কুমিল্লায় সূর্যমুখীর আবাদ বেড়েছে
কুমিল্লায় সূর্যমুখীর আবাদ বেড়েছে। গত বছরের তুলনায় জেলায় সূর্যমুখী চাষ বেড়েছে দেড় গুণ। আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এ জেলার কৃষকরা সূর্যমুখীর বাম্পার ফলনের আশা করছেন।
কৃষকরা বলছেন, তেল জাতীয় অন্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখীর চাষ অনেক সহজলভ্য ও উৎপাদন খরচ কম।
জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের তথ্যমতে, এ বছর কুমিল্লার দেবিদ্বার, বরুড়া, ব্রাহ্মণপাড়া, চান্দিনা, চৌদ্দগ্রাম, দাউদকান্দি, হোমনা, লাকসাম, মুরাদনগর, নাঙ্গলকোট, কুমিল্লা আদর্শ সদর, মেঘনা, মনোহরগঞ্জ, সদর দক্ষিণ, তিতাস, বুড়িচং ও লালমাই উপজেলার ৩১০ জন কৃষক ১১৮ হেক্টর জমিতে প্রণোদনার প্রকল্পের আওতায় কৃষকরা হাইসান (হাইব্রিড আরডিএস-২৭৫) জাতের সূর্যমুখীর চাষ শুরু করেছে। যার প্রতি বিঘায় ফলন হবে ৫ থেকে ৬ মন।
শনিবার (৪ ফেব্রয়ারি) সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, জেলার সদর দক্ষিণ উপজেলার চৌয়ারা বাজার সংলগ্ন ডুমুরিয়া এলাকার কৃষক আবদুল জলিল তার ৫০ শতাংশ জমিতে সূর্যমুখীর চাষ করেছেন। তার জমিতে বাতাসে দোল খাচ্ছে পাকা ও আধাপাকা সূর্যমুখি ফুল।
আবদুল জলিল বলেন, গত ২ মাসে বিভিন্ন প্রকার সার ও পানির সেচ দিয়ে ২৫ থেকে ৩৫ হাজার টাকা খরচ হয়েছে।তবে এখনও ফুল পাকা শুরু করেনি। কিছুদিনের মধ্যে পেকে গেলে সূর্যমুখী ফুলগুলো সংরক্ষণ করে তেল উৎপাদন করে বাজারজাত করবো।
তিনি আরও বলেন, ফলন খুব ভালো হয়েছে।কৃষি সম্প্রসারণ অফিস থেকে ম্যাডাম প্রায় দিন এসে দেখে যান ও বিভিন্ন দিকনির্দেশনা দেন।তবে কিছু ছেলে-মেয়েরা ফুল দেখতে এসে ফুল ছিঁড়ে ফেলে, তার জন্য খুব কষ্ট হয়। এরজন্য ক্ষেতে পাহারা দিতে হয়।
সদর দক্ষিণ বিজয়পুরের চৌধুরীখোলা এলাকার কৃষক মো. ইয়াছিন বলেন, কিছু লাভের আশায় সূর্যমুখী চাষ শুরু করেছি এবং ভালো ফলনও হয়েছে।কিছু দিন আগে সদর দক্ষিণ কৃষি অফিসের হাবিবুল বাশার স্যার পরিদর্শন করে গেছেন।
কৃষি অফিস বলছে, সূর্যমুখীর চাষে প্রতি বিঘায় ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা খরচ করে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা আয় করা সম্ভব।অন্যান্য ফসলের চেয়ে সূর্যমুখী চাষে লাভ অনেক বেশি। সূর্যমুখী চাষ করলে তেল, খৈল ও জ্বালানি পাওয়া যায়। প্রতি কেজি বীজ থেকে কমপক্ষে আধা লিটার তৈল উৎপাদন সম্ভব।