কুমিল্লায় ফেসবুকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণের খবর ভাইরাল, পুলিশ বলছে ‘চেষ্টা’
কুমিল্লায় বাড়ি ফেরার পথে এক তরুণী (২২) সংঘবদ্ধ ধর্ষণের শিকার হয়েছেন, এমন তথ্য সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। এ নিয়ে কুমিল্লাজুড়ে সৃষ্টি হয়েছে তোলপাড়। তবে পুলিশ বলছে ওই তরুণীকে ‘ধর্ষণের চেষ্টা’ হয়েছে। ভিকটিমের পরিবারও এ বিষয়ে গণমাধ্যমে কোনও তথ্য দিতে চাননি।
নির্যাতনের শিকার তরুণী বলেন, ‘আমি অসুস্থ, হাসপাতালে আছি। আমার যতটুকু ইজ্জতহানি হয়েছে, গণমাধ্যমে প্রকাশ করে বাকিটুকুও শেষ করতে চাই না। আমাদের জন্য আইন আদালত আছে। আমরা মামলা করেছি, পুলিশ সব জানে।’
এদিকে বৃহস্পতিবার (৫ নভেম্বর) কুমিল্লার কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, কর্মস্থল থেকে বাড়ি ফেরার পথে এক নার্সকে ধর্ষণের চেষ্টা করা হয়েছে। পুলিশের জিজ্ঞাসাবাদে ভুক্তভোগী তরুণী পুলিশের কাছে ধর্ষণচেষ্টার বিষয়টি জানিয়েছেন। তিনি নিজে বাদী হয়ে দুই জনকে আসামি করে একটি মামলা করেন। তার মধ্যে রিয়াদ নামে একজনকে গ্রেফতার করা হয়েছে।
আসামিরা হলেন, কুমিল্লার কালিরবাজার ইউনিয়নের মোস্তাফাপুর কাচার গ্রামের খোকন মিয়ার ছেলে রিয়াদ (২০) এবং একই গ্রামের বাসিন্দা রিপন (২৫)।
ভুক্তভোগী তরুণী কুমিল্লার কালিরবাজার ইউনিয়নের মোস্তফাপুর কাচার গ্রামের বাসিন্দা। সেই কালিরবাজারে একটি ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে নার্স হিসেবে কর্মরত ছিলেন।
কালিরবাজার ইউনিয়নের সাবেক মেম্বার মো. মান্নান জানান, কাজ শেষে নির্যাতনের শিকার তরুণী বুধবার (৪ নভেম্বর) রাতে বাড়ি ফিরছিলেন। এ সময় সড়কের পাশে বসে থাকা দুটি ছেলের মধ্যে রিয়াদ ওই মেয়ের হাত ধরে ধর্ষণের চেষ্টা করে। তখন অভিযুক্তদের হাত থেকে ছুটে মেয়েটি দৌড়ে বাড়িতে আসে। এরপর সে অজ্ঞান হয়ে পড়ে। তখন ক্ষিপ্ত হয়ে তার প্রতিবেশীরা অভিযুক্ত রিয়াদের বাড়িতে হামলার চেষ্টা করে। ঘটনা শুনে আমরা সেখানে যাই। পরে অভিযুক্ত রিয়াদকে আটক করে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করি।
অন্যদিকে ভাতিজিকে ধর্ষণের কথা শুনে স্ট্রোকে চাচার মৃত্যুর তথ্যটি সম্পূর্ণ গুজব বলে জানান মেম্বার মো. মান্নান। তিনি বলেন, ওই সময় এক প্রবাসী সেখানে উপস্থিত ছিলেন। তিনি ঘটনাস্থলে সমস্যা সৃষ্টি হলে উচ্চস্বরে কথা বলতে গিয়ে স্ট্রোক করে পড়ে যান। পরে উদ্ধার করে কালিরবাজার ডায়াগনোস্টিক সেন্টারে নিয়ে গেলে তার মৃত্যু হয়।
কোতোয়ালি থানার ওসি আনোয়ারুল হক বলেন, ধর্ষণচেষ্টার অভিযোগ এনে তরুণী একটি মামলা করেছে। ঘটনার পর আটক হওয়া এক ব্যক্তিকে মামলার পর গ্রেফতার দেখানো হয়েছে। বাকি আসামিকে গ্রেফতারের চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।
সূত্রঃ বাংলা ট্রিবিউন