কুমিল্লায় শ্বশুড়-পুত্র বধুর নিষিদ্ধ প্রেম, শ্বাশুড়ি খুন

মারুফ আহমেদঃ কুমিল্লার মুরাদনগরের বাঙ্গরার রোয়াচালা গ্রামে স্বামী-পুত্র বধুর নিষিদ্ধ প্রেম কাল হলো মমতাজ বেগমের। স্বামী ও পুত্রবধু অমানবিক নির্যাতন শেষে হত্যা করে দাফনের চেষ্টাকালে স্থানীয়দের দেওয়াগোপন তথ্যের ভিত্তিতে বাঙ্গরা থানা পুলিশের এসআই নুরুল আলম সঙ্গিয় ফোর্সসহ লাশ উদ্ধার করে মর্গে পাঠালে বের হয়ে আসে হত্যা রহস্য। এঘটনায় অভিযুক্ত দু’জনকে আটক করেছে পুলিশ। গত ৮ অক্টোবর রাতে এই পৈশাচিক হত্যাকান্ডের ঘটনাটি ঘটে।
স্থানীয় ও পুলিশ সুত্র জানায়, জেলার মুরাদনগর উপজেলার বাঙ্গরা থানার রোয়াচালা গ্রামের শুকুর মিয়া (৪৫) । তার ছেলে আওয়াল। জীবিকার তাগিদে আওয়াল একসময় পাড়ি দেয় দ্বীপ রাষ্ট মালদ্বীপে। এসুযোগে শ্বশুড় শুক্কুর মিয়া তার পুত্র বধূ পাপিয়া বেগমের সাথে অনৈতিক সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। বিষয়টি টের পেয়ে শ্বাশুড়ি মমতাজ প্রতিবাদ করলে শুরু হয় নির্যাতন। এরই এক পর্যায়ে গত ৮ অক্টোবর রাতে শুক্কুর মিয়া প্রেমিকা পুত্র বধু পাপিয়ার সহযোগীতায় অমানবিক নির্যাতন করে মমতাজ বেগমকে হত্যা করে। পরদিন ৯ সেপ্টেম্বর সকালে দাফনের প্রস্তুতি নিলে প্রতিবেশীদের সন্দেহ হয়। এক সময়ে বিষয়টি থানা পুলিশ জেনে ঘটনাস্থলে এসে লাশের সুরুতহাল শেষে পাঠায় ময়না তদন্তের জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে।
ভাঙ্গরা থানার এসআই নুরুল আলম জানান, ওইদিনই নিহতের ভাই তোফাজ্জল বাদী হয়ে মামলা করে। পরবর্তীতে ১০ অক্টোবর পুলিশ স্বামী শুক্কুর ও পুত্রবধু পাপিয়াকে আটকে গতকাল বৃহস্পতিবার আদালতে পাঠালে দু’জনই নির্যাতন করে মমতাজ বেগমকে হত্যার কথা স্বীকার করে। পরে বিজ্ঞ বিচারক তাদের জেল হাজতে পাঠিয়ে দেয়।