দেবীদ্বার উপজেলা প্রণীসম্পদ কার্যালয় ও মেডিকেল সেন্টারে চুরি
এ আর আহমেদ হোসাইনঃ দেবীদ্বার উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ে গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে আলমিরা ভাংচুর ও আসবাব সামগ্রী তছনছ করার অভিযোগ পাওয়া গেছে।
ঘটনাটি ঘটে মঙ্গলবার দিবাগত রাতে। সকালে অফিস কর্মচারিরা অফিস কক্ষের তালা খুলে ভেতরের আসবাব সামগ্রী তছনছ ও দু’টি ষ্টিল আলমিরার লকার ভাঙ্গা এবং ল্যাটপ, কম্পিউটার, প্রিন্টার এলোমেলোভাবে মেঝেতে দেখতে পান। ওই ঘটনার সংবাদ পেয়ে দেবীদ্বার থানা পুলিশ এবং জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। তবে চিকিৎসায় ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি সহ কোন সামগ্রী চুরি হয়েছে কিনা তা সংশ্লিষ্টরা কেউ বলতে পারছেন না।
অফিস সহকারী জাহাঙ্গীর আলম জানান, উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা বদলী জনিত কারনে উক্ত কার্যালয়ে কর্মরত ডাঃ কর্নচন্দ্র মল্লিক ভারপ্রাপ্ত উপজেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা হিসাবে দায়িত্ব পালন করছেন। তিনিও প্রশিক্ষণ জনিত কারনে কর্মস্থলে নেই। উনি আসলেই বলা যাবে অফিস থেকে কি কি চুরি হতে পারে।
কুমিল্লা জেলা প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোঃ নজরুল ইসলাম বলেন, অজ্ঞাত এক বা একাধিক দূষ্কৃতিকারী চুরির উদ্দেশ্যে দু’টি কক্ষের পেছনের দু’টি জানালার গ্রীল ভেঙ্গে ভেতরে প্রবেশ করে। দুষ্কৃতিকারীরা দু’টি কক্ষের দু’টি আলমিরার লকার ভেঙ্গে কাগজপত্র তছনছ, কম্পিউটার, ল্যাপটপ, প্রিন্টার সহ অন্যান্য সামগ্রী এলোমেলোভাবে মেঝেতে ফেলে রেখে গেছে। তিনি আরো জানান, ঔষধ এবং চিকিৎসা কাজে ব্যবহৃত যন্ত্রপাতি রক্ষিত কক্ষে প্রবেশ করতে পারেনি। সম্ভবত: গতকার (মঙ্গলবার) সোনালী ব্যাংক থেকে কিছু টাকা উত্তোলনের বিষয়টি চোরের দল পর্যবেক্ষণ করেছিল এবং ওই টাকা নিতে এসেছিল। তবে উপজেলা ভারপ্রাপ্ত প্রাণীসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ কর্নচন্দ্র মল্লিক আসলেই কিছু চুরি হয়েছে কিনা তা নিশ্চিত করা যাবে।
এ ব্যপারে দেবীদ্বার থানা অফিসার ইনচার্জ (ওসি) জহিরুল আনোয়ার জানান, দুষ্কৃতিকারীরা উপজেলা প্রাণীসম্পদ কার্যালয়ের পেছনের জানালার গ্রীল কেটে ভেতরে প্রবেশ করে ষ্টিলের আলমিরার লকার ভাংচুর ও আসবাব সামগ্রী ও কাগজপত্র তছনছ কররেও কোন কিছু চুরির বিষয়টি কেউ নিশ্চিত করতে পারেনি। এ ব্যপারে লিখিত কোন অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেব।
অপর দিকে একই রাতে দেবীদ্বার পৌর মেডিকেল সেন্টারে চুরির হানা দেওয়ার অভিযোগ পাওয়া গেছে মেডিকেল সেন্টারের ম্যানেজার মোঃ ছফিউল্লা জানান মেডিকেল সেন্টারের এক্সরে রোমের উত্তর পাশে ব্যাথ রোমের গ্রিল কেটে গ্লাস ভেঙ্গে চুরেরা ভিতের ডুকেন,পরে এক্সরে রোম, প্যাথলজি রোমের তালাসহ তিনটি তালা ভেঙ্গে খুজা-খুজি করে চলে যায়। তবে হাসপাতালের কোনো জিনিস নস্ট করে নাই। হাসপাতালে রাতে ডিউটিরত লুৎফর রহমান জানান সে রাত প্রায় ২:৩০মিনেটের সময় ডাঃ জাকির স্যারের রোমে বিশ্রাম নিতে যান।পরে ফজরের আযান পরলে নামাজ পড়ার জন্য ব্যাথ রোমে ওযু করতে গেলে জানালার গ্রিল কাটা ও গ্লাস ভাঙ্গা দেখে তাৎক্ষণিক ম্যানাজার ও হাসপাতাল মালিক কতৃপক্ষকে মোবাইলে অবগত করান। তবে ওই ঘটনায় হাসপাতাল কতৃপক্ষ থানা পুলিশে কোনো অভিযোগ করে নাই।