কুমিল্লায় প্রধান বিচারপতির গ্রামের রাস্তার বেহাল দশা
কুমিল্লার নাঙ্গলকোট উপজেলার দৌলখাড় ইউপির দেওভান্ডার গ্রামের দুই কিলোমিটার কাঁচা রাস্তা দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে মেরামত করা হয়নি। এই সড়কটি প্রধানবিচারপতি সৈয়দ মাহমুদ হোসেনের গ্রামে এবং অর্থমন্ত্রী আ,হ,ম, মুস্তফা কালাম লোটাস কামলের নির্বাচনীয় এলাকায়।
দীর্ঘ ১৫ বছর ধরে রাস্তাটি মেরামত করার শুধু আশ্বাস পেয়েছেন, জনপ্রতিনিধি ও রাজনৈতিক ব্যক্তিরদের কাছ থেকে।গত ৭/৮ বছর আগে মন্ত্রী এসড়ক দিয়ে এক বাড়ীতে গিয়েছেন। তখন রাস্তাটি মেরামতের আশ্বাস দিয়েছেন বলে এলাকাবাসী দাবী করছেন।এছাড়াও মেরামত করার আশ্বাস দিয়েছেন জনপ্রতিনিধি। এমন অভিযোগ করেছেন স্থানীয় সালেহ আহমদ,মজিবুর রহমান ও অবসর প্রাপ্ত এক সেনা কর্মকর্তা। তারা দাবী করেন, এই সড়ক দিয়ে গ্রামের দুই হাজার মানুষ চলাচল করে দেওভান্ডার মড়ের বাজারে আসতে হয়। স্কুল কলেজের শিক্ষার্থীরা এসড়ক দিয়ে শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে যেতে হয়।বর্ষ্যা কালে এসড়কে হাটু পানি জমে থাকে। এতে করে কাঁদা মাটির উপর দিয়ে যাতায়াত করতে হয়। স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভূূঁইয়া সড়কটি মেরামত করার আশ্বাস দিয়ে আসছে। কিন্ত মেরামত করেনি। এলাকাবাসী ওই চেয়ারম্যানের ইটের ভাটা থেকে ইটের রাবিশ কিনে কোন রকম রাস্তায় দিয়ে চলাচল করতে হচ্ছে ।
স্থানীয় ছাত্রলীগ নেতা সোহাগ বলেন- ভোটের সময় স্থানীয়দেরকে রাস্তাটি মেরামত করে দিবো বলে ভোট আদায় করছি। ভোটের পর দেয়া কথা অনুযায়ী সড়কটি মেরামত করে দিতে পারি নাই। চেয়ারম্যান ও মেম্বারদের জন্য ভোট আদায় করছি। এখন চেয়ারম্যান ও মেম্বার ভোটে জয়লাভ করার পর রাস্তাটির কোন খবর রাখেনি। এছাড়া ও এই গ্রামে আরও তিনটি কাঁচা সড়ক রয়েছে। দুঃখ জনক হলেও সত্য, রাস্তাটি প্রধান বিচারপতির নিজ গ্রামের দক্ষিণ পাশে ও বর্তমান অর্থমন্ত্রীর নির্বাচনীয় এলাকা। পুরো নাঙ্গলকোটে অনেক উন্নয়ন হয়েছে। কিন্তু গ্রামটি অবহেলিত রয়ে গেছে। রাস্তা দিয়ে পুরুষ গন চলাচল করতে হলে লুঙ্গি উপড়ে নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। নারীরা অনেক সমস্যা নিয়ে যাতায়াত করতে হয়। সড়কটি দ্রুত মেরামতের দাবী জানাই।
স্থানীয় দৌলখাড় ইউপির চেয়ারম্যান আবুল কালাম ভূূঁইয়া বলেন- এখানে কোন রাস্তা ছিল না। গত বারে কাবিখার প্রকল্পের মাধ্যমে ৮/৯ ফোট প্রস্থ দুই কিলোমিটার দৈর্ঘ গ্রামের রাস্তাটি মেরামত করে দিয়েছি। এখান দিয়ে ট্রাক্টর চলাচল করায় ও বৃষ্টির পানী জমে থাকায় রাস্তাটির বেহাল দশা হয়েছে। ইটের সিলিং করার জন্য উধর্বতন কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়েছে।
এবিষয়ে গতকাল মঙ্গলবার নাঙ্গলকোট উপজেলা নির্বাহী অফিসার লামইয়া সাইফুল বলেন- স্থানীয়রা একটি লিখিত আবেদন করলে, দ্রুত সময়ের মধ্যে রাস্তাটি মেরামত করা হবে।