কুমিল্লায় স্ত্রীকে আগুনে পুড়িয়ে মারলো পাষন্ড স্বামী
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লার দূর্গাপুরে ঘুমন্ত স্ত্রী রুবিনার গায়ে অকটেন ঢেলে ঘরের বাহির থেকে দরজা আটকে পুড়িয়ে মেরেছে পাষন্ড স্বামী সাজ্জাদ। অগ্নিদগ্ধ রুবিনা মঙ্গলবার সন্ধা সোয়া ৭টায় ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে মারা যায়। রুবিনার পিতা আবদুস সালাম অভিযোগ করেন তার মেয়ে রুবিনা স্বামীর ঘরে সুখী ছিল না। তিনি বলেন, গতকাল রাত ১টায় রুবিনার শাশুড়ি ফোন দিয়ে জানায় আমার মেয়ে নিজের গায়ে আগুন দিয়েছে। আমরা দ্রুত হাসপাতালে নিয়ে যাই কিন্তু তার জামাই বা পরিবারের কেউ আমাদের সাথে এলো না। রাতে কুমিল্লা মেডিকেলে নিয়ে গেলে ডাক্তাররা তাকে ঢাকা মেডিকেল হসপিটালে নিতে বলে। রুবিনার বাবা আরও বলেন, মেয়ের পায়ে বাধা ছিল। সে দাগও রয়েছে। মৃত্যুর আগে সে শাহবাগ থানার পুলিশের কাছেও বলেছে, ঘুম থেকে তুলে জামাই সাজ্জাদ তাকে মারধোর করেছে, একপর্যায়ে গায়ে অাগুন ধরিয়ে দেয়। নিহতের ভাই শামীম জানায়, রেসকোর্স এলাকায় তাদের বাসা। গত ২মাস রুবিনা রেসকোর্সের ধানমন্ডি রোডের বাসায় ছিল। ২বছর আগে রংমিস্ত্রী সাজ্জাদ রুবিনাকে নিয়ে পালিয়ে বিয়ে করে। সে কয়েক মাস আগে রুবিনাকে বাবার কাছ থেকে টাকা আনতে বলে। সাজ্জাদ ও তার মা এর আগেও বহুবার রুবিনার গায়ে হাত তুলেছে। আদর্শ সদর উপজেলার দূর্গাপুর ইতালী মার্কেট এলাকার গিয়াস উদ্দিনের ছেলে সাজ্জাদ। ঘটনার পর থেকেই সে পলাতক রয়েছে। এবিষয়ে কোতয়ালী থানার ওসি তদন্ত মোঃ সালাউদ্দিন জানান, এঘটনায় এথন পর্যন্ত কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। নিহত রুবিনার ১০ মাসের একটি মেয়ে রয়েছে, নাম নুসরাত। বুধবার সকালে রুবিনার লাশ কুমিল্লায় দাফনের উদ্দেশ্যে নিয়ে আসা হবে। রুবিনার বাবা বাদশাহ মিয়া বাজারের মুদি মালের ব্যবসা করেন। পরিবারে সবার ছোট মেয়ের এমন মর্মান্তিক মৃত্যুতে বাকরুদ্ধ পিতা আবদুস সালাম। তিনি বলেন, পাষন্ডরা আমার মেয়ের শরীরে আগুন দিয়েছে। পা বেধে বাহির থেকে দরজা বন্ধ করে দেয়। কত নিষ্ঠুর ওরা। আমরা ন্যায়বিচার চাই।