কুমিল্লা পাসপোর্ট অফিসে নজিরবিহীন দুর্নীতি

মেশিন রিডেবল পাসপোর্ট (এমআরপি) নিয়ে অবিশ্বাস্য দুর্নীতি জালিয়াতির ঘটনা ঘটেছে। দেশে ই-পাসপোর্ট চালুর পর এমআরপি নবায়ন বন্ধ হয়ে গেলে শুরু হয় রমরমা ঘুস বাণিজ্য।

বিশেষ করে জাতীয় পরিচয়পত্রে তথ্যগত জটিলতায় যারা ই-পাসপোর্ট নিতে পারছেন না, তাদের ওপর নেমে এসেছে বড় অঙ্কের ঘুসের খড়্গ।

এদিকে যেসব অপরাধী কিংবা রোহিঙ্গারা জাল-জালিয়াতি করে এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) ছাড়াই ভুয়া জন্মনিবন্ধন দিয়ে এমআরপি নিয়েছিলেন এখন তাদের পোয়াবারো।

ই-পাসপোর্ট এড়িয়ে ঘুসের বিনিময়ে তারা নবায়ন করে নিচ্ছেন পুরোনো পাসপোর্ট। এমনকি বিদেশে আত্মগোপনে থাকা প্রভাবশালী রাজনীতিবিদ ও ব্যবসায়ী ঢাকা থেকে এমআরপি নবায়ন করে আছেন বহাল-তবিয়তে। যুগান্তরের দীর্ঘ অনুসন্ধানে নজিরবিহীন এসব তথ্য বেরিয়ে এসেছে।

সরেজমিন : এমআরপি নবায়নে ঘুস বাণিজ্যের অকাট্য প্রমাণ তুলে ধরতে কুমিল্লায় হাজির হয় অনুসন্ধান টিম। ১৭ নভেম্বর অফিস চত্বরে কথা হয় হোমনা থানার দড়িচর গ্রামের বাসিন্দা (সাবেক ইউপি সদস্য) মোহাম্মদ মাইন উদ্দিনের সঙ্গে। জাতীয় পরিচয়পত্র সংক্রান্ত জটিলতায় ই-পাসপোর্ট করাতে পারছে না তিনি। তাই এখন পুরনো এমআরপি নবায়নের চেষ্টা করছেন। তবে বেশি দৌড়ঝাঁপ করতে হয়নি তাকে। হাতের নাগালেই মেলে বিশ্বস্ত দালালের খোঁজ। ৩০ হাজার টাকায় ‘প্যাকেজ’ চুক্তি হয় দালালের সঙ্গে।

তখন বেলা ২টা। টাকা বুঝে পেয়ে কাজ শুরু করেন দালাল। মাইন উদ্দিনকে নিয়ে যাওয়া হয় অফিসের দোতলায় ২০৩ নম্বর কক্ষের সামনে। সেখানে আরও অন্তত ২০ জন এমআরপি প্রত্যাশী অপেক্ষমাণ। কিছুক্ষণ পর অফিসের স্টাফ পরিচয়ে শামীম নামের এক দালাল সেখানে হাজির হন। তিনি সবাইকে পাশের ২০৬ নম্বর কক্ষে যেতে বলেন। ওই কক্ষে আসমাউল হুসনা ওরফে মাসুদা নামের নারী কর্মচারী দায়িত্ব পালন করছেন। আলমারি থেকে এমআরপি আবেদনের একটি বান্ডিল বের করে তার সামনে রাখলেন শামীম। আবেদনের প্রথম পাতায় স্বাক্ষর দিলেন মাসুদা। এরপর নোট হিসাবে নীল কালিতে লিখে দিলেন ‘ভিসা+টিকিট’। অর্থাৎ এমআরপি নবায়নের কারণ ভিসা এবং বিমান টিকিট। অথচ বাস্তবে মাইন উদ্দিনের পাসপোর্টে ভিসার কোনো বালাই নেই। তাই টিকিট কাটার প্রশ্নই ওঠে না। মাসুদার স্বাক্ষর পর্ব শেষ হলে সবাইকে নিচতলায় ১০২ নম্বর কক্ষে নিয়ে যাওয়া হলো। সেখানে দায়িত্বরত কম্পিউটার অপারেটর জোবায়দুল সবার হাতে দিলেন ডেলিভারি স্লিপ। দালাল চ্যানেলে এমআরপি নবায়নের পুরো প্রক্রিয়াটি গোপন ক্যামেরায় রেকর্ড করা হয়। যা প্রতিবেদকের কাছে সংরক্ষিত আছে।

