কুমিল্লা কারাগারে ঝাড়ুদারের কাজ পেলেন পাপিয়া

যুব মহিলা লীগের নরসিংদী জেলা কমিটির বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়াকে গাজীপুরের কাশিমপুর থেকে কুমিল্লা কারাগারে আনা হয়েছে। এ কারাগারে তাকে ঝাড়ুদারের কাজ দিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

মঙ্গলবার (৪ জুলাই) বিকেলে সিনিয়র জেল সুপার আব্দুল্লাহ আল মামুন এ তথ্য জানিয়েছেন।

সোমবার তাকে গাজীপুরের কাশিমপুরের কেন্দ্রীয় মহিলা কারাগার থেকে কুমিল্লায় স্থানান্তর করা হয়।

কারা সূত্র বলছে, কুমিল্লা কারাগারটি পুরুষদের জন্য হলেও সেখানে নারী বন্দিদের জন্য একটি ছোট কক্ষ রয়েছে। তাদের জন্য ঝাড়ু দেওয়া এবং নকশি কাঁথা সেলাই করার কাজ নির্ধারিত রয়েছে। আর জেলকোড অনুযায়ী সাজাপ্রাপ্ত বন্দিদের জন্য কাজ করা বাধ্যতামূলক। নকশি কাঁথা সেলাই কিছুটা কঠিন হওয়ায় শুরুতেই বন্দিদের ঝাড়ুদারের কাজ দেওয়া হয়। এ কারণেই পাপিয়া এই কাজ পেয়েছেন।

এর আগে, ২৭ বছরের সাজাপ্রাপ্ত কয়েদি হিসেবে জেলবিধি অনুযায়ী পাপিয়াকে রাইটার হিসেবে কাশিমপুর কারাগারে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছিল।

এদিকে, নথি চুরির একটি মামলায় শিক্ষানবিস আইনজীবী রুনা লায়লাকে ১৬ জুন কাশিমপুর মহিলা কারাগারে আনা হয়। কারাগারের সাধারণ ওয়ার্ডে নেওয়ার পর দেহ তল্লাশি করে কর্তব্যরত মেট্রন তার কাছে সাত হাজার ৪০০ টাকা পান। ওই টাকা ছিনিয়ে নেওয়ার জন্য পাপিয়া ও তার সহযোগী কয়েদিরা গত ১৯ জুন রুনার ওপর অমানবিক নির্যাতন শুরু করেন বলে অভিযোগ তার পরিবারের। এ ঘটনায় কারাগারে সালিশও হয়।

এনিয়ে রুনার পরিবার গাজীপুরের জেলা প্রশাসকের কাছে লিখিত অভিযোগ করে। ঘটনা তদন্তে জেলা প্রশাসন দুইটি কমিটি করে। কমিটির সুপারিশে পাপিয়াকে কুমিল্লা কেন্দ্রীয় কারাগারে স্থানান্তর করা হয়।

কুমিল্লা কারাগারের সিনিয়র জেল সুপার মোহাম্মদ আবদুল্লাহ আল-মামুন বলেন, “তাকে রাতে আনা হয়েছে। জেলবিধি অনুযায়ী তাকে দায়িত্ব দেওয়া হবে। সে সোমবার এসেছে। আমরা অন্য কয়েদিদের সঙ্গেই তাকে রেখেছি। তাকে বিশেষ নজরে রাখা হবে।”

২০২০ সালের ২২ ফেব্রুয়ারি মফিজুর রহমান ও পাপিয়া দম্পতিকে আটক করা হয়। অস্ত্র আইনের মামলায় পাপিয়া ও তার স্বামীকে ২৭ বছরের কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছেন আদালত।

আরো পড়ুন