মশার উপদ্রবে অতিষ্ঠ কুমিল্লা নগরবাসী
বর্ষা মৌসুম শুরু হওয়ার আগেই বেড়েছে মশার উপদ্রব। মশার কামড়ে অতিষ্ঠ কুমিল্লা নগরবাসী। অনেকে মশার যন্ত্রণা থেকে বাঁচতে দুবেলা ব্যবহার করছেন মশার কয়েল। ড্রেন-ডোবায় পানি জমে থাকায় মশার উপদ্রব বেড়েছে বলে অভিযোগ নগরবাসীর।
কুমিল্লা মহিলা কলেজের এক শিক্ষার্থী সময় সংবাদকে বলেন, মশা শুধু কামড়ায় না, সারাক্ষণ কানের পাশে ভনভন করে। দিনে ও রাতের বেলা কয়েল জ্বালানোর কারণে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়। কয়েল বন্ধ করলে আবার মশার উপদ্রব বেড়ে যায়।
কুমিল্লা নগরীর ধর্মসাগর পশ্চিমপাড় এলাকার বাসিন্দা রাহেলা বেগম বলেন, ‘মশার যন্ত্রণায় ঘরে থাকা যায় না। শুধু রাতেই নয়, দিনের বেলায়ও মশার যন্ত্রণায় অতিষ্ঠ আমরা। দিনের বেলায় মাটির চুলায় ধোঁয়া দিই, কয়েল জ্বালানোর পরও মশা যায় না। দু-এক মাস পরপর সিটি করপোরেশন মশার ওষুধ ছিটায়, কিন্তু কোনো লাভ হয় না। ছোট নাতি-নাতনি আছে। বাচ্চাগুলো দিনের বেলায় ঘুমাতে পারে না।’
প্রেসক্লাবের সাবেক সভাপতি জহিরুল হক দুলাল বলেন, ‘ওষুধ কার্যকরী না হলে মশানিধন সম্ভব হবে না। নিয়মিত ড্রেন-ডোবা পরিষ্কার করতে হবে। কুমিল্লা সিটি করপোরেশন কিছুদিন পরপরই ওষুধ ছিটিয়ে থাকে। আমার মনে হয় এই ওষুধের কার্যকারিতা নেই। ওষুধ ছিটানোর পর বাইরের সব মশা ঘরে ঢুকে যায়। একটি মশাও মরে না।’
কুমিল্লা সিটি করপোরেশনের মেয়র আরফানুল হক রিফাত বলেন, ‘নিয়মিত ওষুধ ছিটানো হচ্ছে, তারপরও কেন মশা নিধন করা যাচ্ছে না–এ নিয়ে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। সমস্যাটা খুঁজে বের করতে হবে। আপনারা জানেন, মশানিধনের ওষুধগুলো বাংলাদেশ সেনাবাহিনীর একটি প্রজেক্ট থেকে আসে। সেনাবাহিনীর কাজ তো খারাপ হয় না। তারপরও আমি দেখছি কেন এই ওষুধ কাজ করছে না। আশা করছি কিছুদিনের মধ্যেই একটা ফল পাব।’