কুমিল্লায় ছাত্রীর শ্লীলতাহানীর অভিযোগে মাদরাসা পরিচালক কারাগারে
গভীর রাতে মাদরাসার আবাসিক ছাত্রীদের নিজের রুমে ডেকে শ্লীলতাহানি করতেন মাদরাসার পরিচালক। এমন অভিযোগে এক ব্যক্তিকে আটক করেছে পুলিশ। শনিবার কুমিল্লার মুরাদনগরে এ ঘটনা ঘটেছে।
জানা গেছে, অভিযুক্ত ব্যক্তি কুমিল্লার মুরাদনগর উম্মেহানি মহিলা মাদরাসার পরিচালক মো. হাসান। সে উপজেলার নবীপুর পশ্চিম ইউনিয়নের নিমাইকান্দি গ্রামের মৃত আব্দুস ছাত্তারের ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, মো. হাসানের বিরুদ্ধে গোপনে কক্ষে নিয়ে একাধিক ছাত্রীকে শ্লীলতাহানীর অভিযোগ করে শিক্ষার্থী ও অভিভাবকরা। এর আগে ছাত্রীদের সাথে অশালীন আচরণ করে দুইমাস কারাগারে ছিল সে। অবশেষে অভিভাবক ও শিক্ষার্থীদের বিক্ষোভের মুখে তাকে আটক করে কারাগারে পাঠানো হয়।
গত সোমবার রাতে মাদরাসার পরিচালক হাসান এক ছাত্রীকে তার অফিস কক্ষে ঢেকে আনেন। এ সময় বিভিন্ন কথা বলার একপর্যায়ে ওই ছাত্রীর সাথে যৌন উত্তেজনামূলক কথা বলাসহ অশালীন আচরণ করেন। পরে পরিচালকের কক্ষ থেকে বের হয়ে ওই ছাত্রী তার সহপাঠীদের এ ঘটনা জানান। পরবর্তীতে ঘটনাটি অভিভাবকদের কাছে পৌছায়। পরে শনিবার সকাল সাড়ে ১০টার দিকে অভিভাবকরা এসে মাদরাসা ঘেরাও করেন।
খবর পেয়ে পুলিশ ঘটনাস্থলে গিয়ে মাদরাসা পরিচালক ও ঘটনার শিকার মাদরাসার ছাত্রী ও স্বাক্ষীগণকে থানায় নিয়ে আসেন। দুপুরে ওই ছাত্রীর মা পরিচালক হাসানের বিরুদ্ধে শ্লীলতাহানির লিখিত অভিযোগ এনে মামলা দায়ের করেন।
মাদরাসার অন্য ছাত্রীরা জানায়, হুজুর রাতের বেলা পালাক্রমে তাদেরকে রুমে নিতেন। পাশে বসিয়ে যা ইচ্ছে তাই করতেন, কাউকে এসব কথা বলতে নিষেধ করতেন।
এ প্রসঙ্গে মুরাদনগর থানার ওসি সাদেকুর রহমান বলেন, মাদরাসা পরিচালক মো. হাসানের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন আইনে মামলা দায়ের করা হয়েছে। বিকেলে তাকে আদালতের মাধ্যমে জেলহাজতে পাঠানো হয়েছে।