কুমিল্লায় ‘মুরগি দিয়ে’ ক্রোকারিজের দোকান তছনছ, বসছে সালিশ
প্রতিদিনের মতো তালা খুলে নিজের ক্রোকারিজের দোকানে প্রবেশ করেন বসু দত্ত। দোকান খুলেই চোখ ছানাবড়া৷ পুরো দোকান লণ্ডভণ্ড। চারদিকে ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে ভাঙা প্লেট, গ্লাসসহ নিত্য প্রয়োজনীয় তৈজসপত্র। চুরি বা ডাকাতির ঘটনা কিনা তা খতিয়ে দেখতে দোকানের ভেতর ঘুরে দেখতে লাগলেন। এমন সময় একটি মুরগি লাফ দিয়ে পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করল।
দোকানের মালিক ও কর্মচারীরা মিলে মুরগিটিকে আটকাল। কারো বুঝতে বাকি রইল না রাতভর মুরগিটি দোকানে তাণ্ডব চালিয়েছে। এতে দোকানের ভেতরের সব হয়েছে তছনছ।
এমন ঘটনা ঘটেছে কুমিল্লা চান্দিনা পশ্চিম বাজারে। বুধবারের এই ঘটনা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে ছড়িয়ে পড়লে বেশ চাঞ্চল্য সৃষ্টি হয়।
ক্ষতিগ্রস্ত দোকানের মালিক বসু বলেন, ‘দোকানের মালিকানা নিয়ে একটি পক্ষের সঙ্গে আমার দ্বন্দ্ব রয়েছে। আমার ব্যবসা বন্ধ করতে না পেরে মুরগি দিয়ে আমার দোকান ক্ষতিগ্রস্ত করেছে। এটির তাণ্ডবে অন্তত ৬০ হাজার টাকার ক্ষতি হয়েছে।’
কে আপনার প্রতিপক্ষ এমন প্রশ্নের জবাবে বসু বলেন, ‘আমি যে দোকানে ব্যবসা করি তার মালিক মাহবুবুর রহমান। বছর দেড়েক আগে মাহবুবুর রাহমান মারা যান। তিনি মারা যাওয়ার পর তার স্ত্রী মুক্তা আমাকে দোকান ছেড়ে দিতে বলে। ভাড়ার মেয়াদ শেষ না হওয়ায় আমি দোকান ছেড়ে দেই নাই। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে দোকানের মালিকের স্ত্রী মুক্তা আক্তার তার একটি মুরগি রাতের আঁধারে দোকানের ভেতর ছেড়ে দেয়, আর ওই মুরগি সারা রাত দোকানে তাণ্ডব চালায়।’
এই মুরগি মুক্তা আক্তারের তা নিশ্চিত কীভাবে হলেন এমন প্রশ্নে ক্ষতিগ্রস্ত দোকান মালিক বলেন, ‘মুরগিটি আটকের পর খোঁজ নিতে শুরু করি। এক পর্যায়ে নিশ্চিত হই দোকানের মালিকের স্ত্রী মুক্তা আক্তারের এটি। এ ঘটনায় আমি ক্রোকারিজ মালিক সমিতির কাছে বিচার চেয়েছি।’
এ বিষয়ে মুক্তা আক্তারের সঙ্গে ফোনে কথা বলার চেষ্টা করলেও তার সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি।
চান্দিনা বাজারের ক্রোকারিজ মালিক সমিতির সাধারণ সম্পাদক মাসুমুর রহমান জানান, মালিক ও দোকানদারের মধ্যে দ্বন্দ্ব আছে। এ নিয়ে বেশ কয়েকবার বৈঠক হয়েছে। মুরগি কাণ্ড বেশ সন্দেহজনক। আমরা মালিক ও দোকানি বসুকে নিয়ে সালিশ করব।