কুমিল্লায় কলেজ ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে যুবককে জেলহাজতে প্রেরণ

নিজস্ব প্রতিবেদকঃ কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজের এক ছাত্রীকে ধর্ষণের অভিযোগে সাইফুল ইসলাম শাকিল নামে এক যুবককে গতকাল মঙ্গলবার দুপুরে জেলহাজতে পাঠিয়েছে কুমিল্লার আদালত। শাকিল জেলার চৌদ্দগ্রাম উপজেলার উজিরপুর গ্রামের আতর ইসলামের ছেলে। পাশের মিয়ার বাজার কলেজ গেইটের সামনে ওই যুবকের আল-আমিন ফ্যাশন হাউজ নামে একটি জামা-কাপড়ের দোকান রয়েছে।

আদালতে দায়ের করা মামলা ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, একই উপজেলার জুপুয়া গ্রামের এক তরুণী মিয়া বাজার ডিগ্রী কলেজে একাদশ শ্রেণিতে পড়াশুনার করার সময় সাইফুল ইসলাম শাকিল নামের ওই যুবকের সঙ্গে তার প্রেমের সম্পর্ক গড়ে উঠে। বর্তমানে ওই তরুণী কুমিল্লা ভিক্টোরিয়া সরকারি কলেজে অনার্স তৃতীয় বর্ষ সমাজ বিজ্ঞান বিভাগের ছাত্রী। চলতি বছরের ২৪জানুয়ারী ওই কলেজ ছাত্রীকে ডেকে নিয়ে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে জোরপুর্বক নিজ দোকানের পেছনে ধর্ষণ করে লম্পট শাকিল।

ধর্ষিত ওই কলেজ ছাত্রী জানায়, এই ঘটনার পর আমি তাকে বিয়ের জন্য বললে সে আমাকে বিভিন্ন ধরণের হুমকি দিতে শুরু করে। এরপর বিষয়টি জানাজানি হলে একটি প্রভাবশালী চক্র ঘটনাটি সমাধানের নামে আমাদের হয়রানি করতে থাকে। সর্বশেষ এ ঘটনায় আমি নিজেই বাদী হয়ে লম্পট শাকিলকে আসামী করে কুমিল্লার আদালতে একটি ধর্ষণের মামলা দায়ের করি।

মামলায় বাদী পক্ষের আইনজীবি অ্যাডভোকেট মোহাম্মদ জাকির হোসেন বলেন, আদালত মামলাটি আমলে নিয়ে চৌদ্দগ্রাম থানা পুলিশকে ঘটনাটি তদন্তের নির্দেশনা প্রদান করেন। কিন্তু থানা পুলিশ যথাযথ তদন্ত না করে উল্টো আসামীর সঙ্গে আতাঁত করে আদালতে মনগড়া একটি মিথ্যা প্রতিবেদন দাখিল করেন। এছাড়া থানা পুলিশ মামলার বাদীকেও হয়রানি করে। গত ১০ মে আদালতে আমরা পুলিশের দেওয়া ওই মিথ্যা প্রতিবেদনের বিরুদ্ধে নারাজি আবেদন করি। পরে আদালত আমাদের আবেদন গ্রহন করে আসামীর নামে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করে। এরপর আসামী সাইফুল ইসলাম শাকিল উচ্চ আদালত থেকে জামিনে আসে। সর্বশেষ আজ (গতকাল মঙ্গলবার) উচ্চ আদালতের দেওয়া জামিনের মেয়াদ হলে সে কুমিল্লার নারী ও শিশু আদালতে হাজির হয়ে ফের জামিনের আবেদন করে। কিন্তু আদালত তার জামিন আবেদন না মঞ্জুর করে তাকে জেলহাজতে প্রেরণের নির্দেশনা প্রদান করেন।

আরো পড়ুন