বাস ভাঙচুর, মামলায় আসামি ছাত্রলীগ কর্মী

গাজীপুরের শ্রীপুর উপজেলায় বাস ভাঙচুর ও ককটেল বিস্ফোরণের ঘটনায় সোমবার বিএনপির নেতাকর্মীদের বিরুদ্ধে মামলা করেন তাকওয়া পরিবহনের মালিক স্বপন আহমদ। মামলার এজাহারে ২৭ জনের নাম উল্লেখ আছে। এর মধ্যে মামলার ১৩ নম্বর আসামির তালিকায় আছেন ছাত্রলীগের এক কর্মী। তার নাম আব্দুল্লাহ আল মামুন।

আব্দুল্লাহ আল মামুনের দাবি, তিনি ছাত্রলীগের সক্রিয় একজন কর্মী। জমি নিয়ে বিরোধ থাকায় আরেক ছাত্রলীগ নেতা তাকে মামলায় জড়িয়েছেন। আব্দুল্লাহ আল মামুন (২৩) শ্রীপুর উপজেলার বরমী মধ্যপাড়া গ্রামের গোলাম মোস্তফার ছেলে।

আব্দুল্লাহ আল মামুন জানান, তিনি ছাড়া মামলার আসামি সবাই বিএনপি ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মী।

তিনি ২০১৭ সাল থেকে ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে সক্রিয়। বরমী ইউনিয়ন যুবলীগের সাধারণ সম্পাদক শরীফ হায়দার মৃধার সঙ্গে তিনি রাজনীতি করেন।

এ বিষয়ে শরীফ হায়দার মৃধা বলেন, ‘মামুন ছাত্রলীগের একজন সক্রিয় কর্মী। আমার সঙ্গেই দলের প্রতিটি কর্মসূচিতে অংশ নেন।’

তবে উপজেলা ছাত্রলীগের আহ্বায়ক মাহবুব হাসান বলেন, ‘আব্দুল্লাহ আল মামুন ছাত্রলীগের কোনো পদে নেই। এমনকি ছাত্রলীগের কোনো কার্যক্রমে কখনো অংশ নিয়েছেন বলেও আমার জানা নেই।’

মামলার এজাহারে বলা হয়, আসামিরা বিএনপির ডাকা হরতালের সমর্থনে রাস্তায় লাঠিসোঁটা নিয়ে ককটেল বিস্ফোরণ ঘটায়। একপর্যায়ে ঢাকা-ময়মনসিংহ মহাসড়কের বেড়াইদেরচালা এলাকায় দাঁড়িয়ে থাকা অবস্থায় স্বপন আহমেদের মালিকানাধীন তাকওয়া পরিবহনের একটি মিনিবাস ভাঙচুর করেন আসামিরা। তবে এ বিষয়ে স্বপন আহমেদের সঙ্গে যোগাযোগ করা সম্ভব হয়নি। তাঁর মুঠোফোনটি বন্ধ পাওয়া যায়।

শ্রীপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) এ এফ এম নাসিম বলেন, ‘দলের পরিচয় বিবেচনা করা হবে না। তদন্তে যদি ঘটনার সঙ্গে তার (মামুন) সম্পৃক্ততা না থাকে তাহলে অভিযোগপত্র থেকে নাম বাদ দেওয়া হবে।’

আরো পড়ুন