নিষেধাজ্ঞা উপেক্ষা করে মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে চলছে পরিবহন

সারাদেশে সাত দিনব্যাপী সর্বাত্মক লকডাউন চলছে। এ সময়ে সবধরনের পরিবহন বন্ধ থাকার কথা থাকলেও ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের কুমিল্লার অংশে দেখা গেছে উল্টো চিত্র।

শনিবার (৩ জুলাই) সকাল থেকেই চার থেকে পাঁচগুণেরও বেশি ভাড়ায় যাত্রী নিয়ে মাইক্রোবাস, প্রাইভেটকার, কাভার্ডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলতে দেখা গেছে।

কুমিল্লার পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড এলাকায় গিয়ে দেখা গেছে, যাত্রী নিয়ে বিশ্বরোড থেকে চট্টগ্রাম, ফেনী, নোয়াখালী ও চাঁদপুর জেলায় প্রাইভেটকার, কার্ভাডভ্যান ও সিএনজিচালিত অটোরিকশা চলাচল করছে। তবে ভাড়া নিয়ে যাত্রীদের সাথে চালকদের বাকবিতণ্ডা করতেও দেখা গেছে।

পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড থেকে চট্টগ্রাম পর্যন্ত প্রত্যেক যাত্রীকে দিতে হচ্ছে ৮০০-১০০০ টাকা, ফেনী পর্যন্ত ৫০০-৬০০ টাকা, জেলার চৌদ্দগ্রাম পর্যন্ত ১৫০-২০০ টাকা। এ নিয়েও ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন একাধিক যাত্রী।

কথা হয় চট্টগ্রামের বাটিয়ালি এলাকার নুরুজ্জামানের সঙ্গে। তিনি বলেন, ‘লকডাউনের আগে কুমিল্লার কোটবাড়ি এলাকার শ্বশুরবাড়িতে এসেছিলেন বেড়াতে। জরুরি প্রয়োজনে তাকে ফিরে যেতে হচ্ছে। কাভার্ডভ্যানের চালকরা এক হাজার টাকা ভাড়া চাচ্ছেন। এ নিয়ে তিনি ক্ষোভ প্রকাশ করেন।’

সাহিদা নামে নামের এক তরুণী জানান, ‘মাকে নিয়ে কুমিল্লায় ডাক্তারের কাছে এসেছি। চৌদ্দগ্রাম থেকে সিএনজিচালিত অটোরিকশাযোগে পদুয়ার বাজার বিশ্বরোড পর্যন্ত আসতে দুজনকে গুনতে হয়েছে ৪০০ টাকা।’

ট্রাকে করে তিনি চাঁদপুর থেকে ৪৫০ টাকা দিয়ে এসেছেন সরওয়ার আলম। তার গন্তব্য ফেনী। কিন্তু ভাড়া নিয়ে অটোরিকশা চালকদের বাকবিতণ্ডা করে ঘণ্টা খানেক তাকে দাঁড়িয়ে থেকে পরে কাভার্ডভ্যানের করে ৪০০ টাকা দিয়ে ফেনী যেতে দেখা গেছে।

এবিষয়ে মিয়া বাজার হাইওয়ে থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আসাদুজ্জামন বলেন, ‘লকডাউনের বিধিনিষেধ বাস্তবায়নে সকাল থেকে সড়কে পুলিশ তৎপর রয়েছে। তবে যাত্রী বহনকারী পরিবহন আমাদের চোখে পড়েনি।’

পদুয়ার বাজার এলাকায় সদর দক্ষিণ উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা শুভাশিষ ঘোষ ভ্রাম্যমাণ আদালত অভিযান পরিচালনা করতে দেখা গেছে। তিনি বলেন, ‘বিনা প্রয়োজনে কাউকে বের হতে দেয়া হচ্ছে। যারা পণ্যবাহী পরিবহনে ভাড়ায় যাত্রী নিচ্ছেন তাদের বিরুদ্ধেও ব্যবস্থা নেয়া হচ্ছে। এ ঘটনায় একটি কাভার্ডভ্যান জব্দ করা হয়েছে।’

আরো পড়ুন