কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে সাংবাদিক পেটাল ওয়ার্ড মাস্টার
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে (কুমেক) সংবাদ সংগ্রহ করতে গেলে অমিত মজুমদার নামে এক সাংবাদিককে মারপিট ও লাঞ্ছিত করার ঘটনা ঘটেছে। ঘটনা তদন্ত করে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের কথা জানালেন হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম।
সোমবার (৫ জুলাই) বিকাল সাড়ে ৩টার দিকে মেডিকেল কলেজের করোনা ইউনিটের সামনে এ ঘটনা ঘটে। সাংবাদিক অমিত মজুমদামদার অনলাইন নিউজ পোর্টাল ঢাকা পোষ্টের কুমিল্লা সংবাদদাতা হিসেবে কর্মরত আছেন।
এ বিষয়ে সাংবাদিক অমিত মজুমদার বলেন, কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালে সংবাদ সংগ্রহের জন্য যান। হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক থেকে অনুমতি নিয়ে তিনি করোনা ইউনিটের সামনে দাঁড়িয়ে ছবি তোলতে চাইলে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার আমাকে অকথ্য ভাষায় গালমন্দ করতে থাকেন। এ পর্যায়ে আমাকে মারপিঠ করেন এবং ক্যামরা ছিনিয়ে নেওয়ার চেষ্টা করেন। পরে উপস্থিত আনসার সদস্যরা তাকে উদ্ধার করেন বলে তিনি জানান।
এ বিষয়ে অভিযুক্ত ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনিত অভিযোগ মিথ্যা। ছবি না তুলে এখান থেকে তাকে চলে যেতে বলেছি।
এ বিষয়ে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজে হাসপাতালের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক ডা. রেজাউল করিম বলেন, অনাকাঙ্খিত যে ঘটনাটি ঘটেছে সে জন্য দুঃখ প্রকাশ করছি। ঘটনাটি তদন্ত করে ওয়ার্ড মাস্টার আক্তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে তিনি জানান।
বিভিন্ন স্থানীয় সূত্র জানায়, ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসাইন কুমিল্লার দেবিদ্বার উপজেলার বাসিন্দা। গত প্রায় ১০ বছর ধরে তিনি এ হাসপাতালে কর্মরত আছেন। এই সময়ে ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসেন নানা অনিয়মে জড়িত হয়ে পড়েছেন। হাসপাতালের দালাল চক্র, এ্যাম্বুলেন্সের দালাল চক্রের সাথেও তার সখ্যতা রয়েছে। দীর্ঘ সময়ে এই হাসপাতালে চাকুরি করার সুবাধে অসীম ক্ষমতার বনে যান এই ওয়ার্ড মাষ্টার। মানুষ হয়রানির সাথে জড়িত দালাল চক্রের কাছ থেকে মাসিক মাসোয়ারা নেন এই ওয়ার্ড মাষ্টার। এর আগেও সংবাদ সংগ্রহের কাজে যাওয়ার পরে এক ইলেকট্রনিকস মিডিয়ার প্রতিনিধির সাথেও ওয়ার্ড মাষ্টার আক্তার হোসেন খারাপ আচরণ করেছিলেন। তার কাছ থেকে খারাপ আচরণের শিকার হয়েছেন অনেকেই।