চাঁদপুরে মাকে হত্যার পর ছেলে বললেন, আমাকে গুলি করে দেন
চাঁদপুরের ফরিদগঞ্জে ছেলের হাতে এক মা খুন হয়েছেন হয়েছেন বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। মাথায় কাঠ দিয়ে আঘাত করলে কাউছাররা বেগম (৬০) গুরুতর আহত হন। প্রথমে ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ও পরে চাঁদপুর সদর জেনারেল হাসপাতালে নিয়ে গেলে চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষণা করেন।
গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় উপজেলার চরদুঃখিয়া (পূর্ব) ইউনিয়নের সন্তোষপুর কুট্টি ভুইয়া বাড়িতে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত ফয়েজ মানসিক রোগে আক্রান্ত বলে পরিবার সদস্যরা জানিয়েছেন।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, মাওলানা আবু জাফরের স্ত্রী কাউছারা বেগম বাড়ির উঠোনে দাঁড়িয়ে ছিলেন। ওই সময় তাঁর ছেলে মাওলানা ফয়েজ একটি কাঠের টুকরো হাতে নিয়ে মাকে আঘাত করেন। এতে তিনি চিৎকার দিয়ে মাটিতে লুটিয়ে পড়েন।
ফরিদগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কর্মকর্তা ডাক্তার আসাদ উজ জামান জুয়েল বলেন, মাথা থেকে অতিরিক্ত রক্ত ক্ষরণে আহত নারীর মৃত্যু হয়েছে।
প্রত্যক্ষদর্শী ও মৃতের অপর ছেলের স্ত্রী বলেন, ‘আমি ঘরে ছিলাম। বাইরে থেকে একটি আওয়াজ কানে আসে। দ্রুত বের হয়ে দেখি আম্মা মাটিতে পড়ে আছেন। দ্রুত শ্বশুরকে খবর দেই। তিনিসহ দেবরেরা এসে আম্মাকে স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়।’
এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘আমি বাইরে গিয়ে দেখি ফয়েজ এক পাশে দাঁড়িয়ে আছে। আমাকে দেখে তিনি ঘরে ঢুকে ভেতর থেকে দরজা আটকে দেন।’ ফয়েজ প্রায় ১০ বছর যাবত মানসিক রোগে আক্রান্ত। তার চিকিৎসা চলছে বলে জানান তিনি।
খবর পেয়ে ফরিদগঞ্জ থানার উপপরিদর্শক (এসআই) আমজাদ ও এসআই খোকনসহ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটানস্থলে যান। তারা ঘটনার প্রাথমিক তথ্য সংগ্রহ করেন। পুলিশ ফয়েজকে দরজা খুলতে বললে ফয়েজ সহজে দরজা খুলে দেন। ওই সময় তিনি পুলিশকে বলেন, ‘আমাকে গুলি করে দেন।’ পরে পুলিশ তাঁকে আটক করে থানা হেফাজতে নেয়।
এ বিষয়ে ফরিদগঞ্জ থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শাহ্ আলম বলেন, ফয়েজ পুলিশ হেফাজতে আছেন। তদন্ত করে আইনগত প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।