তিতাসে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যের সাথে সংঘর্ষ, আহত-৬
কুমিল্লার তিতাস উপজেলায় তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে ইউপি সদস্যের সাথে দুই ধফায় সংঘর্ষে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়েছে। ঘটনাটি ঘটেছে আজ(২৭ জুলাই) সোমবার ও গতকাল (২৬ জুলাই) রবিবার উপজেলার ইউছুফপুর গ্রামের খন্দকার বাড়িতে।
এলাকাবাসী সুত্রে জানা যায়, গ্রামের উত্তর পাশের খাল দিয়ে বালু ভর্তি ভোলগেট চলাচলে একই গ্রামের মহেমেন খন্দকার পুকুর পাড়ের ক্ষতি হয় বলে তার ছেলে ইমন বাঁশ দিয়ে বেড়া দিয়ে রাখে।এসময় স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. রাসেল মিয়া ঘটনা স্থলে গিয়ে ইমনকে বেড়া খুলে দিতে বললে তাদের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটে। এঘটনায় আজ সোমবার সকালে ওই গ্রামের খন্দকার বাড়িতে এক বিচার সালিশ বসে। উক্ত বিচার সালিশে মো. রোস্তম আলী মোল্লার সভাপতিত্বে বিচারকরা উভয় পক্ষের জবানবন্দি শুনে সভাপতি ১০ সদস্যের জুরি বোর্ড গঠন করে দিলে তারা রায় এনে সালিশ বৈঠকে উপস্থাপন করেন ইমনের ১০ হাজার টাকা জরিমানা এবং ইউপি সদস্য রাসেল মিয়ার নিকট ক্ষমা প্রর্থণা করবে।
এসময় রাসেল অভিযোগ তুলে বলে আমার পকেটে থাকা এক লাখ চব্বিশ হাজার টাকা যে নিয়ে গেছে সেই টাকার কি হবে? এমন কথা বলার সাথে সাথে খন্দকার বাড়ির হারুন উত্তেজিত হলে উভয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পরে এতে উভয় পক্ষের ৬ জন আহত হয়। আহতরা হলো মহেমেন খন্দকার,মাহাবুব খন্দকার, ইমন, রাসেল মেম্বার,জিলানী ও সারওয়ার ভূইয়া। এদের মধ্যে আহত মহেমেন খন্দকার ও মাহাবুব খন্দকারকে তিতাস উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স নিয়ে ভর্তি করেছে।
এবিষয়ে মহেমেন খন্দকারের স্ত্রী ইয়াছমিন আক্তার বলেন, রাসেল মেম্বার আমার ছেলেকে রবিবারে মারধর করেছে এঘটনায় আজ সোমবার সকালে খন্দকার কাশেম ডাক্তারের বাড়িতে বিচার বসে,বিচার শেষে রাসেল মেম্বারসহ তার লোকজন আমার স্বামী ও বাসুরের উপর হামলা করে এবং আমাদের বিল্ডিংয়ে ভিতর প্রেবেশ লুটপাট করে নগদ টাকাসহ মূল্যবান মালামাল নিয়ে গেছে।
অন্যদিকে রাসেল মেম্বার বলেন, ইমন বালুর বোর্ড থেকে ৫শ টাকা করে চাঁদা উঠায় আমি খবর পেয়ে বাধা দিলে আমাকে মারধর করে এবং আমার সাটের পকেটে থাকা ১লাখ চব্বিশ হাজার টাকা নিয়ে গেছে। এঘটনা আজ সোমবার তাদের বাড়িতে বিচার বসলে তারা বাড়ির গেইট লাগিয়ে আমাদেরকে মারধর করেছে। বিচারক শেখ ফরিদ ও ধন মিয়া বলেন রাসেল মেম্বার ও ইমনের মধ্যে মারামারির ঘটনায় আমরা বিচার কাজ শেষ করলে এমন সময় হারুন নামের একজন উত্তেজিত হয়ে পূণরায় উভয়ে সংঘর্ষে জরিয়ে পরে।
এবিষয়ে পুলিশ পরিদর্শক(তদন্ত) শহিদুল ইসলাম বলেন রবিবারের ঘটনায় রাসেল মেম্বার একটি অভিযোগ দিয়েছে,আজকের ঘটনা শুনেছি এবং ঘটনা স্থলে পুলিশ পাঠিয়েছি,এখনো কোন পক্ষের অভিযোগ পাইনি। অভিযোগ পেলে তদন্ত করে আইনগত ব্যবস্থা নিবো।