চান্দিনা-বরুড়ার দুই গ্রামের সংঘর্ষ, ভাংচুর, লুটপাট
ডেস্ক রিপোর্টঃ তুচ্ছ ঘটনা কে কেন্দ্র করে চান্দিনার রামমোহন বাজারে প্রায় ১০০ দোকানে ভাংচুর করা হয়। লুটপাট প্রায় ১০ লক্ষ টাকা ক্ষতি হয়েছে বলে জানা যায়।
শনিবার(২৫ মে) চান্দিনা উপজেলার পানিপাড়া ও বরুড়া উপজেলার গোপালনগর গ্রামের সংঘর্ষে দুই এলাকার মিলনস্থল রামমোহন বাজারে ব্যাপক ভাঙ্গচুরসহ সংঘর্ষ ঘটে।
এ সংঘর্ষে রামমোহন বাজারের প্রায় ১০০ দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়েছে বলে জানা যায়। স্থানীয়রা জানান, রয়েল শপ থেকে ল্যাপটপ, মনিটর, ডিএসএলার ক্যামেরা, নগদ টাকা, দোকানের ট্যাব ও মালামাল লোপাট করে দূষ্কৃতিকারীরা। এছাড়াও ইউনুস সরকার, জাহানারা ফার্মেসী, আব্দুল্লাহ ফার্মেসীসহ বেশ কয়েকটি বড় বড় দোকানে হামলা ও ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটেছে।
স্থানীয় কয়েকজন ব্যাবসায়ী জানান,বেশ কিছুদিন আগে বরুড়া থানার গোপালনগর এলাকার এক ছেলেকে রামমোহন বাজারের পানিপাড়া অংশে আসলে তাকে মারধর করে। মূলত তার প্রতিশোধ নিতে পানি পাড়ার ঐ ব্যাক্তি শনিবার বাজারের বরুড়া অংশে গেলে তাকে সেখানে মারধর করে। এটাকে কেন্দ্র করে বাজারের এই ভাঙ্গচুরের ঘটনা ঘটে। দুই এলাকা থেকে দুইজনের নেতৃত্বে এই ভাঙ্গচুরসহ মারামারির ঘটনা ঘটে বলে তারা জানান।
এ ঘটনায় বরুড়া উপজেলার ৩ নং উঃ খোশবাস ইউনিয়নের গোপালনগর গ্রামের ইউ পি সদস্য অহিদ মেম্বারকে কুপিয়ে মারাত্বকভাবে জখমসহ আহত হয়েছে আরো ৫ জন। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে আনতে রাবার বুলেট নিক্ষেপ করে পুলিশ।
এ বিষয়ে ৩ নং উঃ খোশবাস ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নাজমুল হাসান সরদার জানান,”মাইজখাল ইউনিয়নের ইউ পি মেম্বার দিদারের নেতৃত্বে এ প্রথমে মারামারি ও ভাংচুরের ঘটনা ঘটে। এ ঘটনায় আমার ওয়ার্ড মেম্বার অহিদ মেম্বারসহ তারা তিন ভাই মারাত্বক আহত হয়েছে।
আহতরা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছে।”
বরুড়া থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আজম উদ্দিন মাহমুদ ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে বলেন, এ ব্যাপারে অভিযোগ পেলে মামলা নেব। আমরা এখনো অভিযোগ পাই নি।