কুমিল্লায় দ্বিতীয় বিয়ে করতে ৮ মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি
কুমিল্লার মনোহরগঞ্জ উপজেলায় আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীর পেটে লাথি মেরে গর্ভপাত করানোর অভিযোগ উঠেছে স্বামী রিপন মিয়ার বিরুদ্ধে।
গত বুধবার উপজেলার ঝলম (দ.) ইউনিয়ন পোমঁগাও গ্রামে এ ঘটনা ঘটেছে। এ ঘটনায় এলাকায় তোলপাড় সৃষ্টি হয়।
স্থানীয়রা জানায়, ২০০৪ সালে ঝলম (দ.) ইউনিয়ন পোমঁগাও গ্রামের আবদুল বারেক মেয়ের পান্না বেগমের সঙ্গে একই গ্রামের জিকির মিয়ার ছেলে রিপন মিয়ার বিয়ে হয়। তাদের সংসারে দুই ছেলে এক মেয়ে রয়েছে। রিপন মিয়া একজন অটোরিকশাচালক।
কয়েক বছর ধরে রিপন মিয়া আরও একটি বিবাহ করার সিদ্ধান্ত নেয়। তাই স্ত্রী পান্নার সঙ্গে সংসার না করার জন্য তালবাহানা করে। এ নিয়ে গত মঙ্গলবার উভয়ের মধ্যে কথা-কাটাকাটি হয়। একপর্যায়ে রিপন মিয়া আট মাসের অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রী পান্নার পেটে লাথি মারে।
মুমূর্ষু অবস্থায় পান্নাকে লাকসাম মেটানিকেল ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। ক্লিনিকের কর্মরত চিকিৎসকরা বলেন, তলপেটে আঘাতের কারণে রক্তক্ষরণ ও আট মাসের বাচ্চা নষ্ট হয়েছে। বুধবার সন্ধ্যায় গর্ভপাতে মৃত সন্তান হয় এবং সন্তানের মা পান্না বেগম সুস্থ রয়েছেন।
এ বিষয়ে রিপন মিয়ার বলেন, আমার স্ত্রী ওই দিন গরুর ঘরে যাওয়ার সময় মাটিতে পড়ে যায়। তখন আমি আমার স্ত্রী ও সন্তানকে মারধর করেছি। কিন্তু তার পেটে লাথি মারি নাই।