ফালুর হট কানেকশন : বর্তমান সরকার ক্ষমতায় আসার পর হঠাৎ করে লোকচক্ষুর আড়ালে চলে যান আলোচিত বিএনপি নেতা ও ব্যবসায়ী মোসাদ্দেক আলী ফালু। ২০১৯ সালের ১৩ মে ফালুসহ চার ব্যক্তির বিরুদ্ধে ১৯০ কোটি টাকা পাচারের অভিযোগে মামলা করে দুদক। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনতে ইতোমধ্যে প্রজ্ঞাপন জারির নির্দেশ দিয়েছেন আদালত। কিন্তু তিনি দেশে ফিরে আসেননি। একাধিক সূত্র জানিয়েছে, তিনি দীর্ঘদিন থেকে সৌদি আরবে বসবাস করছেন। এছাড়া ব্যবসার কাজে তাকে নিয়মিত ব্যাংকক এবং দুবাইয়ে যাতায়াত করতে হয়। তবে রাজনীতি থেকে দূরে থাকলেও দেশের প্রভাবশালী রাজনীতিবিদদের সঙ্গে দূরত্ব নেই।

সূত্র বলছে, প্রবাসে পলাতক থাকলেও পাসপোর্ট নিয়ে তাকে কোনো ঝামেলা পোহাতে হয়নি। ব্যবহৃত পুরোনো এমআরপি হালনাগাদ হয়ে ইতোমধ্যে পৌঁছে গেছে তার হাতে। বিদেশে বসেই ২০১৯ সালের ১৬ জুলাই হালনাগাদ পাসপোর্ট হাতে পান মোসাদ্দেক আলী ফালু।

পাসপোর্ট নম্বর ইবি০৪৫৬১২৪। এতে ২০২৪ সালের ১৫ জুলাই পর্যন্ত মেয়াদ রয়েছে। তবে ফালুর পাসপোর্ট নবায়নের পদ্ধতি ভিন্ন। ২০১০ থেকে ২০১৯ পর্যন্ত মোট আটবার তার পাসপোর্ট নবায়ন করা হয়। এর মধ্যে দুবার ডকুমেন্ট মুছে ফেলা হয় কম্পিউটার সার্ভার থেকে।

একবার পাসপোর্ট নবায়ন করলে তার মেয়াদ থাকে পাঁচ বছর। সেখানে নয় বছরে মোসাদ্দেক আলী ফালুর পাসপোর্ট এভাবে আটবার নবায়ন করার ঘটনাও রহস্যজনক। একটি ভয়াবহ বেআইনি পদক্ষেপ যারা নিয়েছেন তারা কোন সাহসে এবং কত টাকায় এটি করেছেন অনেকের কাছে সেটিই এখন মিলিয়ন ডলারের প্রশ্ন। আলোচিত এই ব্যবসায়ী ২০০১-২০০৬ মেয়াদে বিএনপি সরকারের আমলে সাবেক প্রধানমন্ত্রী খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব ছিলেন। পরে বিএনপির কেন্দ্রীয় কমিটির সহসভাপতির পদও পান। ওয়ান-ইলেভেন সরকারের সময় তিনি দীর্ঘদিন কারাবন্দি ছিলেন।

