কুমিল্লায় দ্রুত ছড়াচ্ছে ডেঙ্গু, একদিনে আক্রান্ত ২৬
কুমিল্লায় ডেঙ্গু ভয়াবহ রুপ ধারণ করেছে। রাজধানীর পাশ্ববর্তী জেলা হওয়ায় ভয়ানক হারে ছড়িয়ে পড়েছে কুমিল্লায় ডেঙ্গু রোগীর সংখ্যা। জেলার হাসপাতাল গুলোতে বাড়ছে ডেঙ্গু আক্রান্ত রোগী। বুধবার (১২ জুলাই) ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে ২৬ জন ভর্তি হয়েছেন কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপাতালে। বর্তমানে ওই হাসপাতালে ৪০ জন রোগী চিকিৎসা নিচ্ছেন।
কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডাক্তার মো. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী জানান , গত কয়েকদিন ঢাকা ও চাঁদপুর থেকে আক্রান্তরা কুমেকে চিকিৎসা নেন। এখন কুমিল্লা থেকেই আক্রান্ত হচ্ছেন। তারাও ভর্তি হচ্ছেন হাসপাতালে।
কুমিল্লা থেকে আক্রান্তদের মধ্যে দাউদকান্দি উপজেলার ২ জন, বরুড়া উপজেলা থেকে ২ জন, নাঙ্গলকোট থেকে ৩ জন, লাকসাম থেকে ১ জন, চান্দিনা থেকে ৪, বুড়িচং থেকে ১ জন, মুরাদনগর থেকে ১ জন ও সদর দক্ষিণ থেকে ১ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত হয়ে কুমেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এই ১৫ জন কুমিল্লায় আক্রান্ত হয়েছেন। বাকি ২৫ জন ঢাকা ও চাঁদপুর থেকে আক্রান্ত হয়েছেন। মোট ৪০ জন ডেঙ্গু আক্রান্ত কুমেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের পরিচালক ডা. আজিজুর রহমান সিদ্দিকী বলেন, ‘গতকাল মঙ্গলবার পর্যন্ত কুমেকে ২৬ চিকিৎসা নেয়। তার মধ্যে ৭ জন সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। বুধবার ২৬ জন রোগী নতুন আক্রান্ত হয়ে ভর্তি হয়েছেন।’
ডা. আজিজ আরও জানান, ডেঙ্গুরোগীর চিকিৎসা ব্যবস্থাপনায় আমরা দুটি কমিটি করেছি। একটি প্রশাসনিক আরেকটি চিকিৎসকদের জন্য। এখানে ডেঙ্গু রোগীর জন্য বেড বাড়িয়ে ৭০টি করা হয়েছে। পুরুষ রোগীদের জন্য ৪০, নারী রোগীর ২০ এবং শিশুদের জন্য ১০টি।
কুমিল্লা জেলার ডেপুটি সিভিল সার্জন ডা. নিসর্গ মেরাজ চৌধুরী বলেন,জেলার জাঙ্গালিয়া বাস টার্মিনাল ও শাসনগাছা বাস টার্মিনালে ডেঙ্গুর বাহক এডিস মশার লার্ভা পাওয়া গেছে। তিনি আরও জানান, ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্তদের সঠিক সেবা দিতে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের চিকিৎসকদের নির্দেশনা দেয়া হয়েছে। ডেঙ্গু কর্নার খোলা হয়েছে। পর্যাপ্ত ওষুধ রয়েছে। এখন মশার আবাসস্থল ধ্বংস করতে হবে। সর্বোপরি ডেঙ্গু প্রতিরোধে সকলের সম্মিলিত সচেতনতা প্রয়োজন।
জেলা স্বাস্থ্য বিভাগ সূত্রে জানা যায়, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে জুলাই মাস পর্যন্ত কুমিল্লায় ২১৩ জন ডেঙ্গু রোগী চিকিৎসা নিয়েছেন। যার মধ্যে ১৭৩ সুস্থ হয়ে বাড়ি ফিরেছেন। ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে মৃত্যুর রেকর্ড নেই।