‘হাসনাতকে কুমিল্লায় নামিয়ে আসলাম, এখন শুনছি আবারও গাড়িচাপার চেষ্টা’
চট্টগ্রামের লোহাগাড়ায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের আহ্বায়ক হাসনাত আবদুল্লাহ ও সারজিস আলমের গাড়িবহরে থাকা একটি গাড়িতে ট্রাক ধাক্কা দেয়। এতে গাড়িটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে এ ঘটনায় কেউ হতাহত হননি।
বুধবার সন্ধ্যা সাড়ে সাতটার দিকে চট্টগ্রাম-কক্সবাজার মহাসড়কের লোহাগাড়া উপজেলা অংশের চুনতি হাজী রাস্তার মাথা এলাকায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
এর ঘটনার পর বৃহস্পতিবার সকালে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীতে হাসনাতের গাড়িতে আবারও চাপা দেওয়া হয়। দুপুরে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কেন্দ্রীয় আহ্বায়ক কমিটির মূখ্য সংগঠক আব্দুল হান্নান মাসুদ ফেসবুক পোস্টে এ অভিযোগ করেন।
মাসুদের পর এই ঘটনা নিয়ে ফেসবুকে পোস্ট দিয়েছেন সারজিস আলমও। কোনো ধরনের সম্পাদনা ছাড়াই তার পোস্টটি পাঠকদের জন্য তুলে ধরা হলো-
চট্টগ্রাম থেকে গতকাল রাতেই অন্য গাড়িতে করে ঢাকা ব্যাক করলাম৷ পথে হাসনাতকে কুমিল্লার বাসায় নামিয়ে দিয়ে আসলাম। এখন শুনছি সকালে কুমিল্লা থেকে ঢাকা আসার পথে হাসনাতের গাড়িতে পিছন থেকে আবার অন্য গাড়ি দিয়ে চাপা দেওয়ার চেষ্টা করা হয়েছে! এসব ষড়যন্ত্র করে আর কত? কয়জন হাসনাত মারবেন?
মনে নাই সেই অভ্যুত্থানের দিনগুলোর কথা? একজনকে যখন বুলেটের আঘাতে লাশ বানিয়েছেন তখন সেই জায়গায় অন্যজন দাঁড়িয়ে গিয়েছে! কিন্তু পিছু হটেনি।
ঠিক একইভাবে এক হাসনাতকে মারলে হাজারো হাসনাত এখন দাঁড়িয়ে যেতে প্রস্তুত। এই নতুন বাংলাদেশের চলার পথকে অবরুদ্ধ করার দুঃসাহস দেখাবেন না। এই তরুণ প্রজন্ম মাথা নোয়াবার নয়। আমরা মরতে শিখে গিয়েছি।
এর আগে বুধবার সন্ধ্যার দিকে হাসনাত ও সারজিসের গাড়িবহরের একটি গাড়ি দুর্ঘটনার কবলে পড়ে। ট্রাকের সঙ্গে সংঘর্ষে গাড়িটির সামনের অংশ দুমড়ে-মুচড়ে যায়। তাদের গাড়িবহরে ১২টি মোটরসাইকেল, দুটি কার ও একটি পাজেরো ছিল।
দুর্ঘটনার পর সেই ট্রাকচালককে আটক করতে সক্ষম হয়েছে পুলিশ। আটক ট্রাকচালকের নাম মুজিবর রহমান (৪০)। তার বাড়ি ময়মনসিংহের ত্রিশাল উপজেলার বইলর গ্রামে।
ট্রাকচালককে আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করে চট্টগ্রামের লোহাগাড়া থানার ডিউটি অফিসার এএসআই হানিফ বলেছিলেন, ‘এখন ট্রাকচালক এবং হেলপারকে প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদ করা হচ্ছে।’