হেলমেট-মাক্স পরে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের ঝটিকা মিছিল, গ্রেফতার ৬
নেত্রকোনার পূর্বধলায় ঝটিকা মিছিল করেছে নিষিদ্ধ সংগঠন ছাত্রলীগের নেতা-কর্মীরা। এ ঘটনায় স্থানীয় ছাত্রলীগের ৬ নেতা-কর্মীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।
মিছিলের বেশিরভাগ নেতাকর্মী ছিলেন হেলমেট ও মাক্স পরিহিত।
রোববার (২৪ নভেম্বর) সকালে পূর্বধলা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) রিয়াদ মাহমুদ এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
এর আগে শনিবার রাতে উপজেলার বিভিন্ন এলাকায় অভিযান চালিয়ে তাদের আটক করে পুলিশ।
গ্রেফতার ব্যক্তিরা হলেন, উপজেলার ডুবারুহি গ্রামের লিটন খন্দকারের ছেলে সাগর খন্দকার (২৫)। বালুচরা গ্রামের আবুল কাশেম তালুকদারের ছেলে আতিক হাসান (৩২) ওরফে আল-আমিন। ছোট ইলাছপুর গ্রামের আলতাফ হোসেনের ছেলে ইয়াহিয়া তালুকদার (২১)। একই গ্রামের মৃত বাবুল চৌধুরীর ছেলে আরমান চৌধুরী (১৯)। মো. তাজউদ্দীনের ছেলে মোস্তাকিন (১৯)। পূর্বধলা নয়াপাড়া গ্রামের উজ্জ্বল দত্তের ছেলে দীপ্ত দত্ত (২০)।
স্থানীয় ও পুলিশ সূত্রে জানা যায়, শনিবার ভোরে উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শাহাদাত হোসেনের নেতৃত্বে শ্যামগঞ্জ-দুর্গাপুর সড়কের বালুচরা এলাকায় একটি ঝটিকা মিছিল বের করা হয়। পরে পুর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগ নামের একটি ফেইসবুক আইডি থেকে মিছিলটির ১ মিনিট ৪৯ সেকেন্ডের একটি ভিডিও আপলোড করা হয়। ৫ আগস্টের পর নেত্রকোনায় আওয়ামী লীগের অঙ্গ সংগঠনের এটিই প্রথম মিছিল।
স্থানীয়দের বরাত দিয়ে আরও জানা যায়, মিছিলে নেতৃত্ব দেওয়া ছাত্রলীগ নেতা শাহাদত নেত্রকোনা-৫ (পূর্বধলা) আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক বীর মুক্তিযোদ্ধা আহমদ হোসেনের ভাতিজা।
প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা গেছে, শনিবার সকালের দিকে ছাত্রলীগের কয়েকজন নেতাকর্মী বিভিন্ন স্লোগানে মিছিল বের করে। কয়েক মিনিট মিছিল করার পর তারা মোটরসাইকেলে দ্রুত এলাকা ত্যাগ করে।
এদিকে মিছিলের ভিডিও পূর্বধলা উপজেলা আওয়ামী লীগের ফেসবুক পেজে শেয়ার করার পর এটি ছড়িয়ে পড়ে। এ ছাড়াও শাহাদত হোসাইন নিজের আইডিতে ভিডিওটি শেয়ার করেন। সেখানে লেখা হয়, ‘দেশরত্ন শেখ হাসিনার নামে মিথ্যা মামলা ও নেত্রকোনা-৫ আসনের সাবেক এমপি বীর মুক্তিযোদ্ধা জননেতা আহমদ হোসেনের মুক্তির দাবিতে বালুচরা বাজারে প্রতিবাদ মিছিল করে উপজেলা ছাত্রলীগ।
ওসি রিয়াদ মাহমুদ বলেন, এ পর্যন্ত ছয় জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তবে অভিযান অব্যাহত রয়েছে। এ ঘটনায় তাদের বিরুদ্ধে সন্ত্রাস দমন আইমে মামলা দেওয়া হয়েছে। পরে বিকেলে তাদের আদালতে পাঠানো হবে।