দেবিদ্বারে হাসপাতালের ডাস্টবিনে মিলল নবজাতকের ছিন্নবিচ্ছিন্ন লাশ

ডেস্ক রিপোর্টঃ জন্মই ‘আজন্ম পাপ’। ঘৃণা, লোকলজ্জা, সমাজের চোখরাঙানি ও তিরস্কারের কষ্টগাঁথা মায়ের হৃদয় যেন ছিন্নভিন্ন করে দেয়। জন্মের পরই মা-বাবার কোলের বদলে ডাস্টবিনে, ড্রেনে, ফুটপাত ও হাসপাতালের আঙিনায় অনেক নবজাতকের ঠাঁই হচ্ছে। এমন ভাগ্যই বরণ করতে হলো দেবিদ্বারের এক নবজাতকের।

আজ রোববার সকাল সাড়ে ১০টায় দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের ভিতরে ডাস্টবিনে বিচ্ছিন্ন হাত-পা, নাড়ি-ভূড়ি মিলেছে এক নবজাতকের। সকালে ময়লা নিতে এসে নবজাতকটির ছিন্নবিচ্ছিন্ন দেহটি দেখতে পান হাসপাতালের পরিষ্কার কর্মী। পরে তিনি আশেপাশের লোকজনকে বিষয়টি জানালে তারা গণমাধ্যমকর্মীদের খবর দেয়।

স্থানীয় গণমাধ্যমকর্মীরা দেবিদ্বার থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে নবজাতকের লাশটি উদ্ধার করে।

ঘটনাস্থল পরিদর্শন শেষে দেবিদ্বার থানার উপপরিদর্শক (এসআই) খালেদ মোশাররফ আমাদের সময়কে জানান, রাতে কোনো এক সময় কেউ ডাস্টবিনের ময়লার ভিতরে নবজাতকের লাশটি ফেলে যায়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, রাতেই কুকুর বা কোনো জন্তু মরদেহ থেকে মাংস ও মাথার কিছু অংশ খেয়ে ফেলে। এ কারণে অন্যন্য অঙ্গ-প্রতঙ্গ শরীর থেকে আলাদা হয়ে যায়।

এ ব্যাপারে হাসপাতালের নার্স নারগিস আক্তার জানান, কয়েকদিন পরপর হাসপাতালে এমন ঘটনা ঘটছে। গত এক মাস আগে হাসপাতালের ডাস্টবিন থেকে জীবিত এক নবজাতককে উদ্ধার করা হয়েছে।

পরে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা, সমাজসেবা কর্মকর্তা ও উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তার পরামর্শে তাকে দত্তক নিয়ে লালন পালন করছেন বলে জানান তিনি।

এ ব্যাপারে দেবিদ্বার উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স কর্মকর্তা ডা. আহম্মেদ কবীর জানান, এটি নিতান্তই ঘৃণ্যকর ও মর্মান্তিক কাজ। এ কাজে যদি এ হাসপাতালের কেউ জড়িত থাকে তার বিরুদ্ধে কঠিন ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

তিনি আরও বলেন, ‘আমরা কুমিল্লা সিভিল সার্জন’র পরামর্শে জুনিয়ার কনসালটেন্ট গাইনি ডা. তামান্না আফতাব সুলাইমানকে প্রধান করে তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছি। আগামী এক সপ্তাহের মধ্যে তদন্ত করে তারা এ বিষয়ে পূর্ণাঙ্গ প্রতিবেদন দাখিল করবেন।’

আরো পড়ুন