হাফেজ ও আলেমদের জন্য ফ্রি কুমিল্লার ‘মামা-ভাগিনা’ হোটেল
কুমিল্লার দেবিদ্বারে পবিত্র কোরআনে হাফেজ ও আলেমদের জন্য ‘মামা-ভাগিনা’ নামে একটি হোটেলে ফ্রি খাবারের ব্যবস্থা করা হয়েছে। ঢাকা-চট্টগ্রাম মহাসড়কের বাগুর বাসস্ট্যান্ডে অবস্থিতি এ হোটেলের সামনে টাঙানো সাইনবোর্ডেই লেখা- এখানে কোরআনে হাফেজদের ফ্রি খাওয়ানো হয়।
হাফেজ ও আলেমদের এ সম্মান দেওয়ায় সর্বত্র প্রশংসা কুড়াচ্ছেন হোটেল মালিক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার। বিষয়টি এরই মধ্যে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে।
জানা গেছে, প্রায় চার বছর আগে কুমিল্লা উত্তর জেলা স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার ও তার ভাগনে মিলে চালু করেন ‘মামা-ভাগিনা’ হোটেল। ঐ সময় নিজের এক ভাগনেকে কোরআনে হাফেজ বানানোর উদ্দেশ্যে মাদরাসায় ভর্তি করেন লিটন সরকার। এরপর থেকেই হাফেজ-আলেমদের সঙ্গে চলাফেরা শুরু করেন। এতে হাফেজদের প্রতি তাদের ভালোবাসা বেড়ে যায়।
গত ৫ জুলাই লিটন সরকার ও তার ভাগনে সিদ্ধান্ত নেন হোটেলে প্রতিদিন কিছু হাফেজকে ফ্রি খাওয়াবেন। যেই কথা, সেই কাজ। শুরু করেন খাওয়ানো। হোটেলের সামনে টাঙিয়ে দেন সাইনবোর্ড। প্রতিদিন গড়ে ১৫-২০ জন কোরআনে হাফেজ ফ্রি খাওয়া দাওয়া করছেন এ হোটেলে। খবরটি জানাজানি হতেই প্রশংসায় ভাসতে শুরু করেন হোটেল মালিক।
‘মামা-ভাগিনা’ হোটেলের মালিক স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা লিটন সরকার বলেন, আমার বোনের জামাই এবং ভাগনেকে নিয়ে চার বছর আগে হোটেলটি চালু করি। আমি রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার কারণে হোটেলে তেমন সময় দিতে পারি না। আমার ভাগনেই দেখাশোনা করে।
তিনি আরো বলেন, আমার এক ভাগনেকে মাদরাসায় ভর্তি করানোর পর থেকেই হাফেজ-আলেমদের সঙ্গে যোগাযোগ ও আন্তরিকতা বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে আমরা প্রতিদিন কিছু হাফেজকে ফ্রি খাওয়ানোর সিদ্ধান্ত গ্রহণ করি। গত ৪ মাস ধরে এ কাজ চালিয়ে যাচ্ছি। আশপাশের মাদরাসাগুলোর হাফেজরা প্রতিদিনই আমাদের হোটেলে খেতে পারছেন।
দেবিদ্বার উপজেলার ভাইস চেয়ারম্যান আবুল কাশেম ওমানী বলেন, লিটন সরকার একজন করোনাযোদ্ধা। রাজনীতির পাশাপাশ সামাজিক কর্মকাণ্ডেও তার অনেক অবদান রয়েছে। আলেম-হাফেজদের তিনি যে সম্মান দিয়েছেন- এতে তাকে নিয়ে আমরা গর্ববোধ করি।