কুষ্টিয়া কেলেঙ্কারি ফাঁস : এমআরপি নবায়নে রীতিমতো লঙ্কাকাণ্ড ঘটে কুষ্টিয়া অফিসে। ঘুসের বিনিময়ে হাজার হাজার এমআরপি নবায়ন করে দেওয়া হয়। খবর পেয়ে বরিশাল, ভোলা, সিলেট, সুনামগঞ্জ, নোয়াখালী, কিশোরগঞ্জ, রাজশাহী এবং পঞ্চগড়সহ দূর-দূরান্ত থেকে এসে কুষ্টিয়ায় ভিড় জমান অনেকে। ২০২১ সালের ১৫ জুলাই থেকে ২০২২ সালের ২০ মার্চ পর্যন্ত মাত্র ৮ মাসে কুষ্টিয়ায় সাড়ে ৩ হাজারের বেশি এমআরপি নবায়নের আবেদন জমা হয়। এসব আবেদনের বেশির ভাগই আসে দালালচক্রের হাত ধরে।

কুষ্টিয়া অফিসের বেশ কয়েকটি এমআরপি আবেদন সরেজমিন যাচাই করে অনুসন্ধান টিম। এতে ভয়াবহ তথ্য বেরিয়ে আসে। যেমন মমতা বেগম নামের এক নারীর আবেদন (আইডি ৫০০১০০০০০৩৭৭৬১৪) যাচাই করে দেখা যায় তার স্থায়ী ঠিকানা-কেরানীগঞ্জের ৬ নম্বর ওয়ার্ডের রুহিতপুর লাখিরচর গ্রাম। পিতা-মাতার নাম যথাক্রমে আনজু মিয়া ও রোকেয়া বেগম। গত বছর ৮ আগস্ট কুষ্টিয়া থেকে এমআরপি নবায়ন করেন তিনি।

২০ নভেম্বর কেরানীগঞ্জের লাখিরচরে আনজু মিয়ার বাড়িতে গেলে তিনি বলেন, তার দুই ছেলে। খোরশেদ এবং মোরশেদ আলী। কোনো মেয়ে নেই। তবে ৫-৬ বছর আগে মমতা নামের এক অপরিচিত নারী তাদের বাড়িতে আশ্রয় নেন। তিনি তাদের বাবা-মা বলে ডাকতেন। কিছুদিন এখানে থাকলেও মমতা বর্তমানে লেবানন প্রবাসী।

একইভাবে নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লা থানার দুর্গম চর বক্তাবলীর আকবর নগরের বাসিন্দা গৃহবধূ মিনা দালালের মাধ্যমে কুষ্টিয়া থেকে তার এমআরপি নবায়ন করান। (আইডি ৫০০১০০০০০৩৭৭৬১৫)। কথা বলার জন্য ২১ নভেম্বর আকবর নগর গ্রামে গেলে মিনাকে পাওয়া যায়নি। তার বোন হালিমা খাতুন বলেন, ‘মিনা বর্তমানে সৌদি প্রবাসী। সেখানে গৃহকর্মী হিসাবে কাজ করেন। পাসপোর্টের মেয়াদ শেষ হওয়ায় বছরখানেক আগে দেশে আসেন। কিন্তু কোথাও তার পাসপোর্ট নবায়ন হচ্ছিল না। শেষমেশ আদম দালালদের সহায়তায় কুষ্টিয়া থেকে নবায়ন করা হয়।’

বরগুনার অধিবাসী হিরন কুষ্টিয়া থেকে তার পাসপোর্ট নবায়ন করেন (আইডি ৫০০১০০০০০৩৮০৮৬১) গত ১১ মার্চ। মোবাইলে যোগাযোগ করা হলে হিরন বলেন, ‘আমি বিদেশে যাব। কিন্তু এনআইডি (জাতীয় পরিচয়পত্র) জটিলতায় ই-পাসপোর্ট করতে পারছিলাম না। পুরোনো এমআরপিও নবায়ন করা যাচ্ছে না। এতে মহাবিপদে পড়ে যায়। এক পর্যায়ে জানতে পারি, কুষ্টিয়া গেলে ‘কাজ হবে’। পরে দালালের মাধ্যমে কুষ্টিয়া থেকে এমআরপি নবায়নে আমার খরচ হয় ৫০ হাজার টাকা।’

