শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে উল্লাস এখন বিসিএসের সবচেয়ে বড় ক্যাডার

শারীরিক প্রতিবন্ধকতা জয় করে ৪৪তম বিসিএসে প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন উল্লাস পাল। তার মেধাক্রম ২১১। জন্ম থেকে তার হাত ও পা কিছুটা বাঁকা হলেও তিনি কখনো হার মানেননি। এর আগে ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে শরীয়তপুরের নড়িয়া সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

উল্লাস পালের বাড়ি শরীয়তপুরের নড়িয়া উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামে। তিনি কার্তিকপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ ও ঢাকার নর্দান কলেজ বাংলাদেশ থেকে এইচএসসিতেও জিপিএ-৫ পান। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে।

উল্লাস পাল শারীরিক প্রতিবন্ধকতাকে অতিক্রম করে ৪৪তম বিসিএস পরীক্ষায় প্রশাসন ক্যাডারে সুপারিশপ্রাপ্ত হয়েছেন। জন্ম থেকে তার হাত ও পা কিছুটা বাঁকা হলেও তিনি কখনো হার মানেননি। এর আগে ৪৩তম বিসিএসে শিক্ষা ক্যাডারে নির্বাচিত হয়ে বর্তমানে শরীয়তপুরের নড়িয়া সরকারি কলেজে প্রভাষক হিসেবে কর্মরত আছেন।

উল্লাসের বাড়ি শরীয়তপুর জেলার নড়িয়া উপজেলার কার্তিকপুর গ্রামে। তিনি স্থানীয় কার্তিকপুর উচ্চবিদ্যালয় থেকে এসএসসি এবং ঢাকার নর্দান কলেজ বাংলাদেশ থেকে এইচএসসি উভয় পরীক্ষায় বিজ্ঞান বিভাগে জিপিএ-৫ পান। এরপর ভর্তি হন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ব্যবস্থাপনা বিভাগে।

তার বাবা একজন মৃৎশিল্পী। তার বাড়িতে বিভিন্ন কাজের জন্য অনেকসময় বিসিএস ক্যাডাররা আসতেন। তাদের দেখেই তার বিসিএসের অনুপ্রেরণা শুরু।

এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন, জন্ম থেকেই আমার দুই হাত ও দুই পা বাঁকা। তবুও আমার বাবা-মা আমাকে উচ্চ শিক্ষিত করতে কোনো ত্রুটি রাখেননি। আমার বাড়িতে অনেক বিসিএস ক্যাডাররা আসতেন। তাদের দেখেই ছোটবেলা থেকে আমার বিসিএসের প্রতি আগ্রহ জন্মায়। শারীরিক সমস্যা থাকলেও আমার লিখতে কোনো অসুবিধা হয় না। আমার মনে হয় এটি আমার জন্য অনেক বড় আশীর্বাদ।

তিনি বলেন, আমার এ পর্যন্ত আসার পেছনে আমার পরিবার ও বন্ধু-বান্ধবদের ভূমিকা অনেক। আমার বাবা-মা কখনো আমাকে পিছিয়ে পড়তে দেননি। আমার লিখতে সমস্যা না হলেও ব্যাগ ক্যারি করাতে কিছুটা সমস্যা হতো। আমার বই-পুস্তক ক্যারি করার কাজ করতেন আমার বন্ধু-বান্ধবরা।

তিনি আরও বলেন, কারো শারীরিক প্রতিবন্ধকতা থাকলে তাকে দুর্বল ভাবা উচিত নয়, একটু সুযোগ পেলে তারাও নিজেদেরকে প্রতিষ্ঠিত করতে পারে। আমরাও চাই আমাদের সামর্থ্য কাজে লাগিয়ে বিকশিত হতে, আমাদের স্বপ্নগুলো পূরণ করতে।’

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে তাকে প্রসংসায় ভাসাচ্ছেন নেটিজেনরা। তার ছবি শেয়ার করে ইমা নামে একজন লিখেছেন, মানুষ তার স্বপ্নের সমান বড়। রিফাত নামে একজন লিখেছেন, মৃতশিল্পীর ছেলে থেকে বিসিএসের সবচেয়ে বড় ক্যাডার সেই উল্লাস।

আরো পড়ুন