গৌরীপুর-হোমনা সড়ক মেরামতে পুলিশ
ডেস্ক রিপোর্টঃ সোমবার রাত সাড়ে ১০ টা দাউদকান্দির গৌরীপুর-হোমনা সড়কের প্রবেশ মুখ গৌরীপুর বাস স্ট্যান্ডে খানাখন্দ ও অসংখ্য ছোট বড় গর্তে পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ছে। এর ফলে সৃষ্টি হচ্ছে তীব্র যানজট। এতে চরম ভোগান্তীতে পড়ছেন সাধারণ মানুষ। ঈদে ঘরমুখো মানুষের কষ্ট লাগবের কথা চিন্তা করে সরাসরি খানাখন্দ রাস্তা মেরামতের কাজে নেমে পড়েন কুমিল্লার সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (দাউদকান্দি সার্কেল) মহিদুল ইসলামের নেতৃত্বে গৌরীপুর পুলিশ তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ আ,স,ম,আব্দুন নূর সহ সঙ্গীয় ফোর্স। বৃষ্টির কাদামাখা পানির মধ্যে পুলিশ সদস্যরা ইট, কংক্রিট ও বালুর বস্তা ফেলে প্রাথমিক পর্যায়ে যানবাহন চলাচলেরর উপযোগী করে তোলেন।
পুলিশের এই ব্যতিক্রম উদ্যোগ দেখে তাৎক্ষনিক সিএনজি অটোরিক্সা চালক ও স্থানীয় লোকজন তাদের সাথে কাজে যোগ দেন। পুলিশের উদ্যোগে সকলের সহযোগিতায় এক ঘন্টার মধ্যে ছোট বড় গর্তগুলো ভরাট হয়ে যায়। সড়িয়ে নেয়া সম্ভব হয় আটকে পড়া যানবাহনগুলো। স্বাভাবিক চলাচল শুরু হয় যানবাহনের। ফিরে আসে জনমনে স্বস্তি। পুলিশের এই উদ্যোগ সর্বমহলে প্রশংসনীয় হয়েছে।
উপস্থিত লোকজন পুলিশকে ধন্যবাদ জ্ঞাপন করেন। সেবাই পুলিশের ধর্ম তা আবারো প্রমাণ করলেন সিনিয়র এএসপি মহিদুল ইসলাম। শত ব্যস্ততার মাঝেও মানুষের কষ্ট লাগবে পুলিশের এ উদ্যোগ নিঃসন্দেহে প্রশংসনীয়। গত কয়েকদিন যাবত গৌরীপুর বাজারের প্রবেশমুখ রাস্তাটিতে বৃষ্টির পানিতে ব্যাপক ছোট বড় গর্তের সৃষ্টি হয়। এতে পণ্যবাহী যানবাহন আটকা পড়ে সৃষ্টি হয় তীব্র যানজট।
এনিয়ে বিভিন্ন সংবাদপত্র ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে সংবাদ প্রচারিত হলে তা দৃষ্টি কাড়ে সিনিয়র এএসপি মহিদুল ইসলাম ও ইনচার্জ আ,স,ম, আব্দুন নূরের। রাস্তার আশপাশের ডোবাগুলো ভরাটের কারনে পানি সড়তে না পারায় রাস্তার ব্যাপক ক্ষতি সাধন হয়। সত্যিই এই উদ্যোগ পুলিশকে আরো অনেক উচু স্থানে নিয়ে যাবে। সাধারণ মানুষের ভালোবাসা ও আস্থা অর্জন করবে। সেতু বন্ধন তৈরি হবে মানুষের সাথে। মানুষের অাস্থার প্রতিক হয়ে রবে পুলিশ।