ব্রাহ্মণপাড়ায় অন্তসত্তা গৃহবধু শিউলি হত্যায় ৮জনকে অভিযোক্ত করে থানায় মামলা
আশিকুর রহমানঃ কুমিল্লার ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার টাকই গ্রামের বড় বাড়ীর ফিরোজ মিয়ার ছেলে আবু সাইদ মিয়ার স্ত্রী অন্তসত্তা শিউলি আক্তারকে হত্যার অভিযোগে স্বামীসহ ৮ জনকে অভিযোক্ত করে থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেছে নিহত শিউলির ভাই। ব্রাহ্মণপাড়া থানার মামলা নং- ১৯, তারিখ ১৮/০৭/২০১৮ইং। অভিযোক্ত আসামীরা হলেন ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার টাকই গ্রামের বড় বাড়ীর ফিরোজ মিয়ার ছেলে সাদ্দাম হোসেন (২৯), একই বাড়ীর মাঞ্জু মিয়ার ছেলে ফিরোজ মিয়া (৫০), ফিরোজ মিয়ার ছেলে ছালাহ উদ্দিন (২৬), আলাউদ্দিন (২৪), আবু সাইদ (৩২), মাঈন উদ্দিন (২০), ফিরোজ মিয়ার স্ত্রী রাবেয়া খাতুন (৪৭) মেয়ে সোহাগী আক্তার (২২) সহ আরো অজ্ঞাতনামা ৪/৫ জন। ঘটনার পর থেকেই শ^শুর বাড়ীর লোকজন পালাতক। শিউলি অক্তার বুড়িচং উপজেলার পূর্ণমতি গ্রামের নোয়াপাড়া (মসজিদ গেইট) এলাকার মৃত রেহান উদ্দিনের মেয়ে এবং ব্রাহ্মণপাড়া উপজেলার টাকই গ্রামের বড় বাড়ীর ফিরোজ মিয়ার ছেলে আবু সাইদ মিয়ার স্ত্রী। বৈবাহিক জীবনে শিউলি আক্তারের মেয়ে সামিয়া আক্তার (৮) এবং ছেলে শরিফুল ইসলাম (৫) নামের দুই সন্তানের জননী এবং বর্তমানে সে ৪ মাসের অন্তসত্তা ছিল।
মামলার এজাহার সূত্রে জানা যায়, জমি নিয়ে বিরোধের কারণে আসামীগণ ঘটনার দিন গত ১৬ জুলাই সোমবার দিবাগদ রাত আনু মানিক ১২ টার সময় অতর্কিত আক্রমন চালাইয়া মারধর করে সমস্ত শরীরে আঘাত করে গলায় ও নাকে মুখে শ^াসরোদ্ধ করিয়া সহ বিভিন্ন কৌশলে শিউলি আক্তারকে হত্যা করে। এছাড়াও আসামীগণ খুনের বিষয়টি ধামা চাপা দেওয়ার জন্য গলায় উড়না পেচিয়ে আতœহত্যা করেছে বলে অপ প্রচার চালায়। নিহত শিউলি আক্তারের ভাই ফারুক আলম জানান, বোনের মৃত্যুর খবর শুনে আমিসহ পরিবারের লোকজন তার স্বামীর বাড়ীতে ছুটে যাই এবং সেখানে গিয়ে আমার বোনের লাশ বিছানায় শোয়ানো অবস্থায় দেখতে পাই।
অপর দিকে তদন্তকারী অফিসার এস আই বাবুল আহাম্মেদ জানান, আমরা খবর পেয়ে নিহত শিউলি আক্তারের শ^শুর বাড়ীতে উপস্থিত হই এবং আমরা দেখতে পাই শিউলি আক্তারকে মৃত অবস্থায় বসত ঘরের খাটে উপর রাখ হয়েছে। এ অবস্থায় আমরা স্থানীয় লোকজনের উপস্থিতিতে তার শোরত হাল রিপোর্ট তৈরী করে শিউলির লাশ ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ (কুমেক) হাসপালে প্রেরণ করি। এই ব্যাপারে নিহত শিউলির বড় ভাই জাহাঙ্গীর আলম বাদী হয়ে গত বৃহস্পতিবার সন্ধ্যায় ৮ জনকে এজাহার নামীয় আসামী এবং অজ্ঞাত আরো ৪/৫ জনকে আসামী করে ব্রাহ্মণপাড়া থানায় একটি হত্যা মামলা দায়ের করেন।