কাল থেকে সেন্টমার্টিন রুটে জাহাজ চলাচল শুরু
আগামীকাল বৃহস্পতিবার (২৮ নভেম্বর) থেকে কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌরুটে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচল শুরু হবে। প্রতিদিন যেতে পারবেন দুই হাজার পর্যটক।
তবে সম্প্রতি নাফ নদীতে ডুবোচর জেগে ওঠার কারণে নাব্যতার সংকট এবং মিয়ানমার সীমান্তে গোলাগুলির কারণে নিরাপত্তার অভাবে আপাতত টেকনাফ থেকে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে না। শুধু কক্সবাজার শহর থেকে জাহাজ চলাচল করবে।
পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহরের বিআইডব্লিউটিএ ঘাট থেকে প্রতিদিন জাহাজ ছাড়া হবে।
সেন্টমার্টিনে পর্যটন নিয়ন্ত্রণে সরকার গঠিত কমিটির প্রথম সভায় মঙ্গলবার (২৬ নভেম্বর) রাতে এমন সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
উল্লেখ্য, প্রতিবছর সরকারের পক্ষ থেকে অক্টোবর থেকে মার্চ পর্যন্ত ছয় মাস টেকনাফ-সেন্টমার্টিন ও কক্সবাজার-সেন্টমার্টিন নৌ-রুটে জাহাজ চলাচলের অনুমতি দেওয়া হয়। বাকি ছয় মাস সাগর উত্তাল থাকায় জাহাজ চলাচল বন্ধ রাখা হয়।
কাজের সুবিধার্থে পর্যটন নিয়ন্ত্রণ কমিটিতে নতুন করে পাঁচজন সদস্য অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে। নতুন সদস্যরা হলেন- দ্বীপে চলাচলকারী জাহাজ মালিক সমিতির সভাপতি, সেন্টমার্টিন হোটেল মালিক সমিতির সভাপতি, কক্সবাজার সদর মডেল থানার ওসি, কক্সবাজার ট্যুর অপারেটর এসোসিয়েশনের (টুয়াক) সভাপতি এবং কক্সবাজার প্রেসক্লাব সভাপতি।
বিষয়টি নিশ্চিত করে কমিটির আহ্বায়ক ও কক্সবাজার সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা (ইউএনও) নিলুফা ইয়াছমিন চৌধুরী বলেন, “সেন্টমার্টিন দ্বীপে পর্যটক যাতায়াত এবং জাহাজ চলাচলের বিষয়ে পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন মন্ত্রণালয়ের নির্দেশনা মেনে কক্সবাজার শহরে জাহাজ চলাচলের ঘাট নির্ধারণ করেছি। একই সাথে কাজের সুবিধার্থে কমিটিতে নতুন করে পাঁচজন সদস্যকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়েছে।”
এর আগে, গত সোমবার জেলা প্রশাসকের কাছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ নামের একটি জাহাজকে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে অনুমতি দেওয়া হয়েছে।
কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট (এডিএম ) নিজাম উদ্দিন আহমেদ বলেন, জেলা প্রশাসকের কাছে পর্যটকবাহী জাহাজ চলাচলের জন্য কেয়ারি সিন্দাবাদ আবেদন করেছিল। তারা সেই জাহাজকে যাচাই-বাছাই শেষে কক্সবাজার শহর থেকে যাওয়ার জন্য অনুমতি দিয়েছে।