কুমিল্লায় অবৈধ দখল নিয়ে হার্ডলাইনে কুসিক মেয়র সাক্কু
ডেস্ক রিপোর্টঃ কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকায় অবৈধ দখল উচ্ছেদাভিযান শুরুর ঘোষণা দিয়েছেন মেয়র মনিরুল হক সাক্কু। জেলা প্রশাসন ও পুলিশ প্রশাসনের সহযোগিতায় নগরীর গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এলাকার রাস্তাঘাট, ফুটপাত যারা দখল করে রেখেছে এ অভিযানের মধ্যদিয়ে তা উদ্ধার করে নগর সৌন্দর্য ও নাগরিক সুবিধা নিশ্চিত করবেন। বুধবার বেলা ১২টায় নগর ভবনের কনফারেন্স রুমে ভিটামিন এ প্লাস ক্যাপসুল ক্যাম্পেইন কর্মসূচি বাস্তবায়ন সংক্রান্ত সংবাদ সম্মেলনে এ ঘোষণা দেন। সংবাদ সম্মেলনে সিটি কর্পোরেশনের প্রধান নির্বাহী অনুপম বড়ুয়া, সচিব শামছুল আলম, সিভিল সার্জন কার্যালয়ের মেডিকেল অফিসার ডা. সৌমেন রায় উপস্থিত ছিলেন।
মেয়র সাক্কু বলেন, কোন অবস্থাতেই মানুষের চলাচলের দুর্ভোগ সৃষ্টি করে ফুটপাত দখল করা যাবে না। যারা রাস্তাঘাট, ফুটপাত দখল করে রেখেছে তাদেরকে আগামী সোমবারের মধ্যে সকল অবৈধ স্থাপনা সরিয়ে নেয়ার জন্য নির্দেশ দেয়া হবে। এসময়ের মধ্যে না সরালে পরদিন মঙ্গলবার থেকে নগরীতে উচ্ছেদাভিযান শুরু হবে। জাতীয় নির্বাচনসহ উন্নয়ন কাজের কারণে এতদিন চুপ ছিলাম। পরিচ্ছন্ন নগরী গড়তে এখন আর চুপ নয়, কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে। এবারে কোন অজুহাত বা প্রভাব কাজে আসবে না। কোন রকমের সুপারিশ, অনুরোধ মানা হবে না। সিটি কর্পোরেশনের একাজে আমি একা নই। আমার সাথে কুমিল্লা-৬ আসনের এমপি সাহেব, জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপারসহ নাগরিক সমাজের প্রতিনিধি ও সাংবাদিকরা রয়েছেন। মেয়র সাক্কু বলেন, ফুটপাতগুলোকে মানুষের হাঁটাচলার উপযোগী করে গড়ে তোলা হচ্ছে। কিন্তু বিভিন্ন লোকজন এগুলো দখলে নিয়ে ব্যবসা করছে। মানুষের চলতে ফিরতে সমস্যা হচ্ছে। আগামী মঙ্গলবার থেকে উচ্ছেদাভিযানের প্রথম ধাপ শুরু হবে। পরের ধাপে নগরী যানজট মুক্ত এবং নকশা বহির্ভূত ও ঝুঁকিপূর্ণ ভবনের বিরুদ্ধে অভিযান শুরু হবে।
এদিকে নির্ধারিত বিষয়ের সংবাদ সম্মেলনে মেয়র মনিরুল হক সাক্কু বলেন, ভিটামিন ‘এ’ ক্যাপসুল নিয়ে মানুষের মাঝে আতঙ্ক ও বিভ্রান্ত সৃষ্টির কোন সুযোগ নেই। আগামী ৯ ফেব্রুয়ারি সকাল ৮টা থেকে বিকেল ৪টা পর্যন্ত কুমিল্লা সিটি কর্পোরেশন এলাকার ১৫৬টি কেন্দ্রে ৩১২জন স্বেচ্ছাসেবক এবং ৫৪জন সুপারভাইজার ৬৭ হাজার শিশুকে লাল ও নীল রংয়ের ভিটামিন এ ক্যাপসুল খাওয়াবে। সিটি কর্পোরেশন কর্তৃপক্ষ এ কার্যক্রম তদারকি করবে।
সূত্রঃ ইনকিলাব