কাউন্সিলর সোহেলের মাথা ও বুকে ৯টি গুলি করা হয়
কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশনের কাউন্সিলর সৈয়দ মো. সোহেলকে হত্যার মিশনে আসা সন্ত্রাসীরা তাকে মেঝেতে শুইতে পরপর কয়েকটি গুলি করে। তার মাথা ও বুকসহ শরীরে অন্তত ৯টি গুলি লাগে জানা গেছে। পরে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যান কাউন্সিলর সোহেল ও তার সহযোগী ১৭ নম্বর ওয়ার্ড শ্রমিকলীগের সভাপতি হরিপদ সাহা। প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকটি সূত্রের বরাতে জানা গেছে তথ্য।
সূত্র বলছে, সোমবার (২২ নভেম্বর) বিকেল চারটার দিকে কুমিল্লা নগরের পাথরিয়াপাড়া কাউন্সিলর কার্যালয়ের পাশে তার একটি সিমেন্টের দোকানে বসা ছিলেন কাউন্সিলর মো. সোহেল। এ সময় কালো হ্যালমেটপরা মুখোশধারী একদল সন্ত্রাসী সিমেন্টের দোকানে ঢুকে তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি ছোড়ে। পিস্তলের দুটি গুলি তাঁর মাথায়, দুটি বুকে, অন্য ৫টি গুলি পেট ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে লাগে। আর হরিপদের শরীরে গুলি লেগেছে বুকে ও পেটে। এ সময় আরও অন্তত ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন বলে জানা গেছে।
কাউন্সিলরের গাড়ি চালক জানান, হেলমেট পরিহিত বেশ কয়েকজন সন্ত্রাসী এসে কোন কথাবার্তা ছাড়াই গুলি করে, ককটেল ফাটিয়ে এলাকা থেকে পালিয়ে যায়। পরবর্তীতে আমরা ঘটনাস্থলে গিয়ে সাটার ওঠিয়ে কাউন্সিলরকে ধরাধরি করে হাসপাতালে ভর্তি করি।
প্রত্যক্ষদর্শী আলামিন জানান, শাহাপাড়া মসজিদের সামনে ছোট একটি শিশু চিৎকার করে বলছিলো ‘গুলি করতেছে- গুলি করতেছে’। খবর পেয়ে দ্রুত সেখানে গিয়ে দেখি সাঁটার লাগানো। সাটার খুলে দেখি কাউন্সিলর গুলিবিদ্ধ অবস্থায় চিৎ হয়ে শুয়ে আছেন। তখনো কিছুলোক গুলি করতে করতে পালিয়ে যাচ্ছে। এরা সকলেই হেলমেট পরিহিত ছিল। কাউন্সিলরকে হাসপাতালে আনার সময়েও আমাদেরকে গুলি করতেছিল- কিন্তু কাউকে চিনতে পারিনি। সকলে কালো পোশাক পরিহিত ছিল। মূলত কাউন্সিলরকে হত্যার উদ্দেশ্যেই এরা এসেছিলো বলে জানান তিনি।
কুমিল্লা মহানগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আরফানুল হক রিফাত বলেন,‘সোহেলের শরীরে অন্তত ১০টি গুলি করা হয়েছে। শনিবার তাঁর সঙ্গে একটি সভা করে এসেছি। সোহেল তাঁর এলাকায় অত্যন্ত জনপ্রিয় ছিলেন। আমরা হত্যার বিচার চাই।’
প্রত্যক্ষদর্শীর বরাতে কোতোয়ালি মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনওয়ারুল আজিম জানান, বিকেল সাড়ে ৪টার দিকে কাউন্সিলর সোহেল তার কার্যালয়ে বসে ছিলেন। এ সময় মুখোশ পরা ১৫ থেকে ২০ জন তাকে গুলি করে। এতে কাউন্সিলর সোহেল লুটিয়ে পড়েন। এ সময় আরো অন্তত ৪ জন গুলিবিদ্ধ হন।