চালু হচ্ছে না কুমিল্লা বিমানবন্দর !
ডেস্ক রিপোর্টঃ দেশের পাঁচটি বিমানবন্দর দীর্ঘদিন ধরে পরিত্যক্ত অবস্থায় রয়েছে বলে জানিয়েছেন বেসামরিক বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী এ কে এম শাহজাহান কামাল। মঙ্গলবার জাতীয় সংসদ অধিবেশনে মো. নূরুল ইসলাম ওমরের তারকা চিহ্নিত প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী এ তথ্য জানান।
মন্ত্রীর দেয়া তথ্যানুযায়ী পরিত্যক্ত বিমানবন্দরগুলো হচ্ছে, ঈশ্বরদী বিমানবন্দর, ঠাকুরগাঁও বিমানবন্দর, শমসের নগর বিমানবন্দর, লালমনিরহাট বিমানবন্দর ও কুমিল্লা বিমানবন্দর। মন্ত্রী জানান, এই বিমানবন্দরগুলোর মধ্যে ঈশ্বরদী, ঠাকুরগাঁও ও শমসের নগর বিমানবন্দর চালু করার পরিকল্পনা আছে সরকারের। তবে, বিমানবন্দরগুলো চালুর বিষয়টি এখনো প্রাথমিক পর্যায়ে রয়েছে।
সংরক্ষিত মহিলা আসনের সদস্য সানজিদা খানমের প্রশ্নের জবাবে বেসরকাররি বিমান পরিবহন ও পর্যটনমন্ত্রী সংসদকে জানান, চাহিদার আলোকে বিমানের রুট সম্প্রসারণের জন্য বিমানবহরে নতুন প্রজন্মের চারটি বোয়িং-৭৮৭ উড়োজাহাজ কেনার জন্য বোয়িং কোম্পানির সঙ্গে চুক্তি হয়েছে।
এ চুক্তি অনুযায়ী গতমাসে একটি বোয়িং ড্রিমলাইনার বিমানবহরে যুক্ত হয়েছে, আগামী নভেম্বরে আরও একটি বোয়িং-৭৮৭ যুক্ত হবে। বাকি দুইটি বোয়িং যুক্ত হবে ২০১৯ সালে। এছাড়া চলতি সেপ্টেম্বর মাসে একটি ড্যাশ-৮ উড়োজাহাজ রাষ্ট্রীয় বিমান সংস্থায় যোগ হবে। এই ধরণের আরও দুটি উড়োজাহাজ ২০২০ সালে বিমানবহরে যুক্ত হবে।
এম আবদুল লতিফের প্রশ্নের জবাবে বিমানমন্ত্রী জানান, দেশের পর্যটন শিল্পের পরিকল্পিত উন্নয়নের লক্ষ্যে পর্যটন নীতিমালা-২০১০ প্রণয়ন করা হয়েছে। এই নীতিমালায় সমুদ্র সৈকত ও প্রাকৃতিক পর্যটন, সুন্দরবন ও দেশের বিভিন্ন স্থানে টেকসই ইকোট্যুরিজম, প্রত্নতাত্ত্বিক ও ঐতিহাসিন পর্যটন, নৌ-পর্যটন ও গ্রামীণ পর্যটন, ধর্মীয় পর্যটন, সাংসস্কৃতিক পর্যটন ছাড়াও যুব পর্যটন, ক্রীড়া পর্যটন, কমিউনিটি পর্যটন ইত্যাদি উন্নয়নের রূপরেখা দেয়া আছে নীতিমালায়।
মন্ত্রী বলেন, পর্যটন শিল্পের উন্নয়নের জন্য সরকার ২০১০ সালে বাংলাদেশ পর্যটন সংরক্ষিত এলাকা ও বিশেষ পর্যটন অঞ্চল আইন প্রণয়ন করে এবং ২০১১ সালে উক্ত আইনের ক্ষমতা বলে বিধিমালা প্রণয়ন করে। এর বাইরে পর্যটন শিল্পের প্রচার ও প্রসারের লক্ষে ২০১০ সালে বাংলাদেশ ট্যুরিজম বোর্ড গঠন করেছে সরকার।