কুমিল্লার অশোকতলায় শ্বশুর বাড়িতে যুবকের রহস্যজনক মৃত্যু !
কুমিল্লা নগরীর অশোকতলায় শ্বশুর বাড়িতে তাকিব নামের এক যুবকের রহস্যজনক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। মৃত্যুর তিন দিন আগে তাকিব থানায় জিডি করেছিল। কিন্তু জিডি করেও শেষ রক্ষা হয়নি বলে জানিয়েছেন তাকিবের মামা। ২১ জুলাই শুক্রবার সকালে কুমিল্লা অশোকতলা শ্বশুর বাড়িতে এ মৃত্যুর ঘটনা ঘটে। নিহত তাকিবের বাড়ি কুমিল্লা নগরীর শুভপুর এলাকায়।
জানা যায়, ২০ জুলাই স্ত্রী ইতি বেগম তাকিবকে ডেকে আনে তার বাড়িতে। সকালে রহস্যজনক ভাবে মৃত্যু হয় তাকিবের। তাকিবের পরিবারের দাবি তাকিবকে ইতি এবং তার পরিবার খুন করেছে। আর স্ত্রী ইতি ও তার পরিবাবের দাবি এটা আত্মহত্যা।
নিহত তাকিবের মামা নুর আলম বলেন, তাকিবের স্ত্রী ইতি বেগম প্রেম করে ৭লাখ টাকা কাবিন করে তাকিবকে বিয়ে করে। ইতি বেগম ছিলো মুলত নেশাগ্রস্থ। সে একাধিক পরকিয়া প্রেমে আসক্ত ছিলো। এ নিয়ে বিয়ের পর থেকে শুরু হয় নানা সমস্যা। টাকার জন্য তাকিবকে কিছু দিন পরপর চাপ সৃষ্টি করে। এ জাতীয় একটি কল রেকর্ডিং স্যোসাল মিডিয়া ফেসবুকেও ভাইরাল হয়। গত ২০ জুলাই তাকিবের স্ত্রী তাকিবকে ফোন করে তার বাসায় নেয়। এবং সকালে তার মৃত্যু হয়।
তাকিবের মামা আরো বলেন, আমরা সকালে ঐ জায়গায় গিয়ে জানতে পারি তাকিব তার বাড়িতে আসার পর থেকে তার সাথে ঝগড়া শুরু হয়। সারারাত তাদের এই ঝগড়া চলতে থাকে। ঝগড়া চলা অবস্থায় তাদের মধ্যে হাতাহাতি হয়। আমার ভাগিনা তাকিবের পুরো শরীর থেতলানো ছিলো। একটা আঙ্গুল বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। তাকিব যদি ট্রেনের নিচে পরে আত্মহত্যা করতো তাহলে তার পুরো শরীর বিচ্ছিন্ন হয়ে যেত। সুতরাং বলাই যায় এটা টাকার জন্য পরিকল্পিত একটি খুন। যার সাথে তার স্ত্রী ইতি বেগম সহ তার পরিবার জড়িত।
তাকিবের স্ত্রী ইতি বেগমের সাথে মুঠু ফোনে একাধিক বার যোগাযোগ করেও ফোন বন্ধ থাকায় যোগাযোগ করা যায়নি। স্ত্রী ইতি বেগমের সাথে ঝামেলা হওয়ার পরে গত ১৯ জুলাই তাকিবের মা তাহমিনা বেগম বাদী হয়ে কুমিল্লা কোতয়ালি থানায় সন্তানের নিরাপত্তা চেয়ে একটি অভিযোগ করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা কোতয়ালি মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ আহমেদ সানজুর মোর্শেদ বলেন, এটা কুমিল্লা রেলওয়ে ফাঁড়ি বলতে পারবে। তারা সেখানে ছিলো। এটা রেলওয়ে পুলিশের বিষয়।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে কুমিল্লা রেলওয়ে পুলিশ ফাঁড়ির আইসি এসআই মোস্তফা কামাল বলেন, এ বিষয়ে লাকসাম রেলওয়ে থানায় একটি অপমৃত্যুর মামলা হয়েছে। ময়নাতদন্তের রিপোর্ট হাতে আসলে বলতে পারবো। রিপোর্ট আসলে তদন্ত করে ব্যবস্থা নেবো।