হঠাৎ গ্রামের পথে পরিকল্পনা মন্ত্রী লোটাস কামাল

ডেইলিকুমিল্লানিউজ ডেস্কঃ ১৯৯৪ সালে অধ্যক্ষ আবুল কালাম মজুমদার সাহেবের ইন্তেকালের পর কুমিল্লা-৯নির্বাচনী এলাকায় ভোটের রাজনীতিতে এলেন আ হ ম মুস্তফা কামাল। যিনি দেশের মানুষের কাছে লোটাস কামাল নামে সম্যক পরিচিত। তবে এখানে উল্লেখ্য ছাত্র জীবন থেকে তিনি রাজনীতির সাথে সরাসরি সম্পৃক্ত ছিলেন।
১৯৯৪ সালে ভোটের রাজনীততে এসে তিনি পুরো নির্বাচনী এলাকায় সকল দেয়ালে দেয়ালে লিখে দিলেন জনগণকে আকর্ষণ অনুপ্রাণিত করার মত এমন সব কথা যেমন ‘সত্য কথা বলেও রাজনীতি করা যায়’। পিতা-মাতার সর্বোচ্চ দায়িত্ব তাদের সন্তানদের কে শিক্ষায় শিক্ষিত করা। জন্ম থেকে মৃত্যু পর্যন্ত একজন মানুষের জীবনে যাবতীয় ভাল কাজই হচ্ছে রাজনীতি। রাজনীতি হচ্ছে মানুষকে ভালবাসা, মানুষের কল্যাণে কাজ করে মহান আল্লাহর নৈকট্য লাভ করা।
পুরুষ এবং মহিলা সকল মানুষের জন্য বিদ্যা শিক্ষা অপরিহার্য। এমনিভাবে আরো অনেক অনেক অনুকরণীয় বিষয়াদির উপর দেয়াল লিখা হয়। তিনি এলাকায় এসে ঠিক করলেন এলাকার সকল গ্রাম ও সকল মানুষের বাড়িতে যাবেন। তাদের সাথে মত বিনিময় করবেন। সে সময় গ্রামীণ অবকাঠামো তত শক্তিশালী ছিল না। তাই তিনি বেছে নিলেন মটর সাইকেল। এরপর অনেক লম্বা সময় পার হয়ে গেল। তিনি বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডের সভাপতি হলেন। ইন্টারন্যাশনাল ক্রিকেট কাউন্সিলের সভাপতি হলেন। দেশের পরিকল্পনা মন্ত্রী হলেন।
এর মাঝে তার রাজনীতি যুক্ত হল এলাকার মা-বোনদেরকে টার্গেট করে গ্রামে গ্রামে উঠোন বৈঠক যাহা এখনও অব্যাহত আছে। এবারও তিনি তার পুরোনো ধারায় আবার ফিরে এলেন। এখন গ্রামীণ অবকাঠামো অনেক শক্তিশালী। তারপরে সময় সময় তিনি তার নির্বাচনী এলাকার সকল গ্রাম ঘুরে ঘুরে খোঁজ খবর নেন। যেহেতু তিনি একজন সরকারের মাননীয় মন্ত্রী, সরকারী কাজে তাকে ব্যস্ত থাকতে হয়। তাই যতটুকু সম্ভব কম সময়ে এলাকায় প্রত্যেক গ্রাম যেতে হলে মটর সাইকেল একমাত্র বাহন।
তিনি গ্রামে যাবেন গ্রামের মানুষের সাথে মত বিনিময় করবেন। এই সরকারের সময় এলাকার জন্য গৃহিত সকল কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করবেন। তাই আবারো মটর সাইকেলে গ্রাম থেকে গ্রামান্তরে পদক্ষিণ করবেন। সরকারের একজন মন্ত্রী হয়েও মটর সাইকেলে গ্রামে গ্রামে ঘুরায় এলাকার মানুষের মাঝে দারুন সারা জাগিয়েছে। এতদিন তারা তাদের প্রিয় মানুষকে টেলিভিশনের পর্দায় দেখতেন। এখন তারা তাকে সামনা সামনি দেখতে পেয়ে আবেগাপ্লুত। যুব সমাজ দারুন ভাবে উজ্জবিত।