আমলনামা : দেশের ৬৯টি পাসপোর্ট অফিসের মধ্যে বিশেষ কয়েকটি অফিসে ‘এমআরপি নবায়ন বাণিজ্যের প্রাদুর্ভাব’ দেখা যায়। এর মধ্যে গত ১০ মাসে কেবল কুমিল্লা অফিস থেকেই নবায়ন করা হয় ৪ হাজার ৯৩৯টি এমআরপি। দুর্নীতির অভিযোগে সম্প্রতি কুমিল্লার উপপরিচালক মো. নুরুল হুদাকে অন্যত্র বদলি করা হয়। কুমিল্লায় পোস্টিং পান যশোরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নুরুল হুদা। কিন্তু এতে পরিস্থিতি বদলায়নি। কারণ উপপরিচালক ছাড়াও সুপারিনটেন্ড আসমাউল হুসনা ওরফে মাসুদা, উপসহকারী পরিচালক (ডিএডি) শেখ মাহবুবুর রহমান, অ্যাকাউন্টেন্ট আলীম উদ্দিন ভুঁইয়া ওরফে চ্যানেল মাস্টার ও উচ্চমান সহকারী সুনিল দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মচারী হিসাবে পরিচিত। এর মধ্যে মাসুদা অঢেল সম্পদের মালিক। রাজধানীর মিরপুর-১০ নম্বরে কোটি টাকা মূল্যের ফ্ল্যাট, একাধিক প্লট ও ব্যক্তিগত গাড়ি রয়েছে তার। কেরানি পদে চাকরি করে মেয়েকে পড়াচ্ছেন ব্যয়বহুল একটি বেসরকারি মেডিকেল কলেজে। এছাড়া দুর্নীতিতে জড়িত কুমিল্লা অফিসের আউটসোর্সিং কর্মচারী তোফাজ্জল, মোসলেম ও রাজু। ঘুসের টাকা লেনদেনসহ দালাল চ্যানেলের সঙ্গে সার্বক্ষণিক যোগাযোগ রাখেন শামীম, দুলাল ও আতিক নামের তিন বহিরাগত। অফিসের সিসি ক্যামেরায় এর অকাট্য প্রমাণ রয়েছে।

সূত্র জানায়, এমআরপি বাণিজ্য চলছে উত্তরের জেলা ঠাকুরগাঁওয়ে। গত জুনে সেখানে ৬৮৮টি এমআরপি আবেদন জমা পড়লে সহকারী পরিচালক শওকত কামালকে বান্দরবান পাঠানো হয়। কিন্তু এখন সেখানেও এমআরপি বাণিজ্য শুরু হয়েছে। গত সেপ্টেম্বরে ১৭০টি আবেদন জমা হয় বান্দরবানে। এছাড়া চট্টগ্রামের মুনসুরাবাদ অফিসে এমআরপি বাণিজ্য চলছে ওপেন সিক্রেট স্টাইলে। সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান (আবু সাঈদ) অধিদপ্তরের শীর্ষস্থানীয় দুর্নীতিবাজ হিসাবে পরিচিত। আলোচিত ২৫ জন পাসপোর্ট দুর্নীতিবাজের গোয়েন্দা তালিকার ২৫ নম্বরে আছে আবু সাঈদের নাম। এছাড়া তিনি চাকরি জীবনের শুরুতেই একবার ঘুসের টাকাসহ গ্রেফতার হয়ে জেলে যান।

