কালিরবাজারে জম্মাষ্টমীর বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা
নিজস্ব প্রতিবেদকঃ যথাযথ ধর্মীয় ভাবগাম্ভীর্যপূর্ণ বর্ণাঢ্য আনুষ্ঠানিকতার মধ্য দিয়ে কুমিল্লা আদর্শ সদর উপজেলার কালির বাজার ইউনিয়নের হিন্দু সম্প্রদায়ের লোকজন পরমেশ্বর ভগবান শ্রী কৃষ্ণের জম্মাষ্টমী মহোৎসব-২০১৮ উদযাপন করেছে। হিন্দু ধর্মালম্বীদের উপাস্য দেবতা ভগবান শ্রী কৃঞ্চের আর্বিভাব দিবস শুভ জন্মাষ্টমী। শ্রী কৃঞ্চের জন্মদিন উপলক্ষে রবিবার সনাতন ধর্মাবলম্বীদের মিলনমেলা বসে কালিরবাজার ইউনিয়নের কমলাপুর শ্রী শ্রী সত্য নারায়ন সেবা মন্দির প্রাঙ্গনে। পরে বর্ণাঢ্য শোভা যাত্রা মন্দির প্রাঙ্গনে থেকে শুরু হয়ে ইজিবাইক ও মটর সাইকেল বহর নিয়ে পুরো এলাকা প্রদক্ষিন করে। সনাতন ধর্মীবলম্বী বিভিন্ন বয়সী নারী, পুরুষ নেচে গেয়ে যোগ দেন শোভাযাত্রায়।
রবিবার সকাল ৯ টায় কমলাপুর শ্রী শ্রী সত্য নারায়ন সেবা মন্দির প্রাঙ্গনে শোভা যাত্রা ও র্যালীর পূর্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। মন্দির কমিটির সভাপতি বাবু হরেন্দ্র সূত্রধরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন কালিরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.সেকান্দর আলী, বিশেষ অতিথি ছিলেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক হাজী আবদুল হালিম, ইউপি মেম্বার আবুল হোসেন,সাংবাদিক এম.এইচ মনির। মন্দির কমিটির সদস্য ডা.রুপক রায় এর পরিচালনায় অন্যান্যাদের মাঝে বক্তব্য রাখেন ইউনিয়ন পূজা উদযাপন কমিটির সভাপতি ডাঃ পরিমল চন্দ্র রায়,সাধারণ সম্পাদক বাবু আশুতোষ মাষ্টার প্রমূখ। পরে প্রধান অতিথি ছিলেন কালিরবাজার ইউপি চেয়ারম্যান আলহাজ্ব মো.সেকান্দর আলীর উদ্যেগে জম্মাষ্টমী মহোৎসব উপলক্ষে বস্ত্র বিতরণ করা হয়।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন,শ্রী কৃষ্ণ দুষ্টের দমন ও সৃষ্টের পালন এ নীতিতে বিশ্বাসী ছিলেন। শ্রীকৃষ্ণের শিক্ষা আমাদের সুন্দর সমাজ গড়ার অনুপ্রেরণা যোগায়। এ থেকে আমাদের শিক্ষা নিতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আবহমানকাল থেকে এ দেশে সব ধর্মের অনুসারীরা পারস্পরিক সম্প্রীতি ও সৌহার্দ্য বজায় রেখে নিজ নিজ ধর্ম পালন করে আসছেন। সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি তাই বাংলাদেশের মহান ঐতিহ্য। সম্মিলিত প্রচেষ্টায় এই ঐতিহ্য অব্যাহত রেখে পারস্পরিক সৌহার্দ্য ও সম্প্রীতি অটুট রাখতে হবে।সাম্প্রদায়িক সম্প্রতি এক উজ্জল দৃষ্টান্ত আমাদের কালির বাজার ইউনিয়ন। জম্মাষ্টমীর শিক্ষা নিয়ে সুখে-দুঃখে, আনন্দ-উৎসবে সবাই মিলে সমাজে ঐক্যতান বজায় রাখতে হবে। বাংলাদেশ সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতির দেশ। আমাদের মুক্তিযুদ্ধের মূলমন্ত্র ছিল সব ধর্মের সব মানুষের সমান অধিকার। হিন্দু, মুসলিম, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান-সব ধর্মের মানুষ কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে মুক্তিযুদ্ধ করেছে। এদেশে সাম্প্রদায়িক সম্প্রীতি ছিল, আছে এবং চিরদিন থাকবে। সাম্প্রতিক সম্প্রীতি অটুট রাখনে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে মুক্তিযুদ্ধের সপক্ষের শক্তিকে ঐক্যবদ্ধ হয়ে নৌকা প্রতীকে ভোট দেওয়ার আহবান জানান।