কুমিল্লা তিতাসে ভাবীকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছে দেবর
মোঃ জুয়েল রানাঃ কুমিল্লা তিতাস উপজেলার বলরামপুর ইউনিয়নের দূর্গাপুর গ্রামে জায়গা জমির ঘটনাকে কেন্দ্র করে তাসলিমা আক্তার (৩৫) নামে এক গৃহবধূকে হত্যার উদ্দেশ্যে কুপিয়েছ তারই দেবর মোঃ জামাল মিয়া ও দেবরের স্ত্রী পিংকি আক্তার।
আহত তাসলিমা আক্তার মূমুর্ষ অবস্থায় তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এঘটনায় তিতাস থানায় দেবর ও দেবরের স্ত্রীরসহ তিন জনের নাম উল্লেখ করে আহতের স্বামী মোঃ শাহ আলম (৪৫) বাদী হয়ে একটি লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন।
প্রত্যক্ষদর্শী ও অভিযোগ সুত্রে জানা যায়, শনিবার (৪ মে) সকালে দূর্গাপুর গ্রামের মৃত আঃ খালেকের ছেলে মোঃ জামাল মিয়া (৩৫) ও তার স্ত্রী পিংকি (২৫) জায়গা জমির কোন্দলের জের ধরে তার আপন বড় ভাই মোঃ শাহ আলমের স্ত্রী তাসলিমা আক্তারকে রামদা ও হাতুরি দিয়ে ডান হাতে, দুই পায়ের হাটুর নিচে কোপিয়ে ও শরীরের বিভিন্ন স্থানে পিঠিয়ে গুরুত্বর রক্তাক্ত জখম করে। তাসলিমার আক্তারের শুর চিৎকারে শুনে প্রতিবেশীরা আসে এবং ঘটনাস্থল থেকে গুরুত্বর আহত অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করে।
এছাড়াও আরো জানা যায়, ভিকটিম তাসলিমা আক্তার ও তার স্বামী শাহ আলমের সাথে জায়গা সম্পত্তি নিয়ে পূর্ব শত্রুতা রয়েছে আসামী জামালের। আজ থেকে ৪/৫ মাস আগে ভিকটিমের সাথে জমি নিয়ে ঝগড়াঝাটি ও কথাকাটি হয় উভয়ের মধ্যে এবং তখন জামাল তাসলিমাকে আঘাত করে এবং তখন তাসলিমার হাতে থাকা গরম পানি জামালের উপর ছুরে মারে তাসলিমা। গরম পানিতে জামালের শরীরের বিভিন্ন অংশ সামান্য ঝলসে যায়।
তারই প্রতিশোধ নেয়ার জন্য প্রায় ২ মাস পর তাসলিমাকে একা পেয়ে অকথ্য ভাষায় গালাগালি শুরু করে। ভিকটিম তার প্রতিবাদ করলে জামাল মিয়া, রিপন মিয়া, জামালের স্ত্রী পিংকি আক্তারসহ আরও কয়কজন তাকে লাঠিসোটা রামদা দিয়ে কুপিয়ে ও আঘাত করে হত্যার উদ্দেশ্যে। ভিকটিমের অবস্থা গুরুতর দেখে জামাল পালিয়ে যায়।
এব্যাপারে অভিযুক্ত জামাল মিয়ার সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এঘটনায় তিতাস থানার এস আই আঃ রহমান (মামলার তদন্ত কর্মকর্তা) বলেন অভিযোগ পেয়েছি এবং শীঘ্রই ব্যবস্থা নেয়া হবে।