লঙ্কানদের ৩০২ রানে হারিয়ে ভারতের রেকর্ড

ত্রয়োদশ ওয়ানডে বিশ্বকাপে নিজেদের সপ্তম ম্যাচে স্বাগতিক ভারতের মুখোমুখি হয়েছিল শ্রীলংকা দল। যেখানে স্বাগতিকদের কাছে বড় হারের লজ্জা পেয়েছে লংকানরা। এ জয়ে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে তো বটেই, আসরের সেমিফাইনালেও এক পা দিয়ে রাখলেন রোহিত-কোহলিরা।

বৃহস্পতিবার মুম্বাইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে আগে ব্যাট করে নির্ধারিত ৫০ ওভারে আট উইকেটে ৩৫৭ রান করে ভারত। লক্ষ্য তাড়ায় ব্যাটিং বিপর্যয়ে ১৯.৪ ওভারে ৫৫ রানেই গুটিয়ে গেছে লংকানরা। এতে ৩০২ রানের বিশাল ব্যবধানে জয় নিয়ে মাঠ ছেড়েছে মেন ইন ব্লুজরা।

লক্ষ্য তাড়ায় শুরুতেই হোঁচট খেয়েছে শ্রীলংকা। দলটির হয়ে ইনিংস উদ্বোধনে নামেন পাথুম নিশাঙ্কা ও দিমুথ করুণারত্নে। তবে ইনিংসের প্রথম বলেই নিশাঙ্কাকে সাজঘরের পথ দেখিয়েছেন জাসপ্রিত বুমরাহ।

এরপর বাইশ গজে আসেন লংকান দলপতি কুশল মেন্ডিস। তাকে সঙ্গ দেওয়া করুণারত্নে ও সাদিরা সামারাবিক্রমা ব্যর্থ হয়ে শূন্য রানেই সাজঘরে ফিরেছেন। রানের খাতা খুললেও ১ রানে প্যাভিলিয়নে ফিরে যান মেন্ডিসও। তাকে বোল্ড করে ইনিংসের তৃতীয় উইকেট তুলে নেন সিরাজ।

এরপর শুধু আসা-যাওয়ার মধ্যে ছিলেন লংকান ব্যাটাররা। নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে রীতিমতো ধুঁকছে ক্রিস সিলভারউডের শিষ্যরা।

ব্যাট হাতে অল্প সময় লড়াই করে সাজঘরে ফিরে যান কাসুন রাজিথা। সামির বলে গিলের তালুবন্দী হওয়ার আগে ১৪ রান করেন তিনি। এরপর উইকেটে এসেই সাজঘরে ফিরেন দিলশান মধুশঙ্কা। এতে লংকানদের ইনিংস থামে ৫৫ রানে। যা বিশ্বকাপের ইতিহাসে চতুর্থ সর্বনিম্ন রানের লজ্জার রেকর্ড। আর ওয়ানডে ক্রিকেটের ইতিহাসে ১৫তম সর্বনিম্ন রানের রেকর্ড।

এদিন ভারতের হয়ে সর্বোচ্চ ৫ উইকেট শিকার করেন মোহাম্মদ শামি। এছাড়া তিন টপ অর্ডারের গুরুত্বপূর্ণ উইকেট নিয়েছেন মোহাম্মদ সিরাজ।

এর আগে টস হেরে ব্যাট করে স্বাগতিক ভারত। দলটির হয়ে যথারীতি ইনিংস উদ্বোধনে নামেন রোহিত শর্মা ও শুভমান গিল। তবে রোহিত শর্মার কাছে প্রথম বলে চার খেলেও পরের বলেই তাকে বোল্ড করেন দিলশান মধুশঙ্কা।

শুরুতেই ধাক্কা খাওয়ার পর অবশ্য আর উইকেট হারায়নি ভারত। শুভমান গিল ও বিরাট কোহলি মিলে দলকে এগিয়ে নিতে থাকেন। দুজনই একবার করে জীবন পেয়েছেন। যা ঠিকঠাক কাজেও লাগান তারা।

দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রথমে অর্ধশতক পূরণ করেন বিরাট কোহলি। এর একটু পরই ফিফটি স্পর্শ করেন শুভমান গিলও। হেমন্থের বলে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে অর্ধশতকে পৌঁছান এ ওপেনার। তিনি ছিলেন সেঞ্চুরির পথেও। তবে ৯২ রানে মধুশঙ্কার বলে আউট হন গিল।

সেঞ্চুরি মিসের হতাশা নিয়ে নার্ভাস নাইন্টিজে সাজঘরে ফেরেন গিল। সঙ্গীর বিদায়ের পর আউট হন কোহলিও। তিনিও সেঞ্চুরি থেকে ছিলেন সামান্য দূরে। মধুশঙ্কার তৃতীয় শিকারে পরিণত হওয়ার আগে ৮৮ রান করেন এ ডানহাতি ব্যাটার।

কেএল রাহুল ও সূর্যকুমার যাদব দুজনের কেউই আজ বড় ইনিংস খেলতে পারেননি। তবে একপ্রান্ত আগলে অনবদ্য হাফ সেঞ্চুরি হাকিয়ে দলকে বড় সংগ্রহের পথে নিয়ে যান শ্রেয়স আইয়ার। ৩৬ বলে অর্ধশতক হাঁকিয়েছেন তিনি।

এরপর দ্রুত গতিতে সেঞ্চুরির পথে ছুটছিলেন তিনি। কিন্তু মধুশঙ্কার বলে থিকশানার তালুবন্দী হন আইয়ার (৮২)। শেষ মুহূর্তে জাদেজার ছোট্ট ক্যামিওতে ভারতের ইনিংস থামে ৩৬০ রানে।

এদিন শ্রীলংকার হয়ে সর্বোচ্চ পাঁচ উইকেট শিকার করেন দিলশান মধুশঙ্কা।

আরো পড়ুন