এমআরপি বাণিজ্য চলছে মুন্সীগঞ্জ অফিসেও। সাবেক অফিস প্রধান নাজমুল হোসেনের (সহকারী পরিচালক) অঢেল বিত্তবৈভবের কথা সবার মুখে মুখে। সম্প্রতি তিনি গ্রামের বাড়ি পটুয়াখালী জেলার বাউফলে নির্মাণ করেছেন সুরম্য বাংলো। এছাড়া ঢাকার মিরপুরে কিনেছেন কোটি টাকার প্লট। সেখানে টিনশেডের ঘর তুলে ভাড়াও দিয়েছেন। ঘুস বাণিজ্য থেকে বাদ পড়েনি লক্ষ্মীপুর অফিসও। চলতি দায়িত্বে কিছুদিন সেখানকার অফিস প্রধান ছিলেন জাহাঙ্গীর আলম। এ সময় তিনি নাকি দুহাতে টাকা কামান। এছাড়া প্রিন্টিং শাখার সাবেক উপপরিচালক রোজি খন্দকারের সঙ্গে হাত মিলিয়ে ঘুস বাণিজ্যের অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। তবে সম্প্রতি জাহাঙ্গীরকে অন্যত্র সরিয়ে রোজি খন্দকার নিজেই যোগ দিয়েছেন লক্ষ্মীপুরে।

দুর্নীতিগ্রস্ত কর্মকর্তা হিসাবে পরিচিত কুষ্টিয়ার সাবেক সহকারী পরিচালক জাহিদুল হক। এমআরপি বাণিজ্য ছাড়াও রোহিঙ্গা পাসপোর্ট কেলেঙ্কারিতে জড়িত থাকার অভিযোগ আছে তার বিরুদ্ধে। এছাড়া দুর্নীতি, অসদাচরণ ও শৃঙ্খলাপরিপন্থি কাজের জন্য একাধিকবার বিভাগীয় শাস্তির মুখে পড়েন জাহিদ। বর্তমানে তাকে অনেকটা ওএসএডি (বিশেষ ভারপ্রাপ্ত) স্টাইলে ই-পাসপোর্ট প্রকল্পে সংযুক্ত রাখা হয়েছে। এছাড়া বিপুলসংখ্যক এমআরপি নবায়ন হচ্ছে সীমান্তবর্তী জেলা পঞ্চগড়ে। সেখানে গত ১০ মাসে ৯৬৫টি এমআরপি নবায়ন হয়। পঞ্চগড়ের সহকারী পরিচালক রুস্তম আলী। দুর্নীতির টাকায় রুস্তম নাকি অঢেল সম্পদের মালিক বনে গেছেন। রাজধানীর ধানমন্ডিতে বসবাস করেন কোটি টাকার ফ্ল্যাটে। আছে নামি ব্র্যান্ডের দামি গাড়ি।

নিষেধাজ্ঞা সত্ত্বেও এমআরপি নবায়ন প্রসঙ্গে জানতে চাইলে পাসপোর্ট অধিদপ্তরের পরিচালক সাঈদুল ইসলাম (পাসপোর্ট, ভিসা ও পরিদর্শন) ২৮ নভেম্বর বলেন, দেশের ভেতরে এমআরপি নবায়ন বন্ধ রাখা হয়েছে। তবে পাসপোর্টে বৈধ ভিসা থাকলে বা নিশ্চিত বিমান টিকিটধারী যাত্রী অথবা জরুরি চিকিৎসার জন্য বিদেশ গমনেচ্ছুদের বিশেষ বিবেচনায় রাখতে বলা হয়েছে। এসব ক্ষেত্রে সংশ্লিষ্ট অফিস প্রধান নিজে আবেদনকারীর ব্যক্তিগত শুনানি নেবেন। যথাযথ কারণ দেখে সন্তুষ্ট হলে তিনি এমআরপি নবায়নের অনুমতি দিতে পারবেন। অন্যথায় নবায়ন হবে না।

সূত্রঃ যুগান্তর

আরো পড়ুন