লাকসাম রেলওয়ে জংশন রোদ-বৃষ্টিতে নষ্ট হচ্ছে রেলের ওয়াগন
ডেস্ক রিপোর্টঃ খোলা আকাশের নিচে থেকে নষ্ট হচ্ছে মালবাহী ট্রেনের ওয়াগন। লাকসাম রেলওয়ে জংশন উত্তর-পূর্ব ও দক্ষিণ অংশে বিশাল জায়গাজুড়ে ফেলে রাখা হয়েছে জাতীয় এ সম্পদ। বছরের পর বছর ওয়াগনগুলো পড়ে থাকলেও যেন দেখার কেউ নেই। রোদ-বৃষ্টিতে মরিচা ধরে এগুলো যেমন ধ্বংস হতে বসেছে, তেমনি সীমানা প্রাচীর না থাকায় প্রায় রাতেই চুরি ও খোয়া যাচ্ছে রেলের সম্পদ।
যে জায়গায় ওয়াগানগুলো রাখা হয়েছে সে স্থানটি দীর্ঘদিন ধরে পরিষ্কার করা হয়নি। ফলে ওই অংশটিতে আগাছা জন্মে ঝোপঝাড়ে রূপ নিয়েছে। এতে যেমন রেলওয়ের কোটি কোটি টাকার সম্পদ নষ্ট হচ্ছে তেমননি পড়ে থাকা এসব ওয়াগন বগির ভিতরে চলছে মাদকসেবনসহ অসামাজিক কার্যক্রম।
সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, রেলের ব্যবহারের অনুপযোগী যেসব ওয়াগন রয়েছে তা একটি স্থানে রেখে সময় বুঝে নিলামে বিক্রি করে দেওয়া হয়। দীর্ঘদিন এগুলো পড়ে থাকলে তা ক্ষয় হতে থাকে এবং মূল্য কমতে থাকে। পড়ে থাকা ওয়াগনগুলো দরপত্রের মাধ্যমে বিক্রি করে দেওয়ার কথা থাকলেও- তা কবে নাগাদ হবে জানা নেই কারও।
সরজমিনে দেখা যায়, লাকসাম রেলওয়ে জংশন পূর্ব দিকে ঘন জঙ্গলে আচ্ছাদিত ১৪টি বগিগুলোর বেশির ভাগেই মরিচা ধরেছে। আবার ভেঙে পড়ার উপক্রম হয়েছে কোনোটি। অনেক আগেই নষ্ট হয়ে গেছে মূল্যবান সব যন্ত্রাংশ। চুরি যাচ্ছে দরজা-জানালাসহ বিভিন্ন অংশ। এগুলোকে কেন্দ্র করে বসছে অসামাজিক কার্যকলাপ, ছিনতাইকারী ও মাদক কারবারিদের আড্ডা।
লাকসাম রেলওয়ে জংশন ষ্টেশন মাষ্টার কামরুল হাসান তালুকদার জানান, পরিত্যক্ত এ সব ওয়াগনসহ রেলের যন্ত্রপাতির দেখাশুনার দায়িত্ব প্রধান ট্রেন পরীক্ষক ও প্রকৌশল বিভাগের। এ ব্যাপারে আমার কিছু বলার নেই।
লাকসাম উদ্ধতন উপসহকারী প্রকৌশলী প্রধান রেলযান পরীক্ষক মোঃ হাসিম উদ্দিন বলেন, ১৪টি মধ্যে ৮টি কনডেম হয়েছে বাকী ৬টি কনডমে হওয়ার পক্রিয়া আছে। সবগুলো হয়ে গেলে ‘দরপত্রের মাধ্যমে এ সব বিক্রি করা হবে তবে কবে নাগাদ তা বলতে পারছি না।