বঙ্গবন্ধুকে কটূক্তি করায় ফের উত্তাল কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয়
যুগান্তরঃ জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং আওয়ামী লীগকে নিয়ে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে এক কর্মচারীর ব্যক্তিগত প্রোফাইল থেকে কটূক্তি করে বক্তব্য দেয়ায় উত্তাল হয়ে উঠেছে কুমিল্লা বিশ্ববিদ্যালয় (কুবি)।
রোববার বিকালে ওই কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন।
এর আগে ওই কর্মচারীর শাস্তির দাবিতে ক্যাম্পাসে বিক্ষোভ মিছিল করেছে শাখা ছাত্রলীগ।
এদিকে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করার প্রতিবাদ জানিয়ে এ ঘটনার নিন্দা জানিয়ে ওই কর্মচারীর বিরুদ্ধে কঠোর শাস্তি এবং আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে শিক্ষক সমিতি ও বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
এ ছাড়াও বিশ্ববিদ্যালয় বঙ্গবন্ধু কর্মচারী পরিষদ থেকে অভিযুক্ত এ কর্মচারীকে সাময়িক বহিষ্কার করা হয়েছে।
জানা যায়, বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর ড. কাজী মো. কামাল উদ্দিনের শ্যালক ও পরিসংখ্যান বিভাগের অফিস সহকারী কম্পিউটার অপারেটর শায়খুল হোসাইন ভুঁইয়া গত ২৪ অক্টোবর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম ফেসবুকে বঙ্গবন্ধু এবং আওয়ামী লীগকে নিয়ে কটূক্তি করেন।
এ ঘটনা সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ভাইরাল হয়ে গেলে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে ক্যাম্পাস।
রোববার দুপুরে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক লাউঞ্জে এক সংবাদ সম্মেলনে শায়খুল হোসেনকে বরখাস্ত করে তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানিয়েছে বঙ্গবন্ধু পরিষদ।
বঙ্গবন্ধু পরিষদের সাধারণ সম্পাদক জিয়া উদ্দিন সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে বলেন, ‘শায়খুল হোসেন বর্তমান বিতর্কিত প্রক্টর ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনের আপন শ্যালক। তিনি উপাচার্যের সঙ্গে নিয়োগ বাণিজ্য করে বিশ্ববিদ্যালয়কে জামায়াত-শিবিরের আখড়ায় পরিণত করছেন। রেল নাশকতা মামলায় এক আসামিকে উপাচার্য নিয়োগ প্রদান করে বিশ্ববিদ্যালয়কে জামায়াতিকরণের নীল নকশা করেছেন।’
ড. কাজী মোহাম্মদ কামাল উদ্দিনকে প্রক্টরের পদ থেকে অপসারণের দাবিও জানান বঙ্গবন্ধু পরিষদের এ নেতা।
এদিকে শায়খুল হোসেন ভূঁইয়াকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার মো. মজিবুর রহমান মজুমদার জানান, সরকারি কর্মচারী বিধিমালার ৩(খ) অনুযায়ী রাষ্ট্রের প্রতি অসাদাচরণের অভিযোগে তাকে সাময়িকভাবে বরখাস্ত করা হয়েছে। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা রুজ্জু করা হয়েছে। ১০ কার্যদিবসের মধ্যে তাকে এ বিষয়ে কারণ দর্শাতে বলা হয়েছে।
উপাচার্যের কার্যালয়ে এখনও ঝুলছে তালা
এদিকে উপাচার্য অধ্যাপক ড. মো. আলী আশরাফের বিরুদ্ধে নিয়োগ বাণিজ্য, আত্মীয়করণ, আর্থিক দুর্নীতি, বিচারহীনতার সংস্কৃতি চালু, শিক্ষক লাঞ্ছনাসহ বেশ কয়েকটি অভিযোগে তার বিচার ও অপসারণের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলন অব্যাহত রয়েছে। শিক্ষকরা গত ১৬ অক্টোবর উপাচার্যের কার্যালয়ে তালা ঝুলিয়ে দেয়। শিক্ষকদের এ ক্ষুব্ধ অবস্থানের কারণে উপাচার্য ১৫ অক্টোবর থেকে কার্যালয়ে আসেননি।