কুমিল্লায় নৌবাহিনীর সদস্যের গলাকাটা লাশ উদ্ধার (ভিডিও)
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লার বুড়িচংয়ে মেহরাব হোসেন (২০) নামের এক নৌ-বাহিনীর সদস্যের গলাকাটা লাশ উদ্ধার করেছে থানা পুলিশ।
নিহত মেহরাব হোসেন (২০) বুড়িচং উপজেলার ষোলনল ইউনিয়নের ভান্তি এলাকার শফিকুল ইসলামের ছেলে। বাবরী মিয়ার নাতি।

স্থানীয় সূত্র জানায়, খুলনায় ট্রেণিং শেষে চট্টগ্রামে যোগদান করতে যাওয়ার পথে মা-বাবার সাথে দেখা করার উদ্দেশ্যে কুমিল্লা সেনানিবাস এলাকায় বাস থেকে নেমে গ্রামে যাওয়ার পথে দুবৃর্ত্তরা তাকে গলা কেটে হত্যা করে।
বুড়িচং থানা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আকুল চন্দ্র বিশ্বাস জানান, নিজ গ্রামেই দুবৃর্ত্তরা তাকে হত্যা করেছে। মরদেহ থানায় রয়েছে। মরদেহের ময়নাতদন্তের জন্য কুমেক হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করা হবে। ঘটনার সাথে জড়িতদের গ্রেফতার করতে পুলিশের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
বৃহস্পতিবার দুপুরে প্রতিবেদককে ফোনে অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) তানভীর সালেহীন ইমন জানান , এ ঘটনায় কামারখাড়া এলাকার সিএনজি চালক মনির হোসেন নামেে একজনকে কে আটক করেছে পুলিশ। নিহতের ভাই ইভান সিএনজি চালক মনিরের সাথে চুক্তি করেন মেহরাব কে বাসস্টপ থেকে বাড়িতে আনার জন্য। জিজ্ঞাসাবাদে সে জানায়, নিজে না গিয়ে আরেকজন সিএনজি চালক কে পাঠায় সে, তবে যাকে পাঠিয়েছে তার নাম সে জানেে না। মামলাটি ডিবি, পিবিআই ও পুুুুলিশ একযোগে তদন্ত করছে আসামীদের খুব দ্রুত আটক করতে সক্ষম হবেন বলেও জানান তিনি।
নিহতের মায়ের সাথে কথা বলে জানা যায়, ভোররাত ৩ টায় তিনি সর্বশেষ তাঁর মায়ের সাথে মুঠোফোনে কথা বলেন। ক্যান্টনমেন্ট থেকে বাস থেকে নামার পর সিএনজি যোগে বাড়িতে রওয়ানা হন তার ছেলে। তার এক ভাই তাকে সিএনজিতে তুলে দেয়। আলেখারচর ব্রিজ ক্রসিং এর পর মায়ের ফোন রিসিভ করে সে। এরপর শেষবার নদীর বাধ থেকে নামার সময় মায়ের সাথে কথা হয়। ছেলের আসাতে দেরী দেখে মা ভোরের আলো ফুটে ওঠার আগেই বেড়িয়ে পরেন ছেলের জন্য। এরপর রাস্তায় ব্যাগপত্র পরে থাকতে দেখে চিৎকার চেঁচামেচি শুরুকরলে এলাকার লোকজন এসে গলাকাটা লাশ দেখতে পান। পরে থানায় খবর দিলে পুলিশ এসে লাশ উদ্ধার করে।
তবে যে সিএনজি চালক তাকে বহন করেছে, ঘটনার পর থেকে ঐ সিএনজি চালকের মোবাইল নাম্বারটি বন্ধ পাওয়া যায়। ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছে কুমিল্লা জেলা পুলিশ, পিবিআই, সিআইডিসহ বিভিন্ন সংস্থার কর্মকর্তারা।