোনা ভাইরাস সংক্রমনের কারনে এমনিতেই সাধারণ মানুষ গৃহবন্ধি হয়ে আছে। উপার্জন না থাকায় খেয়ে না খেয়ে কোন রকম দিনাপাত করছে। এর উপর বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন অতিরিক্ত বিল তৈরী করে বাড়িতে পাঠিয়েছে।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর নির্দেশনা থাকার পরও গত দু’মাসের বিলের জরিমানাসহ একসাথে দেয়া হয়েছে।
গ্রাহকরা অভিযোগ করে আরো বলেন, মিটারের কাছে না গিয়ে অফিসে বসে ইচ্ছেমতো বিল তৈরী করা হচ্ছে। ফলে বিদ্যুৎ বিলের কাগজের সাথে মিটারে ব্যাবহৃত রিডিংয়ের মিল নেই।
অফিসে বসে মনগড়া বিল তৈরী করার কারনে ব্যবহৃত রিডিংয়ের চেয়ে অতিরিক্ত রিডিং বিল করা হয়েছে।
ভুক্তভোগী রাসেল, স্বপন জানান, পালাপাড়া বিদ্যুৎ অফিসের লোকজন অফিসে বসে মনগড়া বিদ্যুৎ বিল তৈরী করে। এ বিষয়ে যোগাযোগ করলে দায়িত্বে থাকা লোকজন জানান, এ মাসে বিল দিয়ে যান। পরের মাস থেকে ঠিক করে দেবো। এ কথা বলে প্রতি মাসেই বাড়তি বিদ্যুৎ বিল নিচ্ছে পালপাড়া বিদ্যুৎ অফিস।
এমন অতিরিক্ত বিদ্যুৎ বিলের বোঝা সইতে না পেরে কামাল মিয়ার সুফিয়া বেগম এসেছেন বিক্ষোভ করতে। তিনি জানান, স্বামীর আয় নেই। গত দুই মাসের তুলনায় চলতি মাসে বিল এসেছে দ্বিগুন। এ নিয়ে বৃদ্ধা সুফিয়া বেগমের আক্ষেপের শেষ নেই।
এদিকে গ্রাহকদের বিক্ষোভের কারনে ভিতর থেকে অফিসে তালা ঝুলিয়ে দেয় কর্তৃপক্ষ। এ বিষয়ে পালপাড়া বিদ্যুৎ বিতরণ কেন্দ্রের আবাসিক প্রকৌশলী মোঃ কামাল উদ্দিন মোবাইল ফোনে জানান, করোনা সংক্রমনের কারনে বাড়ী বাড়ী গিয়ে রিডিং নেয়া হয়নি বিধায় কিছুটা সমস্যা হতে পারে। আগামী মাস থেকে গ্রাহকদের সকল সমস্যা সমাধান করা হবে।